
বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১২ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১২ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি
মো. দিদার হোসেন

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১২ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১২ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১২ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১২ ঘণ্টা আগে