
বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে