আব্দুর রাজ্জাক খান

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেদের যুক্ত করব। এই বছরের ক্যাম্পাস ভাবনা আমাদের ছাত্রজীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে চিন্তা করতে এবং একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে প্রেরণা দেবে। আসুন, একসঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও শক্তিশালী, সম্মানজনক এবং সহায়ক করে তুলি।
সচেতনতাই হোক সম্ভাবনা
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। ২০২৫ সাল কেবল একটি বছর নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের দক্ষ, উদ্যমী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলার এক সোপান। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তব জীবনে শিক্ষার প্রয়োগ ও দক্ষতা বিকাশ। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি আমরা হতে পারি জাতির পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। ব্যক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না। দূষণ, বৈষম্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সচেতনতা ও উদ্যোগ জরুরি। শিক্ষা, উদ্ভাবন ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যাই নতুন সম্ভাবনার পথে।
মোতালেব হোসাইন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন বছর হোক নতুন সাফল্যের প্রতীক
নতুন বছর ২০২৫ আমাদের জীবনে নতুন সূচনার প্রতীক। এই বছরে প্রকৃতি যেন শীতল হাওয়া, সবুজ প্রান্তর ও সতেজ বৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। আমি চাই, নতুন বছর আমাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিক, সমাজে ন্যায্যতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক। সবাই যেন কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হয়ে পৃথিবীকে সবুজ ও নিরাপদ করে তুলি। সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধান করে উচ্চশিক্ষার উন্নত সুযোগ নিশ্চিত হোক। নতুন বছর হোক নতুন আশা, প্রেরণা ও সাফল্যের প্রতীক।
নাবিলা রহমান চৈতী
ইডেন মহিলা কলেজ।
নতুন বছর হোক পরিবর্তনের নতুন শুরু
নতুন বছর মানে নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা। ২০২৫ সাল আমার জীবনের বিশেষ একটি অধ্যায়। একদিকে শেষ বর্ষের পড়াশোনা, অন্যদিকে ক্যারিয়ার গঠনের চ্যালেঞ্জ। থিসিস সম্পন্ন করা এবং সাংবাদিকতার মূলনীতি বাস্তবে প্রয়োগের পাশাপাশি ডিজিটাল সাংবাদিকতার আধুনিক দিকগুলো শিখতে চাই।
ব্যক্তিগতভাবে, ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছি। প্রতিকূলতা আমাকে শেখায় থেমে না থেকে নতুন পথ খুঁজে নিতে। তাই ২০২৫ সালকে দেখছি স্বপ্ন, দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে।
আল হাসান আকুন্ঞ্জী
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই অঙ্গীকার
২০২৫ সাল আমার অনার্সের শেষ বছর এবং বার পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এ বছর সময় ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করব। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, ব্যায়াম ও সৃজনশীল কাজে সময় দেব। একাডেমিক সাফল্য, বার পরীক্ষায় প্রস্তুতি এবং বিতর্ক ও কবিতার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি। ক্যাম্পাসে সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। নতুন সম্ভাবনা ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই আমার অঙ্গীকার।
তামান্না আক্তার
আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার। ২০২৫ সালকে আমি স্বপ্নপূরণের অধ্যায় হিসেবে দেখি। একাডেমিক জীবনে মনোযোগী হয়ে গবেষণায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ক্লাব কার্যক্রমে নেতৃত্বের গুণাবলি শাণিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধ্যান ও ইতিবাচক চিন্তার চর্চা শুরু করেছি। নোবিপ্রবির উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব: ক্লাসরুম ও ল্যাব-সংকটের দ্রুত সমাধান, শিক্ষক ও হল-সংকট মোকাবিলা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মানসম্পন্ন ক্যাফেটেরিয়া ও আধুনিক টিএসসি নির্মাণ। এসব উদ্যোগ ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলবে। ২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর।
খায়রুল আমান শাওন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। প্রতিটি সূর্যোদয়ের সঙ্গে আসে নতুন আশা। ২০২৫ সাল এনেছে সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের একাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ভারসাম্য তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু ভালো ফলের পেছনে না ছুটে মানসিক ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আমাদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। ২০২৩ সালে উপলব্ধি করেছি, শুধু ক্লাস আর আড্ডায় সীমাবদ্ধ থাকলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম, সাংগঠনিক কাজ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের অদেখা ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করেছি। নতুন বছরে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্নতা, পথশিশুদের শিক্ষা, বনায়ন, পরিবেশ রক্ষা ও ট্রাফিক সচেতনতার মতো উদ্যোগ নিতে পারি। এগুলো আমাদের দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আত্ম-উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ই পারে আমাদের জীবনকে অনন্য করে তুলতে।
ফারহান ইবতেশাম জয়
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই
নতুন বছর আসে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা পুরোনো গ্লানি ভুলে সফলতার গল্প লিখতে চাই। ফার্স্ট ইয়ারে (স্নাতক) ভর্তি হয়ে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। নিয়মিত পড়াশোনা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিকাশে সচেষ্ট থাকতে চাই। ক্যাম্পাসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস আমার পরিকল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি অসহায় শিশুদের সহায়তা ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই। প্রতিদিনের সফলতা দিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে চাই।
মো. শাওন আহম্মেদ
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
আসুন, সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি
ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মেধা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশের কেন্দ্র। তবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সুযোগের অভাবে অনেকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে না। এক বছর আগে একটি দুর্ঘটনার কারণে আমি দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলাম। তবে পরিবারের উৎসাহ ও সহপাঠীর সহযোগিতায় আমি সাংবাদিক সমিতি ও বিতর্ক ক্লাবে যোগ দিতে সক্ষম হই। প্রথম রচনা প্রতিযোগিতায় স্থান অর্জন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে সব বাধা পেরোনো সম্ভব। আসুন, ২০২৫-এ আমরা সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি।
শায়লা আক্তার মীম
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বৈষম্যের ঠাঁই এই বাংলায় নাই
২০২৫-এর যাত্রা শুরু হোক বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলার স্বপ্ন নিয়ে। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে, রাস্তায় থাকা মানুষের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করে, রেশন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে শ্রমশক্তি বাড়ানো হোক। নারীর নিরাপত্তা ও সমান সুযোগের পথ প্রশস্ত করা, আস্থা জাগানো আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বাক্স্বাধীনতার সঠিক চর্চা নিশ্চিত করা হোক। কৃষি থাকুক কৃষকের হাতে, শিক্ষা হোক প্রয়োগভিত্তিক ও আগ্রহনির্ভর। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ বজায় রেখে গড়ে তুলি একটি শক্তিশালী, স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
তানিয়া আক্তার
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক
নতুন বছরে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা হলো শিক্ষা এবং সচেতনতার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করা। আমি বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার আলো সর্বত্র পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য আমি পরিকল্পনা করেছি, গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে বিনা মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনের মৌলিক দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করা। এ ছাড়া আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে চাই। সমাজে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মশালা আয়োজন করব এবং পরিবেশের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ ও পুনর্ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করব। আমার লক্ষ্য হলো, মানুষের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে সমাজকে একটি উন্নত, ন্যায়সংগত এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক।
শ্রেয়া ঘোষ
আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ।
স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং নতুন সূর্যোদয়
২০২৫ সাল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমরা এমন একটি দেশ হতে চাই, যেটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রত্যেক শিশু স্বপ্ন দেখবে, প্রত্যেক তরুণ সুযোগ পাবে এবং প্রত্যেক নাগরিক গর্বিত হবে তার দেশের উন্নতির অংশ হতে পেরে। এ বছর আমরা পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, নারী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে জোর দেব। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশ হতে পারে টেকসই উন্নয়নের পথিকৃৎ, যেখানে প্রতিটি প্রকল্প হবে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, শক্তিশালী এবং সুখী দেশ—যেখানে সবাই সুখী থাকবে এবং দেশের প্রতি গর্বিত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন বছরে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করি।
মো. সামিউল ইসলাম প্রমি
বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।
নতুন বছরের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা এবং এগিয়ে যাওয়ার নতুন সুযোগ। এই বছরকে আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখতে চাই। একাডেমিক লক্ষ্য হিসেবে আমার প্রথম উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দেওয়া। এই বছর আমি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি একাডেমিক গবেষণার কাজেও যুক্ত হতে চাই। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে চাই, যা আমার দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
জান্নাতুন আরাবী জেরিন
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেদের যুক্ত করব। এই বছরের ক্যাম্পাস ভাবনা আমাদের ছাত্রজীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে চিন্তা করতে এবং একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে প্রেরণা দেবে। আসুন, একসঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও শক্তিশালী, সম্মানজনক এবং সহায়ক করে তুলি।
সচেতনতাই হোক সম্ভাবনা
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। ২০২৫ সাল কেবল একটি বছর নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের দক্ষ, উদ্যমী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলার এক সোপান। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তব জীবনে শিক্ষার প্রয়োগ ও দক্ষতা বিকাশ। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি আমরা হতে পারি জাতির পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। ব্যক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না। দূষণ, বৈষম্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সচেতনতা ও উদ্যোগ জরুরি। শিক্ষা, উদ্ভাবন ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যাই নতুন সম্ভাবনার পথে।
মোতালেব হোসাইন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন বছর হোক নতুন সাফল্যের প্রতীক
নতুন বছর ২০২৫ আমাদের জীবনে নতুন সূচনার প্রতীক। এই বছরে প্রকৃতি যেন শীতল হাওয়া, সবুজ প্রান্তর ও সতেজ বৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। আমি চাই, নতুন বছর আমাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিক, সমাজে ন্যায্যতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক। সবাই যেন কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হয়ে পৃথিবীকে সবুজ ও নিরাপদ করে তুলি। সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধান করে উচ্চশিক্ষার উন্নত সুযোগ নিশ্চিত হোক। নতুন বছর হোক নতুন আশা, প্রেরণা ও সাফল্যের প্রতীক।
নাবিলা রহমান চৈতী
ইডেন মহিলা কলেজ।
নতুন বছর হোক পরিবর্তনের নতুন শুরু
নতুন বছর মানে নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা। ২০২৫ সাল আমার জীবনের বিশেষ একটি অধ্যায়। একদিকে শেষ বর্ষের পড়াশোনা, অন্যদিকে ক্যারিয়ার গঠনের চ্যালেঞ্জ। থিসিস সম্পন্ন করা এবং সাংবাদিকতার মূলনীতি বাস্তবে প্রয়োগের পাশাপাশি ডিজিটাল সাংবাদিকতার আধুনিক দিকগুলো শিখতে চাই।
ব্যক্তিগতভাবে, ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছি। প্রতিকূলতা আমাকে শেখায় থেমে না থেকে নতুন পথ খুঁজে নিতে। তাই ২০২৫ সালকে দেখছি স্বপ্ন, দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে।
আল হাসান আকুন্ঞ্জী
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই অঙ্গীকার
২০২৫ সাল আমার অনার্সের শেষ বছর এবং বার পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এ বছর সময় ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করব। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, ব্যায়াম ও সৃজনশীল কাজে সময় দেব। একাডেমিক সাফল্য, বার পরীক্ষায় প্রস্তুতি এবং বিতর্ক ও কবিতার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি। ক্যাম্পাসে সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। নতুন সম্ভাবনা ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই আমার অঙ্গীকার।
তামান্না আক্তার
আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার। ২০২৫ সালকে আমি স্বপ্নপূরণের অধ্যায় হিসেবে দেখি। একাডেমিক জীবনে মনোযোগী হয়ে গবেষণায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ক্লাব কার্যক্রমে নেতৃত্বের গুণাবলি শাণিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধ্যান ও ইতিবাচক চিন্তার চর্চা শুরু করেছি। নোবিপ্রবির উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব: ক্লাসরুম ও ল্যাব-সংকটের দ্রুত সমাধান, শিক্ষক ও হল-সংকট মোকাবিলা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মানসম্পন্ন ক্যাফেটেরিয়া ও আধুনিক টিএসসি নির্মাণ। এসব উদ্যোগ ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলবে। ২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর।
খায়রুল আমান শাওন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। প্রতিটি সূর্যোদয়ের সঙ্গে আসে নতুন আশা। ২০২৫ সাল এনেছে সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের একাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ভারসাম্য তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু ভালো ফলের পেছনে না ছুটে মানসিক ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আমাদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। ২০২৩ সালে উপলব্ধি করেছি, শুধু ক্লাস আর আড্ডায় সীমাবদ্ধ থাকলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম, সাংগঠনিক কাজ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের অদেখা ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করেছি। নতুন বছরে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্নতা, পথশিশুদের শিক্ষা, বনায়ন, পরিবেশ রক্ষা ও ট্রাফিক সচেতনতার মতো উদ্যোগ নিতে পারি। এগুলো আমাদের দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আত্ম-উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ই পারে আমাদের জীবনকে অনন্য করে তুলতে।
ফারহান ইবতেশাম জয়
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই
নতুন বছর আসে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা পুরোনো গ্লানি ভুলে সফলতার গল্প লিখতে চাই। ফার্স্ট ইয়ারে (স্নাতক) ভর্তি হয়ে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। নিয়মিত পড়াশোনা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিকাশে সচেষ্ট থাকতে চাই। ক্যাম্পাসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস আমার পরিকল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি অসহায় শিশুদের সহায়তা ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই। প্রতিদিনের সফলতা দিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে চাই।
মো. শাওন আহম্মেদ
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
আসুন, সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি
ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মেধা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশের কেন্দ্র। তবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সুযোগের অভাবে অনেকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে না। এক বছর আগে একটি দুর্ঘটনার কারণে আমি দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলাম। তবে পরিবারের উৎসাহ ও সহপাঠীর সহযোগিতায় আমি সাংবাদিক সমিতি ও বিতর্ক ক্লাবে যোগ দিতে সক্ষম হই। প্রথম রচনা প্রতিযোগিতায় স্থান অর্জন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে সব বাধা পেরোনো সম্ভব। আসুন, ২০২৫-এ আমরা সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি।
শায়লা আক্তার মীম
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বৈষম্যের ঠাঁই এই বাংলায় নাই
২০২৫-এর যাত্রা শুরু হোক বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলার স্বপ্ন নিয়ে। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে, রাস্তায় থাকা মানুষের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করে, রেশন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে শ্রমশক্তি বাড়ানো হোক। নারীর নিরাপত্তা ও সমান সুযোগের পথ প্রশস্ত করা, আস্থা জাগানো আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বাক্স্বাধীনতার সঠিক চর্চা নিশ্চিত করা হোক। কৃষি থাকুক কৃষকের হাতে, শিক্ষা হোক প্রয়োগভিত্তিক ও আগ্রহনির্ভর। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ বজায় রেখে গড়ে তুলি একটি শক্তিশালী, স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
তানিয়া আক্তার
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক
নতুন বছরে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা হলো শিক্ষা এবং সচেতনতার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করা। আমি বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার আলো সর্বত্র পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য আমি পরিকল্পনা করেছি, গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে বিনা মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনের মৌলিক দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করা। এ ছাড়া আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে চাই। সমাজে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মশালা আয়োজন করব এবং পরিবেশের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ ও পুনর্ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করব। আমার লক্ষ্য হলো, মানুষের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে সমাজকে একটি উন্নত, ন্যায়সংগত এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক।
শ্রেয়া ঘোষ
আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ।
স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং নতুন সূর্যোদয়
২০২৫ সাল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমরা এমন একটি দেশ হতে চাই, যেটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রত্যেক শিশু স্বপ্ন দেখবে, প্রত্যেক তরুণ সুযোগ পাবে এবং প্রত্যেক নাগরিক গর্বিত হবে তার দেশের উন্নতির অংশ হতে পেরে। এ বছর আমরা পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, নারী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে জোর দেব। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশ হতে পারে টেকসই উন্নয়নের পথিকৃৎ, যেখানে প্রতিটি প্রকল্প হবে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, শক্তিশালী এবং সুখী দেশ—যেখানে সবাই সুখী থাকবে এবং দেশের প্রতি গর্বিত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন বছরে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করি।
মো. সামিউল ইসলাম প্রমি
বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।
নতুন বছরের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা এবং এগিয়ে যাওয়ার নতুন সুযোগ। এই বছরকে আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখতে চাই। একাডেমিক লক্ষ্য হিসেবে আমার প্রথম উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দেওয়া। এই বছর আমি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি একাডেমিক গবেষণার কাজেও যুক্ত হতে চাই। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে চাই, যা আমার দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
জান্নাতুন আরাবী জেরিন
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আব্দুর রাজ্জাক খান

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেদের যুক্ত করব। এই বছরের ক্যাম্পাস ভাবনা আমাদের ছাত্রজীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে চিন্তা করতে এবং একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে প্রেরণা দেবে। আসুন, একসঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও শক্তিশালী, সম্মানজনক এবং সহায়ক করে তুলি।
সচেতনতাই হোক সম্ভাবনা
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। ২০২৫ সাল কেবল একটি বছর নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের দক্ষ, উদ্যমী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলার এক সোপান। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তব জীবনে শিক্ষার প্রয়োগ ও দক্ষতা বিকাশ। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি আমরা হতে পারি জাতির পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। ব্যক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না। দূষণ, বৈষম্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সচেতনতা ও উদ্যোগ জরুরি। শিক্ষা, উদ্ভাবন ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যাই নতুন সম্ভাবনার পথে।
মোতালেব হোসাইন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন বছর হোক নতুন সাফল্যের প্রতীক
নতুন বছর ২০২৫ আমাদের জীবনে নতুন সূচনার প্রতীক। এই বছরে প্রকৃতি যেন শীতল হাওয়া, সবুজ প্রান্তর ও সতেজ বৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। আমি চাই, নতুন বছর আমাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিক, সমাজে ন্যায্যতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক। সবাই যেন কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হয়ে পৃথিবীকে সবুজ ও নিরাপদ করে তুলি। সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধান করে উচ্চশিক্ষার উন্নত সুযোগ নিশ্চিত হোক। নতুন বছর হোক নতুন আশা, প্রেরণা ও সাফল্যের প্রতীক।
নাবিলা রহমান চৈতী
ইডেন মহিলা কলেজ।
নতুন বছর হোক পরিবর্তনের নতুন শুরু
নতুন বছর মানে নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা। ২০২৫ সাল আমার জীবনের বিশেষ একটি অধ্যায়। একদিকে শেষ বর্ষের পড়াশোনা, অন্যদিকে ক্যারিয়ার গঠনের চ্যালেঞ্জ। থিসিস সম্পন্ন করা এবং সাংবাদিকতার মূলনীতি বাস্তবে প্রয়োগের পাশাপাশি ডিজিটাল সাংবাদিকতার আধুনিক দিকগুলো শিখতে চাই।
ব্যক্তিগতভাবে, ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছি। প্রতিকূলতা আমাকে শেখায় থেমে না থেকে নতুন পথ খুঁজে নিতে। তাই ২০২৫ সালকে দেখছি স্বপ্ন, দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে।
আল হাসান আকুন্ঞ্জী
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই অঙ্গীকার
২০২৫ সাল আমার অনার্সের শেষ বছর এবং বার পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এ বছর সময় ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করব। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, ব্যায়াম ও সৃজনশীল কাজে সময় দেব। একাডেমিক সাফল্য, বার পরীক্ষায় প্রস্তুতি এবং বিতর্ক ও কবিতার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি। ক্যাম্পাসে সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। নতুন সম্ভাবনা ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই আমার অঙ্গীকার।
তামান্না আক্তার
আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার। ২০২৫ সালকে আমি স্বপ্নপূরণের অধ্যায় হিসেবে দেখি। একাডেমিক জীবনে মনোযোগী হয়ে গবেষণায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ক্লাব কার্যক্রমে নেতৃত্বের গুণাবলি শাণিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধ্যান ও ইতিবাচক চিন্তার চর্চা শুরু করেছি। নোবিপ্রবির উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব: ক্লাসরুম ও ল্যাব-সংকটের দ্রুত সমাধান, শিক্ষক ও হল-সংকট মোকাবিলা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মানসম্পন্ন ক্যাফেটেরিয়া ও আধুনিক টিএসসি নির্মাণ। এসব উদ্যোগ ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলবে। ২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর।
খায়রুল আমান শাওন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। প্রতিটি সূর্যোদয়ের সঙ্গে আসে নতুন আশা। ২০২৫ সাল এনেছে সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের একাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ভারসাম্য তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু ভালো ফলের পেছনে না ছুটে মানসিক ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আমাদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। ২০২৩ সালে উপলব্ধি করেছি, শুধু ক্লাস আর আড্ডায় সীমাবদ্ধ থাকলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম, সাংগঠনিক কাজ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের অদেখা ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করেছি। নতুন বছরে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্নতা, পথশিশুদের শিক্ষা, বনায়ন, পরিবেশ রক্ষা ও ট্রাফিক সচেতনতার মতো উদ্যোগ নিতে পারি। এগুলো আমাদের দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আত্ম-উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ই পারে আমাদের জীবনকে অনন্য করে তুলতে।
ফারহান ইবতেশাম জয়
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই
নতুন বছর আসে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা পুরোনো গ্লানি ভুলে সফলতার গল্প লিখতে চাই। ফার্স্ট ইয়ারে (স্নাতক) ভর্তি হয়ে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। নিয়মিত পড়াশোনা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিকাশে সচেষ্ট থাকতে চাই। ক্যাম্পাসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস আমার পরিকল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি অসহায় শিশুদের সহায়তা ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই। প্রতিদিনের সফলতা দিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে চাই।
মো. শাওন আহম্মেদ
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
আসুন, সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি
ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মেধা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশের কেন্দ্র। তবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সুযোগের অভাবে অনেকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে না। এক বছর আগে একটি দুর্ঘটনার কারণে আমি দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলাম। তবে পরিবারের উৎসাহ ও সহপাঠীর সহযোগিতায় আমি সাংবাদিক সমিতি ও বিতর্ক ক্লাবে যোগ দিতে সক্ষম হই। প্রথম রচনা প্রতিযোগিতায় স্থান অর্জন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে সব বাধা পেরোনো সম্ভব। আসুন, ২০২৫-এ আমরা সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি।
শায়লা আক্তার মীম
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বৈষম্যের ঠাঁই এই বাংলায় নাই
২০২৫-এর যাত্রা শুরু হোক বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলার স্বপ্ন নিয়ে। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে, রাস্তায় থাকা মানুষের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করে, রেশন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে শ্রমশক্তি বাড়ানো হোক। নারীর নিরাপত্তা ও সমান সুযোগের পথ প্রশস্ত করা, আস্থা জাগানো আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বাক্স্বাধীনতার সঠিক চর্চা নিশ্চিত করা হোক। কৃষি থাকুক কৃষকের হাতে, শিক্ষা হোক প্রয়োগভিত্তিক ও আগ্রহনির্ভর। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ বজায় রেখে গড়ে তুলি একটি শক্তিশালী, স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
তানিয়া আক্তার
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক
নতুন বছরে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা হলো শিক্ষা এবং সচেতনতার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করা। আমি বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার আলো সর্বত্র পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য আমি পরিকল্পনা করেছি, গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে বিনা মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনের মৌলিক দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করা। এ ছাড়া আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে চাই। সমাজে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মশালা আয়োজন করব এবং পরিবেশের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ ও পুনর্ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করব। আমার লক্ষ্য হলো, মানুষের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে সমাজকে একটি উন্নত, ন্যায়সংগত এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক।
শ্রেয়া ঘোষ
আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ।
স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং নতুন সূর্যোদয়
২০২৫ সাল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমরা এমন একটি দেশ হতে চাই, যেটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রত্যেক শিশু স্বপ্ন দেখবে, প্রত্যেক তরুণ সুযোগ পাবে এবং প্রত্যেক নাগরিক গর্বিত হবে তার দেশের উন্নতির অংশ হতে পেরে। এ বছর আমরা পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, নারী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে জোর দেব। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশ হতে পারে টেকসই উন্নয়নের পথিকৃৎ, যেখানে প্রতিটি প্রকল্প হবে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, শক্তিশালী এবং সুখী দেশ—যেখানে সবাই সুখী থাকবে এবং দেশের প্রতি গর্বিত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন বছরে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করি।
মো. সামিউল ইসলাম প্রমি
বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।
নতুন বছরের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা এবং এগিয়ে যাওয়ার নতুন সুযোগ। এই বছরকে আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখতে চাই। একাডেমিক লক্ষ্য হিসেবে আমার প্রথম উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দেওয়া। এই বছর আমি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি একাডেমিক গবেষণার কাজেও যুক্ত হতে চাই। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে চাই, যা আমার দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
জান্নাতুন আরাবী জেরিন
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেদের যুক্ত করব। এই বছরের ক্যাম্পাস ভাবনা আমাদের ছাত্রজীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে চিন্তা করতে এবং একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে প্রেরণা দেবে। আসুন, একসঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও শক্তিশালী, সম্মানজনক এবং সহায়ক করে তুলি।
সচেতনতাই হোক সম্ভাবনা
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। ২০২৫ সাল কেবল একটি বছর নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের দক্ষ, উদ্যমী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলার এক সোপান। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তব জীবনে শিক্ষার প্রয়োগ ও দক্ষতা বিকাশ। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি আমরা হতে পারি জাতির পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। ব্যক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না। দূষণ, বৈষম্য ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সচেতনতা ও উদ্যোগ জরুরি। শিক্ষা, উদ্ভাবন ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যাই নতুন সম্ভাবনার পথে।
মোতালেব হোসাইন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন বছর হোক নতুন সাফল্যের প্রতীক
নতুন বছর ২০২৫ আমাদের জীবনে নতুন সূচনার প্রতীক। এই বছরে প্রকৃতি যেন শীতল হাওয়া, সবুজ প্রান্তর ও সতেজ বৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। আমি চাই, নতুন বছর আমাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিক, সমাজে ন্যায্যতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক। সবাই যেন কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হয়ে পৃথিবীকে সবুজ ও নিরাপদ করে তুলি। সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধান করে উচ্চশিক্ষার উন্নত সুযোগ নিশ্চিত হোক। নতুন বছর হোক নতুন আশা, প্রেরণা ও সাফল্যের প্রতীক।
নাবিলা রহমান চৈতী
ইডেন মহিলা কলেজ।
নতুন বছর হোক পরিবর্তনের নতুন শুরু
নতুন বছর মানে নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা। ২০২৫ সাল আমার জীবনের বিশেষ একটি অধ্যায়। একদিকে শেষ বর্ষের পড়াশোনা, অন্যদিকে ক্যারিয়ার গঠনের চ্যালেঞ্জ। থিসিস সম্পন্ন করা এবং সাংবাদিকতার মূলনীতি বাস্তবে প্রয়োগের পাশাপাশি ডিজিটাল সাংবাদিকতার আধুনিক দিকগুলো শিখতে চাই।
ব্যক্তিগতভাবে, ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছি। প্রতিকূলতা আমাকে শেখায় থেমে না থেকে নতুন পথ খুঁজে নিতে। তাই ২০২৫ সালকে দেখছি স্বপ্ন, দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে।
আল হাসান আকুন্ঞ্জী
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই অঙ্গীকার
২০২৫ সাল আমার অনার্সের শেষ বছর এবং বার পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এ বছর সময় ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করব। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, ব্যায়াম ও সৃজনশীল কাজে সময় দেব। একাডেমিক সাফল্য, বার পরীক্ষায় প্রস্তুতি এবং বিতর্ক ও কবিতার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি। ক্যাম্পাসে সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। নতুন সম্ভাবনা ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলাই আমার অঙ্গীকার।
তামান্না আক্তার
আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার। ২০২৫ সালকে আমি স্বপ্নপূরণের অধ্যায় হিসেবে দেখি। একাডেমিক জীবনে মনোযোগী হয়ে গবেষণায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ক্লাব কার্যক্রমে নেতৃত্বের গুণাবলি শাণিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধ্যান ও ইতিবাচক চিন্তার চর্চা শুরু করেছি। নোবিপ্রবির উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব: ক্লাসরুম ও ল্যাব-সংকটের দ্রুত সমাধান, শিক্ষক ও হল-সংকট মোকাবিলা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মানসম্পন্ন ক্যাফেটেরিয়া ও আধুনিক টিএসসি নির্মাণ। এসব উদ্যোগ ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলবে। ২০২৫ হোক এগিয়ে যাওয়ার বছর।
খায়রুল আমান শাওন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। প্রতিটি সূর্যোদয়ের সঙ্গে আসে নতুন আশা। ২০২৫ সাল এনেছে সম্ভাবনা ও লক্ষ্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের একাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ভারসাম্য তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু ভালো ফলের পেছনে না ছুটে মানসিক ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আমাদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। ২০২৩ সালে উপলব্ধি করেছি, শুধু ক্লাস আর আড্ডায় সীমাবদ্ধ থাকলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম, সাংগঠনিক কাজ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের অদেখা ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করেছি। নতুন বছরে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্নতা, পথশিশুদের শিক্ষা, বনায়ন, পরিবেশ রক্ষা ও ট্রাফিক সচেতনতার মতো উদ্যোগ নিতে পারি। এগুলো আমাদের দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আত্ম-উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ই পারে আমাদের জীবনকে অনন্য করে তুলতে।
ফারহান ইবতেশাম জয়
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই
নতুন বছর আসে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা পুরোনো গ্লানি ভুলে সফলতার গল্প লিখতে চাই। ফার্স্ট ইয়ারে (স্নাতক) ভর্তি হয়ে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। নিয়মিত পড়াশোনা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিকাশে সচেষ্ট থাকতে চাই। ক্যাম্পাসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস আমার পরিকল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি অসহায় শিশুদের সহায়তা ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখতে চাই। প্রতিদিনের সফলতা দিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে চাই।
মো. শাওন আহম্মেদ
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
আসুন, সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি
ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মেধা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশের কেন্দ্র। তবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সুযোগের অভাবে অনেকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে না। এক বছর আগে একটি দুর্ঘটনার কারণে আমি দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলাম। তবে পরিবারের উৎসাহ ও সহপাঠীর সহযোগিতায় আমি সাংবাদিক সমিতি ও বিতর্ক ক্লাবে যোগ দিতে সক্ষম হই। প্রথম রচনা প্রতিযোগিতায় স্থান অর্জন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে সব বাধা পেরোনো সম্ভব। আসুন, ২০২৫-এ আমরা সবাই মিলে একটি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলি।
শায়লা আক্তার মীম
সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বৈষম্যের ঠাঁই এই বাংলায় নাই
২০২৫-এর যাত্রা শুরু হোক বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলার স্বপ্ন নিয়ে। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে, রাস্তায় থাকা মানুষের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করে, রেশন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে শ্রমশক্তি বাড়ানো হোক। নারীর নিরাপত্তা ও সমান সুযোগের পথ প্রশস্ত করা, আস্থা জাগানো আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বাক্স্বাধীনতার সঠিক চর্চা নিশ্চিত করা হোক। কৃষি থাকুক কৃষকের হাতে, শিক্ষা হোক প্রয়োগভিত্তিক ও আগ্রহনির্ভর। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ বজায় রেখে গড়ে তুলি একটি শক্তিশালী, স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
তানিয়া আক্তার
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক
নতুন বছরে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা হলো শিক্ষা এবং সচেতনতার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করা। আমি বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার আলো সর্বত্র পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য আমি পরিকল্পনা করেছি, গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে বিনা মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনের মৌলিক দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করা। এ ছাড়া আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে চাই। সমাজে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মশালা আয়োজন করব এবং পরিবেশের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ ও পুনর্ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করব। আমার লক্ষ্য হলো, মানুষের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে সমাজকে একটি উন্নত, ন্যায়সংগত এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন বছরটি সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে উঠুক।
শ্রেয়া ঘোষ
আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ।
স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং নতুন সূর্যোদয়
২০২৫ সাল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমরা এমন একটি দেশ হতে চাই, যেটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রত্যেক শিশু স্বপ্ন দেখবে, প্রত্যেক তরুণ সুযোগ পাবে এবং প্রত্যেক নাগরিক গর্বিত হবে তার দেশের উন্নতির অংশ হতে পেরে। এ বছর আমরা পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, নারী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে জোর দেব। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশ হতে পারে টেকসই উন্নয়নের পথিকৃৎ, যেখানে প্রতিটি প্রকল্প হবে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, শক্তিশালী এবং সুখী দেশ—যেখানে সবাই সুখী থাকবে এবং দেশের প্রতি গর্বিত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন বছরে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করি।
মো. সামিউল ইসলাম প্রমি
বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।
নতুন বছরের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা এবং এগিয়ে যাওয়ার নতুন সুযোগ। এই বছরকে আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখতে চাই। একাডেমিক লক্ষ্য হিসেবে আমার প্রথম উদ্দেশ্য হলো পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দেওয়া। এই বছর আমি পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি একাডেমিক গবেষণার কাজেও যুক্ত হতে চাই। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে চাই, যা আমার দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
জান্নাতুন আরাবী জেরিন
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য
১২ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য
১২ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা! ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন উদ্যোগ ও নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। ২০২৫ সাল আমাদের জন্য এক অনন্য যাত্রা হতে চলেছে, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখব না, বরং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার প্রসার এবং মানসিক স্বাস্থ্য
১২ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে