Ajker Patrika

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সবুজ অর্থনীতির অগ্রগতি নিয়ে ‘প্রি-কপ ২৯’ আলোচনা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সবুজ অর্থনীতির অগ্রগতি নিয়ে প্রি-কপ ২৯ আলোচনায় অংশ নেওয়া অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সবুজ অর্থনীতির অগ্রগতি নিয়ে প্রি-কপ ২৯ আলোচনায় অংশ নেওয়া অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটির (জিএলটিএস) সহযোগিতায় সম্প্রতি ‘প্রি-কপ ২৯ গ্রুপ ডিসকাশন: অ্যাডভান্সিং সাসটেইনেবল লিভিং অ্যান্ড গ্রিন ইকোনমি ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ গ্রুপ ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্ধারিত ২৯ তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের (কপ ২৯) প্রস্তুতিতে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং অবদান নিয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ সংস্থা (সিএসওএস), এনজিও, সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করেছে। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য প্রায় ২০০টি দেশের অংশগ্রহণে কপ ২৯ জলবায়ু লক্ষ্যে বৈশ্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন, প্রতিশ্রুতি আলোচনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ডিভিশনের পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডিএম) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা পারভীন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি সবুজ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উদ্যোগের গুরুত্ব এবং জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ডিআইইউয়ের ভূমিকা শিক্ষামূলক কর্মসূচি, গবেষণা ও টেকসই উদ্যোগের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

মাহফুজা পারভীন তাঁর উপস্থাপনায় টেকসই ক্ষেত্রে ডিআইইউয়ের নেতৃত্ব শীর্ষস্থানীয় র‍্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে, যার মধ্যে দ্য ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম অবস্থান, শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিউএস ওয়ার্ল্ড সাসটেইনেবিলিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থান এবং ইউআই-গ্রিনমেটরিক র‍্যাঙ্কিংস ২০২৩-এ বাংলাদেশে প্রথম এবং বিশ্বব্যাপী ২০০ তম অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। । তিনি আরও বিশদভাবে বর্ণনা করেন যে, কীভাবে এই অর্জনগুলি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মূল্যবোধ, গবেষণা এবং সম্প্রদায়ের অনুশীলনে স্থায়িত্বকে একীভূত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

আলোচনা চলাকালীন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড জলবায়ু কর্মকাণ্ডে তরুণদের অংশগ্রহণকে একত্রিত করে এমন একটি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি (জিএলটিএস) এবং ডিআইইউয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সরকারকে জবাবদিহি করতে সামাজিক সক্রিয়তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন এবং যুব কণ্ঠকে প্রসারিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি কম কার্বন নির্গমন সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের অসম প্রভাবের মুখোমুখি বাংলাদেশের মতো সহায়তাকারী দেশগুলির গুরুত্বও তুলে ধরেন।

জএলটিএসের প্রেসিডেন্ট মিসেস রওমান স্মিতা, টেকসই জীবনযাপন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার অগ্রগতির জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেন। তিনি জিএলটিএসের যুব-চালিত অ্যাডভোকেসি এবং উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং এর জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের (এনডিসি) মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে, হাইলাইট করেন যে জলবায়ু অর্থায়নকে একটি অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, ঋণ নয়। জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন উভয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি ডিআইইউ কে জিএলটিএসের সঙ্গে ভবিষ্যৎ উদ্যোগে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) বাংলাদেশের সিনিয়র সমন্বয়ক সুবীর কুমার সাহা, কপ ২৮-এ তাঁর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের শক্তির প্রতিফলন ঘটান। তিনি জলবায়ু নীতি এবং বাস্তবায়নের মধ্যে ব্যবধান পূরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে এবং কপ ২৯-এ ক্ষতি এবং ক্ষতির তহবিলের জন্য একটি বাধ্যতামূলক মামলা করার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান।

বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, কনজিউমার অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড অ্যাকশন, ইউএনআইডিওয়ের জাতীয় বিশেষজ্ঞ এস. এম. আরাফাত, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কৌশলের অন্বেষণ তুলে ধরেন। গ্লোবাল ফোরাম ফর সাসটেইনেবল রুরাল ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান, কান্ট্রি ডিরেক্টর মুহাম্মদ শরিফুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ায় তার অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করেছেন, ‘ডোন্ট ট্র্যাশ মাই হোম’ ক্যাম্পেইনের মতো পরিচ্ছন্ন শহর উদ্যোগের বর্ণনা দেন এবং বাংলাদেশেও অনুরূপ নীতি গ্রহণের পক্ষে কথা বলেন। ডিআইইউয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মাহফুজা পারভীন জোর দেন যে অল্প বয়স থেকেই টেকসই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং তিনি পরিবেশ সচেতনতা এবং সবুজ উদ্যোগে ডিআইইউয়ের চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

ডিআইইউয়ের ফ্যাকাল্টি অব গ্লোবলি স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক খালিদ মো. বাহাউদ্দীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা স্বীকার করেছেন এবং ডিআইইউয়ের কঠোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন। তিনি একটি কার্যকর কাঠামো বজায় রাখার জন্য ডিআইইউয়ের সক্রিয় পদ্ধতির উল্লেখ করেছেন যা একটি পরিষ্কার এবং টেকসই ক্যাম্পাস নিশ্চিত করে, অন্যদের অনুসরণ করার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করে। এসপিআরআইএইচএ থেকে মিসেস ফারহানা মাহমুদ জলবায়ু অভিযোজনে অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন, ন্যায়সংগত ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার পক্ষে কথা বলেছেন। এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভসের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন চৌধুরী, পরিবর্তিত জলবায়ু মোকাবিলায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। রিবিল্ডিং বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাকিব আরিফিন জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় সহযোগিতা এবং জলবায়ু সমাধানের কার্যকর ফলাফল উপলব্ধি করতে উন্নত পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার ওপর জোর দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে চাইলে

মো. আশিকুর রহমান
ছবি: ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
ছবি: ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।

ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।

বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।

অনলাইনে আবেদন যেভাবে

অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের

  • সনদ (ষষ্ঠ বা সমমানের
  • পরীক্ষায় উত্তীর্ণ)।

৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।

৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।

গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়

আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা

আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা

প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা

ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।

বিষয় নম্বর

ইংরেজি ১০০

গণিত ১০০

বাংলা ৬০

সাধারণ জ্ঞান ৪০

পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে

  • ইংরেজি: Grammar, Tense, Sentence Transformation, Right Form of Verbs, Punctuation, Idioms, Rearrangement ইত্যাদি।
  • গণিত: সংখ্যা ও ভগ্নাংশ, অনুপাত ও শতকরা, পূর্ণসংখ্যা, বীজগণিতীয় রাশি, সরল সমীকরণ, জ্যামিতি, উপাত্ত।
  • বাংলা: ধ্বনি ও বর্ণ, পদ, লিঙ্গ, কারক, বাগধারা, বিরামচিহ্ন, অনুচ্ছেদ, ভাবসম্প্রসারণ, অনুধাবন।
  • সাধারণ জ্ঞান: বিজ্ঞান, ইতিহাস, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, ভৌগোলিক ও সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, খেলাধুলা ও বুদ্ধিমত্তা।

আবেদনকারীর যোগ্যতা

  • জাতীয়তা: বাংলাদেশি নাগরিক
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: ষষ্ঠ শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
  • বয়স: ১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ৬ মাস
  • উচ্চতা: ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি (ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য)
  • স্বাস্থ্য: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে
  • দৃষ্টিশক্তি: চশমাবিহীন এক চোখে ৬/১২ ও অন্য চোখে ৬/১৮; চশমাসহ দুই চোখে ৬/৬

যারা আবেদন করতে পারবে না

যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্‌রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।

তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত ৫০০ বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত ৫০০ বৃত্তি

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।

সুযোগ-সুবিধা

চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।

আবেদনের যোগ্যতা

এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বৃত্তির সংখ্যা

প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়: হাসি গল্প গানের মিলনমেলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে আরপিএসইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে আরপিএসইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।

২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

মঞ্চে বসে বন্ধুদের আয়োজন উপভোগ করছেন আরপিএসইউর উপাচার্য। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
মঞ্চে বসে বন্ধুদের আয়োজন উপভোগ করছেন আরপিএসইউর উপাচার্য। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

আরপিএসইউর উপাচার্যকে উপহার তুলে দিচ্ছেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
আরপিএসইউর উপাচার্যকে উপহার তুলে দিচ্ছেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’

প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

রম্য বিতর্কে অংশ নিয়েছেন পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
রম্য বিতর্কে অংশ নিয়েছেন পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’

মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

ক্যাম্পাস আড্ডা উপভোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
ক্যাম্পাস আড্ডা উপভোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

সনদ ও পুরস্কার নিচ্ছেন এক বন্ধু। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
সনদ ও পুরস্কার নিচ্ছেন এক বন্ধু। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’

অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাঠকবন্ধু ক্যাম্পাস আড্ডা /নিজের ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৯
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।

আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।

জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’

তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।

তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।

তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত