Ajker Patrika

পাঠকবন্ধুর বই বিনিময় ও বই আড্ডা

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৫২
পাঠকবন্ধুর বই বিনিময় ও বই আড্ডা

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম কলেজে পাঠকবন্ধুর উদ্যোগে হয়ে গেল বই বিনিময় ও বই আড্ডা। লিখেছেন মিনহাজুর রহমানএস এম রাহমান জিকু

তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।

তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।

এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’

সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’

এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’

 পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার বন্ধুদের বই আড্ডাtছবি: মিনহাজুর রহমানচট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।

বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’

আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।

বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কালই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’

এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।

‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ কোটায় ঢাকা কলেজে একাদশে ভর্তির সুযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।

সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।

অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।

air-port-fire-service
air-port-fire-service

নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।

গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্পূর্ণ অর্থায়িত রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বৃত্তির সুযোগ

শিক্ষা ডেস্ক
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।

এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।

সুযোগ-সুবিধা

অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।

যোগ্য দেশের তালিকা

বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।

আবেদনের যোগ্যতা

রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত