মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
তাঁর সংগ্রহে আছে ১৫০টির বেশি দেশের ব্যাংক নোট ও ধাতব মুদ্রা। ডাকটিকিট আছে ১২০টি দেশের, সংখ্যাটা এক হাজারের বেশি। শৌখিন এই সংগ্রাহকের নাম ওয়াসিম ইকবাল সাজিদ। বাবা একজন পুলিশ অফিসার। সাজিদ গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
যেভাবে শুরু
সাজিদের বাবা একজন পুলিশ অফিসার। চাকরির সুবাদে কখনো দেশের বাইরে গেলে তিনি সন্তানের জন্য সংগ্রহ করতেন বিদেশি মুদ্রা। সেসব দেখে মুদ্রা সংগ্রহের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে সাজিদের। স্কুলে পড়ার সময় থেকে মুদ্রা জমানো শুরু করেন তিনি। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। পরিচয় হয়েছে বিখ্যাত সংগ্রাহকদের সঙ্গে। দেখেছেন তাঁদের মুদ্রার সংগ্রহ। কখনো অদলবদল করেছেন, কখনো কিনে নিয়েছেন পছন্দের মুদ্রা ও ডাকটিকিট।
টিউশনি ও সালামির টাকায় সংগ্রহ
ঈদের সালামি কবে নিজের জন্য খরচ করেছেন, তা মনে নেই সাজিদের। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকটিকিট কেনার জন্য তিনি সে টাকা ব্যয় করেন। শুধু তা-ই নয়, টিউশনি করিয়ে পাওয়া টাকা বা হাতখরচের টাকা জমিয়েও তিনি কেনেন মুদ্রা ও ডাকটিকিট। মুদ্রা জমানো ব্যয়বহুল শখ। তাই সাজিদকে টাকা জমানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হয়েছে। পর্যাপ্ত টাকা জমানো হলে কিনে নেন পছন্দের দেশের মুদ্রা কিংবা ডাকটিকিট। এ জন্য মায়ের হাতে বেশ মারও খেয়েছেন তিনি।
সহযোগিতা পেয়েছেন প্রচুর
সাজিদের সংগ্রহ বিখ্যাত সংগ্রাহকদের প্রশংসা পেয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁরা সাজিদের সংগ্রহ বাড়াতে যেমন সাহায্য করেছেন, তেমনি পরামর্শও দিয়েছেন। এসব মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডা. ফরহাদুর রহমান, রাকিন সরকার ও রবিউল ইসলাম রবি।
সাজিদের সংগ্রহ
মূলত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক নোট ও প্রাচীন মুদ্রা এবং ডাকটিকিটের সংগ্রাহক সাজিদ। তাঁর সংগ্রহে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেডেল, রোমান সাম্রাজ্যের মুদ্রা এবং অটোমান সুলতান আবদুল হামিদ দ্বিতীয়র মুদ্রা। এ ছাড়া তাঁর সংগ্রহে আছে ভারতীয় উপমহাদেশের সুলতানি আমলের দশটির বেশি রৌপ্যমুদ্রা, মোগল আমলের সাতজন শাসকের রৌপ্যমুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের অসংখ্য রৌপ্য ও তামার মুদ্রাসহ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্যাংক নোট, মুদ্রা ইত্যাদি।
সাজিদের কাছে আছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৭৫-এর মৌর্য সাম্রাজ্যের রৌপ্যমুদ্রা। এটি তাঁর কাছে থাকা সবচেয়ে প্রাচীন মুদ্রা। এ ছাড়া ৭০০-৮০০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ের হরিকেল রাজ্যের মুদ্রা, সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ এবং রোমান শাসক দ্বিতীয় কনস্টানটিয়াসের মুদ্রাও
আছে সাজিদের সংগ্রহে।
প্রদর্শনী
নিজের সংগ্রহ নিয়ে ওল্ড ঢাকা কালেক্টর সোসাইটি আয়োজিত প্রদর্শনী, শখের মেলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ কালেক্টর সোসাইটি আয়োজিত অনেক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সাজিদ। অনবদ্য সংগ্রহের কারণে ২০২০ সালে কালেক্টর ডিরেক্টরিতে সাজিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
আনন্দ আছে, আছে বিষাদ
স্কুলের বন্ধুদের ধাতব মুদ্রা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন একবার। টিফিনের ফাঁকে সেগুলো চুরি হয়ে যায়। সাজিদের খুব মন খারাপ হয়েছিল। মুদ্রা হারানোর সেই কষ্ট আজও ভুলতে পারেননি তিনি।
নিজের সংগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন জেলার মানুষের সঙ্গে কথা হয় সাজিদের। হয় অভিজ্ঞতা বিনিময়। মুদ্রা ও ডাকটিকিট সংগ্রহ করতে গিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হয় তাঁকে। অভিজ্ঞ সংগ্রাহকদের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারেন। এই শিক্ষায় আনন্দ খুঁজে পান সাজিদ।
এবং পড়াশোনা
মুদ্রা ও ডাকটিকিট সংগ্রহের কাজ সাজিদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় না; বরং তিনি মনে করেন, এ কাজ তাঁর মন ভালো রাখে। সাজিদ শুধু একজন সংগ্রাহকই নন, একজন স্বেচ্ছাসেবকও। তিনি দেশে আয়োজিত জাতিসংঘের বিভিন্ন ইভেন্টের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে স্বেচ্ছাসেবী তিনি।
ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংক নোটসহ বিভিন্ন মুদ্রা সংগ্রহের ইচ্ছা আছে সাজিদের। ডাকটিকিটের সংগ্রহও বাড়াবেন তিনি। এ ছাড়া প্রাচীন মুদ্রা, ব্যাংক নোট, ডাকটিকিট ইত্যাদি সংগ্রহের গুরুত্ব সবার মাঝে তুলে ধরতে চান সাজিদ।
তাঁর সংগ্রহে আছে ১৫০টির বেশি দেশের ব্যাংক নোট ও ধাতব মুদ্রা। ডাকটিকিট আছে ১২০টি দেশের, সংখ্যাটা এক হাজারের বেশি। শৌখিন এই সংগ্রাহকের নাম ওয়াসিম ইকবাল সাজিদ। বাবা একজন পুলিশ অফিসার। সাজিদ গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
যেভাবে শুরু
সাজিদের বাবা একজন পুলিশ অফিসার। চাকরির সুবাদে কখনো দেশের বাইরে গেলে তিনি সন্তানের জন্য সংগ্রহ করতেন বিদেশি মুদ্রা। সেসব দেখে মুদ্রা সংগ্রহের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে সাজিদের। স্কুলে পড়ার সময় থেকে মুদ্রা জমানো শুরু করেন তিনি। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। পরিচয় হয়েছে বিখ্যাত সংগ্রাহকদের সঙ্গে। দেখেছেন তাঁদের মুদ্রার সংগ্রহ। কখনো অদলবদল করেছেন, কখনো কিনে নিয়েছেন পছন্দের মুদ্রা ও ডাকটিকিট।
টিউশনি ও সালামির টাকায় সংগ্রহ
ঈদের সালামি কবে নিজের জন্য খরচ করেছেন, তা মনে নেই সাজিদের। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকটিকিট কেনার জন্য তিনি সে টাকা ব্যয় করেন। শুধু তা-ই নয়, টিউশনি করিয়ে পাওয়া টাকা বা হাতখরচের টাকা জমিয়েও তিনি কেনেন মুদ্রা ও ডাকটিকিট। মুদ্রা জমানো ব্যয়বহুল শখ। তাই সাজিদকে টাকা জমানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হয়েছে। পর্যাপ্ত টাকা জমানো হলে কিনে নেন পছন্দের দেশের মুদ্রা কিংবা ডাকটিকিট। এ জন্য মায়ের হাতে বেশ মারও খেয়েছেন তিনি।
সহযোগিতা পেয়েছেন প্রচুর
সাজিদের সংগ্রহ বিখ্যাত সংগ্রাহকদের প্রশংসা পেয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁরা সাজিদের সংগ্রহ বাড়াতে যেমন সাহায্য করেছেন, তেমনি পরামর্শও দিয়েছেন। এসব মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডা. ফরহাদুর রহমান, রাকিন সরকার ও রবিউল ইসলাম রবি।
সাজিদের সংগ্রহ
মূলত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক নোট ও প্রাচীন মুদ্রা এবং ডাকটিকিটের সংগ্রাহক সাজিদ। তাঁর সংগ্রহে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেডেল, রোমান সাম্রাজ্যের মুদ্রা এবং অটোমান সুলতান আবদুল হামিদ দ্বিতীয়র মুদ্রা। এ ছাড়া তাঁর সংগ্রহে আছে ভারতীয় উপমহাদেশের সুলতানি আমলের দশটির বেশি রৌপ্যমুদ্রা, মোগল আমলের সাতজন শাসকের রৌপ্যমুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের অসংখ্য রৌপ্য ও তামার মুদ্রাসহ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্যাংক নোট, মুদ্রা ইত্যাদি।
সাজিদের কাছে আছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৭৫-এর মৌর্য সাম্রাজ্যের রৌপ্যমুদ্রা। এটি তাঁর কাছে থাকা সবচেয়ে প্রাচীন মুদ্রা। এ ছাড়া ৭০০-৮০০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ের হরিকেল রাজ্যের মুদ্রা, সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ এবং রোমান শাসক দ্বিতীয় কনস্টানটিয়াসের মুদ্রাও
আছে সাজিদের সংগ্রহে।
প্রদর্শনী
নিজের সংগ্রহ নিয়ে ওল্ড ঢাকা কালেক্টর সোসাইটি আয়োজিত প্রদর্শনী, শখের মেলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ কালেক্টর সোসাইটি আয়োজিত অনেক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সাজিদ। অনবদ্য সংগ্রহের কারণে ২০২০ সালে কালেক্টর ডিরেক্টরিতে সাজিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
আনন্দ আছে, আছে বিষাদ
স্কুলের বন্ধুদের ধাতব মুদ্রা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন একবার। টিফিনের ফাঁকে সেগুলো চুরি হয়ে যায়। সাজিদের খুব মন খারাপ হয়েছিল। মুদ্রা হারানোর সেই কষ্ট আজও ভুলতে পারেননি তিনি।
নিজের সংগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন জেলার মানুষের সঙ্গে কথা হয় সাজিদের। হয় অভিজ্ঞতা বিনিময়। মুদ্রা ও ডাকটিকিট সংগ্রহ করতে গিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হয় তাঁকে। অভিজ্ঞ সংগ্রাহকদের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারেন। এই শিক্ষায় আনন্দ খুঁজে পান সাজিদ।
এবং পড়াশোনা
মুদ্রা ও ডাকটিকিট সংগ্রহের কাজ সাজিদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় না; বরং তিনি মনে করেন, এ কাজ তাঁর মন ভালো রাখে। সাজিদ শুধু একজন সংগ্রাহকই নন, একজন স্বেচ্ছাসেবকও। তিনি দেশে আয়োজিত জাতিসংঘের বিভিন্ন ইভেন্টের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে স্বেচ্ছাসেবী তিনি।
ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংক নোটসহ বিভিন্ন মুদ্রা সংগ্রহের ইচ্ছা আছে সাজিদের। ডাকটিকিটের সংগ্রহও বাড়াবেন তিনি। এ ছাড়া প্রাচীন মুদ্রা, ব্যাংক নোট, ডাকটিকিট ইত্যাদি সংগ্রহের গুরুত্ব সবার মাঝে তুলে ধরতে চান সাজিদ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘ফোরাম উইক ২০২৫ ’। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে বিষয় ও প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিষয় পাওয়া শিক্ষার্থীদের ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ভর্তি নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
১৮ ঘণ্টা আগেসুইডেনে ডালার্না ইউনিভার্সিটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে