মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর অর্জন কী?
মশিউর রহমান: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে একধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে গতি সঞ্চার হয়েছে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতার দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে আমরা বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি; বিশেষ করে দুটো বিষয়—একটি হলো প্রশাসনিক দুর্বলতা বা অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেশনজটের মধ্যে পড়ে ছিল। আমার আগের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই সেশনজট অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
বর্তমান ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালে এখানে আর্থিক সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একেক সময় একেকজন উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। সেসব কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স বা গুণগত শিক্ষা দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছি। যদি আগে সেশনজট না কমানো হতো বা আর্থিক সচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হতো, তাহলে আজ আমাকে সেই কাজগুলো করতে হতো। আগের দুজন উপাচার্য যে কাজগুলো করে গেছেন, আমরা এখন সেগুলো ধরে রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করছি, শর্ট কোর্স প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। বিআইডিএস দীর্ঘদিন গবেষণা করে আমাদের একটি পরামর্শমালা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমরা জানতাম না। পরামর্শগুলো জানার পর যাচাই করে দেখেছি, ইতিমধ্যে আমরা এসব পরামর্শের বেশির ভাগের কাজ করে ফেলেছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে পেরেছি এবং মনে হচ্ছে, আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এসব দিক আমাকে আশাবাদী করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর যে যাত্রা, তাতে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মশিউর রহমান: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করেছি। এখন আইসিটি, সফট স্কিল—এসব অবশ্য পাঠ্য করতে যাচ্ছি। আমরা অ্যালামনাই গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি দিতে পারিনি। বর্তমানে দরিদ্র প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত কোটি টাকার বৃত্তি দিচ্ছি।
আমাদের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে করা শেষ হয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম পরিবর্তনের মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ভালো কিছু করার প্রস্তুতির যে বিষয়, সেগুলো শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ১০টায় উন্নীত করতে চাই। আশা করি এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষা একটি সন্তোষজনক মানে উঠে আসবে।
কলেজগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করব। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, নতুন বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় চালু করব। আমাদের নতুন দুটি প্রকল্পের একটি হলো ভূমি অধিগ্রহণ, আরেকটি হলো এলএমএস বা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই দুটো করা হলে আমি মনে করি, ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের করা হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী?
মশিউর রহমান: গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখী এবং বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে দ্রুত কর্মসংস্থানমুখী একটি শিক্ষাক্রম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩২টি কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত সংগ্রহ এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মমুখী কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে।
প্রশ্ন: অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের ৮৫০টি কলেজে অনার্স পড়ায়। এই কাজের জন্য আমাদের প্রশ্ন প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন—এসব কাজ করতে হয়। এসবের জন্য যদি নিজেদের দক্ষতা তৈরি না হয়, তাহলে এর জন্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল থেকে ৮৫০টি কলেজের অনার্স পড়ানোতে নেতৃত্ব দেওয়া খুব দুর্বল কাঠামোতে থাকে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এর শিক্ষা একটি মানের ওপর দাঁড়াবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ১৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা যদি ক্লাসে না পড়ান বা ক্লাস রিসার্চ না থাকে, তাহলে তাঁরা একসময় কর্মকর্তা হয়ে উঠবেন। আরেকটি বিষয় হলো, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনেক নতুন ক্লাসরুম গাজীপুরে করতে পেরেছি। এসব কক্ষ ব্যবহার করা দরকার। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখানে কয়েকটি বিষয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু করেছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণা করা, সরাসরি শিক্ষাদান একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার। এসব যদি না থাকে, তাহলে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। ইতিমধ্যেই ইউজিসিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ইউজিসি আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবে এবং এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্নকর্তা: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মশিউর রহমান: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর অর্জন কী?
মশিউর রহমান: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে একধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে গতি সঞ্চার হয়েছে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতার দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে আমরা বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি; বিশেষ করে দুটো বিষয়—একটি হলো প্রশাসনিক দুর্বলতা বা অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেশনজটের মধ্যে পড়ে ছিল। আমার আগের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই সেশনজট অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
বর্তমান ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালে এখানে আর্থিক সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একেক সময় একেকজন উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। সেসব কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স বা গুণগত শিক্ষা দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছি। যদি আগে সেশনজট না কমানো হতো বা আর্থিক সচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হতো, তাহলে আজ আমাকে সেই কাজগুলো করতে হতো। আগের দুজন উপাচার্য যে কাজগুলো করে গেছেন, আমরা এখন সেগুলো ধরে রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করছি, শর্ট কোর্স প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। বিআইডিএস দীর্ঘদিন গবেষণা করে আমাদের একটি পরামর্শমালা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমরা জানতাম না। পরামর্শগুলো জানার পর যাচাই করে দেখেছি, ইতিমধ্যে আমরা এসব পরামর্শের বেশির ভাগের কাজ করে ফেলেছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে পেরেছি এবং মনে হচ্ছে, আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এসব দিক আমাকে আশাবাদী করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর যে যাত্রা, তাতে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মশিউর রহমান: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করেছি। এখন আইসিটি, সফট স্কিল—এসব অবশ্য পাঠ্য করতে যাচ্ছি। আমরা অ্যালামনাই গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি দিতে পারিনি। বর্তমানে দরিদ্র প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত কোটি টাকার বৃত্তি দিচ্ছি।
আমাদের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে করা শেষ হয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম পরিবর্তনের মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ভালো কিছু করার প্রস্তুতির যে বিষয়, সেগুলো শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ১০টায় উন্নীত করতে চাই। আশা করি এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষা একটি সন্তোষজনক মানে উঠে আসবে।
কলেজগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করব। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, নতুন বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় চালু করব। আমাদের নতুন দুটি প্রকল্পের একটি হলো ভূমি অধিগ্রহণ, আরেকটি হলো এলএমএস বা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই দুটো করা হলে আমি মনে করি, ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের করা হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী?
মশিউর রহমান: গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখী এবং বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে দ্রুত কর্মসংস্থানমুখী একটি শিক্ষাক্রম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩২টি কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত সংগ্রহ এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মমুখী কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে।
প্রশ্ন: অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের ৮৫০টি কলেজে অনার্স পড়ায়। এই কাজের জন্য আমাদের প্রশ্ন প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন—এসব কাজ করতে হয়। এসবের জন্য যদি নিজেদের দক্ষতা তৈরি না হয়, তাহলে এর জন্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল থেকে ৮৫০টি কলেজের অনার্স পড়ানোতে নেতৃত্ব দেওয়া খুব দুর্বল কাঠামোতে থাকে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এর শিক্ষা একটি মানের ওপর দাঁড়াবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ১৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা যদি ক্লাসে না পড়ান বা ক্লাস রিসার্চ না থাকে, তাহলে তাঁরা একসময় কর্মকর্তা হয়ে উঠবেন। আরেকটি বিষয় হলো, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনেক নতুন ক্লাসরুম গাজীপুরে করতে পেরেছি। এসব কক্ষ ব্যবহার করা দরকার। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখানে কয়েকটি বিষয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু করেছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণা করা, সরাসরি শিক্ষাদান একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার। এসব যদি না থাকে, তাহলে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। ইতিমধ্যেই ইউজিসিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ইউজিসি আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবে এবং এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্নকর্তা: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মশিউর রহমান: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর অর্জন কী?
মশিউর রহমান: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে একধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে গতি সঞ্চার হয়েছে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতার দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে আমরা বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি; বিশেষ করে দুটো বিষয়—একটি হলো প্রশাসনিক দুর্বলতা বা অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেশনজটের মধ্যে পড়ে ছিল। আমার আগের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই সেশনজট অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
বর্তমান ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালে এখানে আর্থিক সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একেক সময় একেকজন উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। সেসব কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স বা গুণগত শিক্ষা দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছি। যদি আগে সেশনজট না কমানো হতো বা আর্থিক সচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হতো, তাহলে আজ আমাকে সেই কাজগুলো করতে হতো। আগের দুজন উপাচার্য যে কাজগুলো করে গেছেন, আমরা এখন সেগুলো ধরে রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করছি, শর্ট কোর্স প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। বিআইডিএস দীর্ঘদিন গবেষণা করে আমাদের একটি পরামর্শমালা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমরা জানতাম না। পরামর্শগুলো জানার পর যাচাই করে দেখেছি, ইতিমধ্যে আমরা এসব পরামর্শের বেশির ভাগের কাজ করে ফেলেছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে পেরেছি এবং মনে হচ্ছে, আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এসব দিক আমাকে আশাবাদী করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর যে যাত্রা, তাতে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মশিউর রহমান: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করেছি। এখন আইসিটি, সফট স্কিল—এসব অবশ্য পাঠ্য করতে যাচ্ছি। আমরা অ্যালামনাই গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি দিতে পারিনি। বর্তমানে দরিদ্র প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত কোটি টাকার বৃত্তি দিচ্ছি।
আমাদের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে করা শেষ হয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম পরিবর্তনের মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ভালো কিছু করার প্রস্তুতির যে বিষয়, সেগুলো শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ১০টায় উন্নীত করতে চাই। আশা করি এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষা একটি সন্তোষজনক মানে উঠে আসবে।
কলেজগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করব। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, নতুন বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় চালু করব। আমাদের নতুন দুটি প্রকল্পের একটি হলো ভূমি অধিগ্রহণ, আরেকটি হলো এলএমএস বা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই দুটো করা হলে আমি মনে করি, ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের করা হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী?
মশিউর রহমান: গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখী এবং বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে দ্রুত কর্মসংস্থানমুখী একটি শিক্ষাক্রম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩২টি কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত সংগ্রহ এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মমুখী কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে।
প্রশ্ন: অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের ৮৫০টি কলেজে অনার্স পড়ায়। এই কাজের জন্য আমাদের প্রশ্ন প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন—এসব কাজ করতে হয়। এসবের জন্য যদি নিজেদের দক্ষতা তৈরি না হয়, তাহলে এর জন্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল থেকে ৮৫০টি কলেজের অনার্স পড়ানোতে নেতৃত্ব দেওয়া খুব দুর্বল কাঠামোতে থাকে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এর শিক্ষা একটি মানের ওপর দাঁড়াবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ১৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা যদি ক্লাসে না পড়ান বা ক্লাস রিসার্চ না থাকে, তাহলে তাঁরা একসময় কর্মকর্তা হয়ে উঠবেন। আরেকটি বিষয় হলো, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনেক নতুন ক্লাসরুম গাজীপুরে করতে পেরেছি। এসব কক্ষ ব্যবহার করা দরকার। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখানে কয়েকটি বিষয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু করেছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণা করা, সরাসরি শিক্ষাদান একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার। এসব যদি না থাকে, তাহলে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। ইতিমধ্যেই ইউজিসিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ইউজিসি আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবে এবং এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্নকর্তা: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মশিউর রহমান: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর অর্জন কী?
মশিউর রহমান: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে একধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে গতি সঞ্চার হয়েছে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতার দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে আমরা বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি; বিশেষ করে দুটো বিষয়—একটি হলো প্রশাসনিক দুর্বলতা বা অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেশনজটের মধ্যে পড়ে ছিল। আমার আগের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই সেশনজট অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
বর্তমান ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালে এখানে আর্থিক সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একেক সময় একেকজন উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। সেসব কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স বা গুণগত শিক্ষা দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছি। যদি আগে সেশনজট না কমানো হতো বা আর্থিক সচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হতো, তাহলে আজ আমাকে সেই কাজগুলো করতে হতো। আগের দুজন উপাচার্য যে কাজগুলো করে গেছেন, আমরা এখন সেগুলো ধরে রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করছি, শর্ট কোর্স প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। বিআইডিএস দীর্ঘদিন গবেষণা করে আমাদের একটি পরামর্শমালা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমরা জানতাম না। পরামর্শগুলো জানার পর যাচাই করে দেখেছি, ইতিমধ্যে আমরা এসব পরামর্শের বেশির ভাগের কাজ করে ফেলেছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে পেরেছি এবং মনে হচ্ছে, আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এসব দিক আমাকে আশাবাদী করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর যে যাত্রা, তাতে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মশিউর রহমান: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করেছি। এখন আইসিটি, সফট স্কিল—এসব অবশ্য পাঠ্য করতে যাচ্ছি। আমরা অ্যালামনাই গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি দিতে পারিনি। বর্তমানে দরিদ্র প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত কোটি টাকার বৃত্তি দিচ্ছি।
আমাদের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে করা শেষ হয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম পরিবর্তনের মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ভালো কিছু করার প্রস্তুতির যে বিষয়, সেগুলো শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ১০টায় উন্নীত করতে চাই। আশা করি এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষা একটি সন্তোষজনক মানে উঠে আসবে।
কলেজগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করব। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, নতুন বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় চালু করব। আমাদের নতুন দুটি প্রকল্পের একটি হলো ভূমি অধিগ্রহণ, আরেকটি হলো এলএমএস বা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই দুটো করা হলে আমি মনে করি, ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের করা হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী?
মশিউর রহমান: গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখী এবং বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে দ্রুত কর্মসংস্থানমুখী একটি শিক্ষাক্রম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩২টি কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত সংগ্রহ এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মমুখী কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে।
প্রশ্ন: অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের ৮৫০টি কলেজে অনার্স পড়ায়। এই কাজের জন্য আমাদের প্রশ্ন প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন—এসব কাজ করতে হয়। এসবের জন্য যদি নিজেদের দক্ষতা তৈরি না হয়, তাহলে এর জন্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল থেকে ৮৫০টি কলেজের অনার্স পড়ানোতে নেতৃত্ব দেওয়া খুব দুর্বল কাঠামোতে থাকে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এর শিক্ষা একটি মানের ওপর দাঁড়াবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ১৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা যদি ক্লাসে না পড়ান বা ক্লাস রিসার্চ না থাকে, তাহলে তাঁরা একসময় কর্মকর্তা হয়ে উঠবেন। আরেকটি বিষয় হলো, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনেক নতুন ক্লাসরুম গাজীপুরে করতে পেরেছি। এসব কক্ষ ব্যবহার করা দরকার। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখানে কয়েকটি বিষয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু করেছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণা করা, সরাসরি শিক্ষাদান একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার। এসব যদি না থাকে, তাহলে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। ইতিমধ্যেই ইউজিসিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ইউজিসি আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবে এবং এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্নকর্তা: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মশিউর রহমান: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি
মো. দিদার হোসেন

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
২২ অক্টোবর ২০২৩
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
২২ অক্টোবর ২০২৩
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
২২ অক্টোবর ২০২৩
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ২৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষা শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা বা বিভ্রান্তি না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ‘ই’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া এবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি; কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ জন; চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ২৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষা শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা বা বিভ্রান্তি না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ‘ই’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া এবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি; কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ জন; চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
২২ অক্টোবর ২০২৩
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে