আনিসুল ইসলাম নাঈম
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ছেলে অর্ণব নূর। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচার বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে বৃত্তির জন্য আবেদন করেন আমেরিকার আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি এই বৃত্তি পান। অর্ণবের বৃত্তি পাওয়ার গল্প, আবেদনের প্রক্রিয়া ও নতুনদের জন্য পরামর্শ নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন।
বৃত্তি পাওয়ার অনুভূতি
যখন বৃত্তির মেইল আসে, তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম ভেঙে মোবাইল ফোন চেক করতেই দেখি সেই মেইলটা! আমি স্বপ্ন ভেবে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সত্যি বলতে, বৃত্তির মেইল পাওয়াটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হয়।
পেছনের গল্প
এই বৃত্তি পাওয়ার পেছনে আমার অনেক দিনের পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর আমার পরিবারের সমর্থন মূল ভূমিকা রেখেছে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা মারা যান। ওই অবস্থায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনিরাপত্তার মধ্যে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখাটা একটু উচ্চাভিলাষী ভাবনা ছিল। কিন্তু আমার মা ও বোনের সমর্থন এবং নিজের শ্রম ও বিশ্বাস আমাকে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।
যেভাবে বৃত্তি দেওয়া হয়
শুধু আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি নয়, আমেরিকায় আন্তর্জাতিকভাবে দুই ভাগে বৃত্তি দেওয়া হয়। এর একটি সেন্ট্রালি ফান্ডেড স্কলারশিপ এবং অন্যটি প্রফেসর রিকমেন্ডেশন স্কলারশিপ। সেন্ট্রালি ফান্ডেড স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আমেরিকার সব ইউনিভার্সিটির স্টেট বা সরকার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তহবিল বরাদ্দ থাকে। মেধার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি পারশিয়াল, হাফ ও ফুল ফান্ডিং দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের গবেষণাকাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্টাইপেন্ডের সুযোগও পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভালো প্রোফাইল, গবেষণা, রেজাল্ট, মোটিভেশন লেটার বড় ভূমিকা রাখে। আর প্রফেসর বেইজড ফান্ডের ক্ষেত্রে আমেরিকা, কানাডা—এসব দেশের শিক্ষকেরা গবেষণার জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। ভালো প্রোফাইল, জিআরই বা আইইএলটিএস স্কোর ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অধ্যাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অধ্যাপকেরা উপযুক্ত ও মেধাবীদের গবেষণার সুযোগ করে দেন। এ ক্ষেত্রে ভালো প্রোফাইল ও রিসার্চ ছাড়াও ভালো যোগাযোগ দক্ষতা এবং অধ্যাপককে গবেষণার যৌক্তিকতা বোঝানো বড় বিষয়।
যেসব বিষয়ে পড়া যায়
বৃত্তিতে অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স, ব্যবসা, ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যান সায়েন্স এবং লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স—এই ৬টি বিষয় রয়েছে। এই ফ্যাকাল্টির আওতায় ১০০টির ওপর মেজর কোর্স রয়েছে। সব কোর্সেই মেধাভিত্তিক কমবেশি বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
একেক বিভাগে আবেদনের যোগ্যতার ধরন একেক রকম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রির ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ থাকতে হবে। এ ছাড়া ইন্টার্নশিপ ও ন্যূনতম দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, থিসিস এবং প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ, ভালো জিআরই বা আইইএলটিএস স্কোর, এসব চেকলিস্ট পূরণ করলে আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়।
সুযোগ-সুবিধা
আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপের আওতায় পুরো টিউশন ফি, স্বাস্থ্যবিমা, আবাসিকসহ সব ধরনের ফিতে ওয়েভারের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি টিচিং-রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপও অফার করা হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কাগজপত্রের ক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সব সনদ, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস বা জিআরই স্কোর সার্টিফিকেট, মোটিভেশন লেটার দরকার। এ ছাড়া কোর্সভিত্তিক আরও কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে, যেগুলোর তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। আবেদনের আগে ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে রাখা ভালো।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলে শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বৃত্তি নির্বাচন করে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে পড়াশোনার বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বেশি হওয়া উচিত। অনেক ‘হাই র্যাঙ্কিং’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিষয়ের র্যাঙ্কিং ভালো না-ও হতে পারে। আবার অনেক মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে পড়ার মান খুব ভালো হতে পারে। যে বিষয় নিয়ে পড়ার ইচ্ছা, সেসব বিষয়ে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খুঁটিনাটি জেনে বৃত্তি পাওয়ার জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তোলা যায়।
যাঁদের সিজিপিএ কিছুটা কম, তাঁদের দমে যাওয়ার কিছু নেই, সিজিপিএ তাঁদের একটিমাত্র শর্ত। সেটা বাদেও তাঁদের অন্যান্য ক্রাইটেরিয়া থাকে।
নিজের কাজের একটি তালিকা তৈরি করা, আবেদনের প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে মেনে চলা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলাটা খুবই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বাইরে আবেদন করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
অর্ণব নূর, শিক্ষার্থী, মাস্টার্স অব ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ছেলে অর্ণব নূর। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচার বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে বৃত্তির জন্য আবেদন করেন আমেরিকার আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি এই বৃত্তি পান। অর্ণবের বৃত্তি পাওয়ার গল্প, আবেদনের প্রক্রিয়া ও নতুনদের জন্য পরামর্শ নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন।
বৃত্তি পাওয়ার অনুভূতি
যখন বৃত্তির মেইল আসে, তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম ভেঙে মোবাইল ফোন চেক করতেই দেখি সেই মেইলটা! আমি স্বপ্ন ভেবে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সত্যি বলতে, বৃত্তির মেইল পাওয়াটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হয়।
পেছনের গল্প
এই বৃত্তি পাওয়ার পেছনে আমার অনেক দিনের পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর আমার পরিবারের সমর্থন মূল ভূমিকা রেখেছে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা মারা যান। ওই অবস্থায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনিরাপত্তার মধ্যে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখাটা একটু উচ্চাভিলাষী ভাবনা ছিল। কিন্তু আমার মা ও বোনের সমর্থন এবং নিজের শ্রম ও বিশ্বাস আমাকে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।
যেভাবে বৃত্তি দেওয়া হয়
শুধু আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি নয়, আমেরিকায় আন্তর্জাতিকভাবে দুই ভাগে বৃত্তি দেওয়া হয়। এর একটি সেন্ট্রালি ফান্ডেড স্কলারশিপ এবং অন্যটি প্রফেসর রিকমেন্ডেশন স্কলারশিপ। সেন্ট্রালি ফান্ডেড স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আমেরিকার সব ইউনিভার্সিটির স্টেট বা সরকার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তহবিল বরাদ্দ থাকে। মেধার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি পারশিয়াল, হাফ ও ফুল ফান্ডিং দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের গবেষণাকাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্টাইপেন্ডের সুযোগও পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভালো প্রোফাইল, গবেষণা, রেজাল্ট, মোটিভেশন লেটার বড় ভূমিকা রাখে। আর প্রফেসর বেইজড ফান্ডের ক্ষেত্রে আমেরিকা, কানাডা—এসব দেশের শিক্ষকেরা গবেষণার জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। ভালো প্রোফাইল, জিআরই বা আইইএলটিএস স্কোর ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অধ্যাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অধ্যাপকেরা উপযুক্ত ও মেধাবীদের গবেষণার সুযোগ করে দেন। এ ক্ষেত্রে ভালো প্রোফাইল ও রিসার্চ ছাড়াও ভালো যোগাযোগ দক্ষতা এবং অধ্যাপককে গবেষণার যৌক্তিকতা বোঝানো বড় বিষয়।
যেসব বিষয়ে পড়া যায়
বৃত্তিতে অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স, ব্যবসা, ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যান সায়েন্স এবং লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স—এই ৬টি বিষয় রয়েছে। এই ফ্যাকাল্টির আওতায় ১০০টির ওপর মেজর কোর্স রয়েছে। সব কোর্সেই মেধাভিত্তিক কমবেশি বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
একেক বিভাগে আবেদনের যোগ্যতার ধরন একেক রকম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রির ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ থাকতে হবে। এ ছাড়া ইন্টার্নশিপ ও ন্যূনতম দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, থিসিস এবং প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ, ভালো জিআরই বা আইইএলটিএস স্কোর, এসব চেকলিস্ট পূরণ করলে আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়।
সুযোগ-সুবিধা
আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপের আওতায় পুরো টিউশন ফি, স্বাস্থ্যবিমা, আবাসিকসহ সব ধরনের ফিতে ওয়েভারের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি টিচিং-রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপও অফার করা হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কাগজপত্রের ক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সব সনদ, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস বা জিআরই স্কোর সার্টিফিকেট, মোটিভেশন লেটার দরকার। এ ছাড়া কোর্সভিত্তিক আরও কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে, যেগুলোর তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। আবেদনের আগে ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে রাখা ভালো।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলে শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বৃত্তি নির্বাচন করে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে পড়াশোনার বিষয়ের ওপর গুরুত্ব বেশি হওয়া উচিত। অনেক ‘হাই র্যাঙ্কিং’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিষয়ের র্যাঙ্কিং ভালো না-ও হতে পারে। আবার অনেক মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে পড়ার মান খুব ভালো হতে পারে। যে বিষয় নিয়ে পড়ার ইচ্ছা, সেসব বিষয়ে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খুঁটিনাটি জেনে বৃত্তি পাওয়ার জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তোলা যায়।
যাঁদের সিজিপিএ কিছুটা কম, তাঁদের দমে যাওয়ার কিছু নেই, সিজিপিএ তাঁদের একটিমাত্র শর্ত। সেটা বাদেও তাঁদের অন্যান্য ক্রাইটেরিয়া থাকে।
নিজের কাজের একটি তালিকা তৈরি করা, আবেদনের প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে মেনে চলা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলাটা খুবই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বাইরে আবেদন করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
অর্ণব নূর, শিক্ষার্থী, মাস্টার্স অব ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১৪ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
১৫ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
১৭ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
১ দিন আগে