Ajker Patrika

দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার বিষয়ে বিআইজিডির সম্মেলন

বিজ্ঞপ্তি  
দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার বিষয়ে বিআইজিডির সম্মেলন
দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার বিষয়ে বিআইজিডির সম্মেলন

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং সাসটেইনিং পাওয়ার: উইমেন্স স্ট্রাগলস অ্যাগেইনস্ট কনটেমপোরারি ব্যাকল্যাশ ইন সাউথ এশিয়ার (এসইউপিডব্লিউআর) যৌথ আয়োজনে নগরীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘উইমেন্স মুভমেন্ট নেভিগেটিং চেঞ্জ ইন সাউথ এশিয়া: বিল্ডিং সলিডারিটি অ্যান্ড রেজিস্টিং ব্যাকল্যাশ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক ধাক্কা কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় নারী অধিকার ও নারী-পুরুষ সমতার বিভিন্ন বিষয়কে প্রভাবিত করেছে তা নিয়ে এ সম্মেলনে বক্তারা আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল কিংবা, পাকিস্তান-প্রতিটি দেশেরই রয়েছে অর্থনৈতিক বা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের অভিজ্ঞতা। এই পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নারী-পুরুষের সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে একধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সম্মেলনে আগত অতিথিদের বক্তব্যে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন পারভীন হক এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, নারী অধিকার আন্দোলনের বিরোধিতার পেছনের কারণগুলি বোঝা খুব জরুরি। তিনি জুলাই-আন্দোলনে নারীদের অবদানের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, হাজার হাজার মেয়ে ও নারীরা নেতিবাচক কোনো কিছুর ঘটার ভয় না পেয়ে জুলাই-আন্দোলনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল। এটা আমার প্রজন্মের নারীদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের সময়ে যখন নারী কর্মীরা দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করত, তখন তারা প্রায়ই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতো। ফলে তারা পিছপা হতো বা, সে জন্য তাদের মাশুল দিতে হতো।

প্রগতিশীলতা সবার জন্য সমানভাবে কাজ করছে কি না-এ ব্যাপারে বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে সামনের দিনে আরও ভালোভাবে কাজ করার জন্য আমাদের মাঝে সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনার চর্চা করতে হবে এবং সেটি খুবই জরুরি।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের ওপরও জোর দেন। বিআইজিডির সিনিয়র ফেলো অব প্র্যাকটিস ও জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল মুভমেন্টস ক্লাস্টারের প্রধান মাহীন সুলতান বলেন, ‘আমরা শুধু সামাজিক আন্দোলন সম্পর্কে গবেষণা করতে চাই না, বরং সক্রিয়ভাবে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চাই।’

দিনব্যাপী এই সম্মেলনে গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং প্র্যাকটিশনাররা একত্রিত হন ও জেন্ডার জাস্টিস সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যাদি বিনিময় করেন। এসইউপিডব্লিউআর হল পাঁচ বছরব্যাপী, বহু-দেশীয় একটি তুলনামূলক গবেষণা প্রকল্প। নারীবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় কোনো কোনো কৌশলগুলি কাজ করেছে, তা বুঝতে এ প্রকল্পে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের ১৬টি নারীবাদী আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক গবেষণা কাউন্সিল। ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে প্রকল্প সমন্বয় করছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় এর চারটি অংশীদার রয়েছে। অংশীদারগুলো হলো বাংলাদেশে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ভারতে আইএসএসটি, পাকিস্তানে আইডিয়াস ও এলইউএমএস এবং নেপালে কেয়ার।

সম্মেলনের পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে লৈঙ্গিক ন্যায়বিচার বিষয়ক সংগ্রামের শিল্পকর্ম, ছবি ও অডিও-ভিজ্যুয়াল আউটপুট নিয়ে একটি প্রদর্শনী চলছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের শিল্পকর্ম ও ছবি নিয়েই সাজানো হয়েছে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনীটি ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে জানাজা হলো না সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের, তীব্র সমালোচনার মুখে প্রশাসন

প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় সাবেক শিবির নেতা আটক

মধ্যরাতে মহাসড়কে ৩৭ লাখ টাকাসহ এলজিইডি প্রকৌশলী আটক

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে রাষ্ট্রদূতের ফেসবুকে পোস্ট, পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত

প্রত্যাহার হওয়া ওসির খোঁজে থানায় ভিড় পাওনাদারদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত