
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কথাগুলো শুনেছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত

প্রশ্ন: দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় বন্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন দেখছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসছেন। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে সেটা শুনেছি বাতিল হয়ে গেছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কেন হলো?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এসেছে। পত্রিকা মারফত যত দূর জেনেছি, জমির দলিল এবং প্রাক্কলন মূল্য নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। পরে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমির অধিগ্রহণ সরকার বাতিল করেছে।
প্রশ্ন: তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিজ জেলায় হলেও চাঁবিপ্রবি কেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারেনি?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ জনবল, স্থায়ী অবকাঠামো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি।
প্রশ্ন: এখন চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস আর কত দূর?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাটা সত্যিকার অর্থেই হতাশার বিষয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
প্রশ্ন: নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপনি কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কবে শুরু হতে পারে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: জেলা প্রশাসক সূত্রে জানতে পেরেছি, পূর্বের জমি অধিগ্রহণ বাতিল হয়েছে, বিধায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দ্রুত জমি দেখার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেছেন, দ্রুততম সময়ে জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নিজে জমি দেখতে যাবেন। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

প্রশ্ন: আবাসিক হল তো পরে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তো স্থায়ী কোনো অ্যাকাডেমিক ভবনই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে জীবন ধারণ করছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় জানতে পেরেছি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেস করে অবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়টিও মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হলের চাহিদা তৈরি করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি।
প্রশ্ন: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চাঁবিপ্রবি ভর্তি নিয়ে কী ভাবছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবি কি গুচ্ছে থাকবে? আমরা দেখেছি, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা লাঘব করেছে। শিক্ষার্থীদের অর্থ সাশ্রয় করছে। যদিও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কিছু অসুবিধাও রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করব। আমরাও শুনেছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। গণিত নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গণিত নিয়ে আমার ভাবনায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো, গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে প্রান্তিক পর্যায়ে সহজ বিষয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় গণিত শিক্ষা না দিয়ে গণিতকে সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা গণিত শেখায়, তারা অনেকেই গণিত বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেনি। গণিত শেখানোর জন্য গণিত বিষয়ের শিক্ষকই নিয়োগ দিতে হবে। গণিতকে বাস্তবজীবনে এমনভাবে উপযোগী করতে হবে, যাতে একজন দিনমজুর, রিকশাওয়ালাও গণিতকে বাস্তবজীবনে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্ন: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার প্রকাশিত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে। চতুর্থ বর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। আমরা রিসার্চে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর সেমিনারের আয়োজন করব। রিসার্চ কনফারেন্স আয়োজন করব। গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমি ফান্ডের ব্যবস্থা করব। শিক্ষকেরা যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে পারেন, এ জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণা ভাতার ব্যবস্থা করব। শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের গবেষণায় যুক্ত করতে পারেন।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবির সামগ্রিক উন্নয়নে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি কার লোনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগেন। শেষ পরিণতি হিসেবে অনেকে হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগিতাপূর্ণ। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছি। সবাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে মধুর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাজীবনে শিক্ষককে পাবেন একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলেছি, শিক্ষকের কাছ থেকে বৈশ্বিক মানের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে। মান্ধাতার আমলের শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের দিন শেষ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে।
প্রশ্ন: দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় বন্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন দেখছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসছেন। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে সেটা শুনেছি বাতিল হয়ে গেছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কেন হলো?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এসেছে। পত্রিকা মারফত যত দূর জেনেছি, জমির দলিল এবং প্রাক্কলন মূল্য নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। পরে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমির অধিগ্রহণ সরকার বাতিল করেছে।
প্রশ্ন: তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিজ জেলায় হলেও চাঁবিপ্রবি কেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারেনি?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ জনবল, স্থায়ী অবকাঠামো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি।
প্রশ্ন: এখন চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস আর কত দূর?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাটা সত্যিকার অর্থেই হতাশার বিষয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
প্রশ্ন: নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপনি কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কবে শুরু হতে পারে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: জেলা প্রশাসক সূত্রে জানতে পেরেছি, পূর্বের জমি অধিগ্রহণ বাতিল হয়েছে, বিধায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দ্রুত জমি দেখার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেছেন, দ্রুততম সময়ে জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নিজে জমি দেখতে যাবেন। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

প্রশ্ন: আবাসিক হল তো পরে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তো স্থায়ী কোনো অ্যাকাডেমিক ভবনই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে জীবন ধারণ করছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় জানতে পেরেছি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেস করে অবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়টিও মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হলের চাহিদা তৈরি করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি।
প্রশ্ন: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চাঁবিপ্রবি ভর্তি নিয়ে কী ভাবছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবি কি গুচ্ছে থাকবে? আমরা দেখেছি, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা লাঘব করেছে। শিক্ষার্থীদের অর্থ সাশ্রয় করছে। যদিও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কিছু অসুবিধাও রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করব। আমরাও শুনেছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। গণিত নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গণিত নিয়ে আমার ভাবনায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো, গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে প্রান্তিক পর্যায়ে সহজ বিষয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় গণিত শিক্ষা না দিয়ে গণিতকে সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা গণিত শেখায়, তারা অনেকেই গণিত বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেনি। গণিত শেখানোর জন্য গণিত বিষয়ের শিক্ষকই নিয়োগ দিতে হবে। গণিতকে বাস্তবজীবনে এমনভাবে উপযোগী করতে হবে, যাতে একজন দিনমজুর, রিকশাওয়ালাও গণিতকে বাস্তবজীবনে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্ন: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার প্রকাশিত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে। চতুর্থ বর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। আমরা রিসার্চে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর সেমিনারের আয়োজন করব। রিসার্চ কনফারেন্স আয়োজন করব। গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমি ফান্ডের ব্যবস্থা করব। শিক্ষকেরা যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে পারেন, এ জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণা ভাতার ব্যবস্থা করব। শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের গবেষণায় যুক্ত করতে পারেন।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবির সামগ্রিক উন্নয়নে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি কার লোনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগেন। শেষ পরিণতি হিসেবে অনেকে হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগিতাপূর্ণ। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছি। সবাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে মধুর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাজীবনে শিক্ষককে পাবেন একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলেছি, শিক্ষকের কাছ থেকে বৈশ্বিক মানের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে। মান্ধাতার আমলের শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের দিন শেষ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে।


চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কথাগুলো শুনেছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত

প্রশ্ন: দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় বন্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন দেখছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসছেন। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে সেটা শুনেছি বাতিল হয়ে গেছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কেন হলো?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এসেছে। পত্রিকা মারফত যত দূর জেনেছি, জমির দলিল এবং প্রাক্কলন মূল্য নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। পরে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমির অধিগ্রহণ সরকার বাতিল করেছে।
প্রশ্ন: তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিজ জেলায় হলেও চাঁবিপ্রবি কেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারেনি?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ জনবল, স্থায়ী অবকাঠামো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি।
প্রশ্ন: এখন চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস আর কত দূর?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাটা সত্যিকার অর্থেই হতাশার বিষয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
প্রশ্ন: নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপনি কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কবে শুরু হতে পারে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: জেলা প্রশাসক সূত্রে জানতে পেরেছি, পূর্বের জমি অধিগ্রহণ বাতিল হয়েছে, বিধায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দ্রুত জমি দেখার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেছেন, দ্রুততম সময়ে জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নিজে জমি দেখতে যাবেন। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

প্রশ্ন: আবাসিক হল তো পরে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তো স্থায়ী কোনো অ্যাকাডেমিক ভবনই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে জীবন ধারণ করছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় জানতে পেরেছি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেস করে অবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়টিও মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হলের চাহিদা তৈরি করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি।
প্রশ্ন: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চাঁবিপ্রবি ভর্তি নিয়ে কী ভাবছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবি কি গুচ্ছে থাকবে? আমরা দেখেছি, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা লাঘব করেছে। শিক্ষার্থীদের অর্থ সাশ্রয় করছে। যদিও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কিছু অসুবিধাও রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করব। আমরাও শুনেছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। গণিত নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গণিত নিয়ে আমার ভাবনায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো, গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে প্রান্তিক পর্যায়ে সহজ বিষয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় গণিত শিক্ষা না দিয়ে গণিতকে সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা গণিত শেখায়, তারা অনেকেই গণিত বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেনি। গণিত শেখানোর জন্য গণিত বিষয়ের শিক্ষকই নিয়োগ দিতে হবে। গণিতকে বাস্তবজীবনে এমনভাবে উপযোগী করতে হবে, যাতে একজন দিনমজুর, রিকশাওয়ালাও গণিতকে বাস্তবজীবনে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্ন: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার প্রকাশিত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে। চতুর্থ বর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। আমরা রিসার্চে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর সেমিনারের আয়োজন করব। রিসার্চ কনফারেন্স আয়োজন করব। গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমি ফান্ডের ব্যবস্থা করব। শিক্ষকেরা যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে পারেন, এ জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণা ভাতার ব্যবস্থা করব। শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের গবেষণায় যুক্ত করতে পারেন।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবির সামগ্রিক উন্নয়নে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি কার লোনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগেন। শেষ পরিণতি হিসেবে অনেকে হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগিতাপূর্ণ। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছি। সবাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে মধুর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাজীবনে শিক্ষককে পাবেন একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলেছি, শিক্ষকের কাছ থেকে বৈশ্বিক মানের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে। মান্ধাতার আমলের শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের দিন শেষ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে।
প্রশ্ন: দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় বন্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন দেখছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসছেন। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে সেটা শুনেছি বাতিল হয়ে গেছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কেন হলো?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এসেছে। পত্রিকা মারফত যত দূর জেনেছি, জমির দলিল এবং প্রাক্কলন মূল্য নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। পরে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমির অধিগ্রহণ সরকার বাতিল করেছে।
প্রশ্ন: তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিজ জেলায় হলেও চাঁবিপ্রবি কেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারেনি?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ জনবল, স্থায়ী অবকাঠামো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি।
প্রশ্ন: এখন চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস আর কত দূর?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাটা সত্যিকার অর্থেই হতাশার বিষয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
প্রশ্ন: নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপনি কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কবে শুরু হতে পারে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: জেলা প্রশাসক সূত্রে জানতে পেরেছি, পূর্বের জমি অধিগ্রহণ বাতিল হয়েছে, বিধায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দ্রুত জমি দেখার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেছেন, দ্রুততম সময়ে জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নিজে জমি দেখতে যাবেন। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

প্রশ্ন: আবাসিক হল তো পরে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তো স্থায়ী কোনো অ্যাকাডেমিক ভবনই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে জীবন ধারণ করছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় জানতে পেরেছি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেস করে অবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়টিও মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হলের চাহিদা তৈরি করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি।
প্রশ্ন: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চাঁবিপ্রবি ভর্তি নিয়ে কী ভাবছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবি কি গুচ্ছে থাকবে? আমরা দেখেছি, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা লাঘব করেছে। শিক্ষার্থীদের অর্থ সাশ্রয় করছে। যদিও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কিছু অসুবিধাও রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করব। আমরাও শুনেছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। গণিত নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গণিত নিয়ে আমার ভাবনায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো, গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে প্রান্তিক পর্যায়ে সহজ বিষয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় গণিত শিক্ষা না দিয়ে গণিতকে সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা গণিত শেখায়, তারা অনেকেই গণিত বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেনি। গণিত শেখানোর জন্য গণিত বিষয়ের শিক্ষকই নিয়োগ দিতে হবে। গণিতকে বাস্তবজীবনে এমনভাবে উপযোগী করতে হবে, যাতে একজন দিনমজুর, রিকশাওয়ালাও গণিতকে বাস্তবজীবনে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্ন: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার প্রকাশিত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে। চতুর্থ বর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। আমরা রিসার্চে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর সেমিনারের আয়োজন করব। রিসার্চ কনফারেন্স আয়োজন করব। গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমি ফান্ডের ব্যবস্থা করব। শিক্ষকেরা যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে পারেন, এ জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণা ভাতার ব্যবস্থা করব। শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের গবেষণায় যুক্ত করতে পারেন।
প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবির সামগ্রিক উন্নয়নে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি কার লোনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগেন। শেষ পরিণতি হিসেবে অনেকে হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগিতাপূর্ণ। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছি। সবাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে মধুর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাজীবনে শিক্ষককে পাবেন একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলেছি, শিক্ষকের কাছ থেকে বৈশ্বিক মানের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে। মান্ধাতার আমলের শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের দিন শেষ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে।


ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
২১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরুর ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরুর ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরুর ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
২১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:


উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরুর ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
২১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে