মুসাররাত আবির
গত পর্বে জিম্যাট কী, সে সম্পর্কে জেনেছি। আজকের পর্বে জিম্যাটের সেকশনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা—
২০২৪ সাল থেকে জিম্যাটের ফরম্যাটে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো, চারটি সেকশনের পরিবর্তে তিনটি সেকশন করা। সেই তিনটি সেকশন হলো—কোয়ান্টিটিভ রিজনিং (২১টি প্রশ্ন), ভার্বাল রিজনিং (২৩টি প্রশ্ন) ও ডেটা ইনসাইটস (২০টি প্রশ্ন)।
কোয়ান্টিটিভ রিজনিং
এ ধাপে একজন পরীক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ এবং যুক্তি ও দক্ষতা ব্যবহার করে প্রশ্ন সমাধান করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। পুরো সেকশনটিতে বীজগণিত, পাটিগণিত ও জ্যামিতি থেকে ২১টি প্রশ্ন করা হয়। আর এগুলো সমাধানের জন্য আলাদা করে কোনো ক্যালকুলেটর বহন করা লাগবে না। স্ক্রিনেই একটি ক্যালকুলেটর চলে আসবে, সেটি ব্যবহার করে হিসাব করা যাবে।
সাধারণত পাটিগণিত অংশে সংখ্যাতত্ত্ব, ইউনিট, সূচক, লগারিদম, বর্গমূল, ঘনমূল, ভগ্নাংশ), অনুপাত, মিশ্রণ, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সময়, গতি, দূরত্ব, সেট, পরিসংখ্যান ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। বীজগণিতের প্রশ্ন সমীকরণ, দ্বিঘাত সমীকরণ, বহুপদ, ফাংশন, সূচক, অসমতা, স্থানান্তর, সমন্বয় ইত্যাদি থেকে করা হয়। আর জ্যামিতিতে থাকে ত্রিভুজ, রেখা এবং কোণ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ইত্যাদি।
ভার্বাল রিজনিং
এ বিভাগে একজন পরীক্ষার্থীর ইংরেজি পড়া ও বোঝার বোধগম্য এবং ইংরেজিতে সমালোচনামূলক যুক্তি মূল্যায়ন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ ভাগে দুই ধরনের বহুনির্বাচনীমূলক প্রশ্ন থাকে। প্রথম ধরনে ৩৫০ শব্দের কিছু অনুচ্ছেদ পড়তে হয়, এরপর সেখান থেকে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি অনুচ্ছেদগুলো কী রকম বুঝতে পারছেন এবং বিষয়বস্তুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ শনাক্ত করতে পারছেন, সেটা দেখা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নের ধরনে আপনার যুক্তি খণ্ডনের দক্ষতা দেখা হয়। আপনাকে একধরনের অর্ধ সমাপ্ত অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়, যেটা পড়ে আপনাকে যুক্তি দিয়ে একটি উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। এখানে প্যারালাল ইজম, মডিফায়ার, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট, কাউন্টেবল-আনকাউন্টেবল নাউন থেকেও প্রশ্ন চলে আসে।
ডেটা ইনসাইটস
এটি জিম্যাটের নতুন সংযোজন। এখানে পরীক্ষার্থীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
এই অংশে টেবিল বা গ্রাফ আকারে কিছু ডেটা দেওয়া হয় এবং সেটাকে বিশ্লেষণ করতে হয়। বর্তমানে ব্যবসার জগতে কী ধরনের ডেটা কাজে আসে, ব্যবসার বিভিন্ন সমস্যা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা, প্যাটার্ন নির্ধারণ—এ ধরনের প্রশ্ন এখানে করা হয়। আরও থাকে ডেটা সাফিসিয়েন্সি, গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন, টেবিল অ্যানালাইসিস, টু-পার্ট অ্যানালাইসিস, মাল্টি-সোর্স রিজনিং ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন।
আর কী পরিবর্তন
যেহেতু জিম্যাট কম্পিউটার অ্যাডাপ্টিভ টেস্ট, তাই কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দিলে বা ভুল করলে আবার সেই উত্তর ঠিক করার কোনো সুযোগ আগে ছিল না। তবে ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ বার রেখে আসা বা ভুল করা প্রশ্নের উত্তর সম্পাদনা করতে পারবেন। এ জন্য যে প্রশ্নটার উত্তর আবার দিতে চান, সে প্রশ্নটাকে বুকমার্ক করে ফেলতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষে স্ক্রিনের ‘রিভিউ অ্যান্ড এডিট’ সেকশনে গেলেই সম্পাদনা করা যাবে। প্রতিটি সেকশনের জন্য বরাদ্দ থাকতে ৪৫ মিনিট, মাঝে ১০ মিনিটের বিরতি। অর্থাৎ মোট ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা।
পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই আন-অফিশিয়াল ফলাফল দেখতে পারবেন। অফিশিয়াল স্কোর পেতে এক সপ্তাহের মতো অপেক্ষা করতে হবে। স্কোরের পাশাপাশি আপনার পারফরম্যান্সের একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পেয়ে যাবেন।
সূত্র: জিম্যাট নিঞ্জা, এমবিএ ডটকম
গত পর্বে জিম্যাট কী, সে সম্পর্কে জেনেছি। আজকের পর্বে জিম্যাটের সেকশনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা—
২০২৪ সাল থেকে জিম্যাটের ফরম্যাটে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো, চারটি সেকশনের পরিবর্তে তিনটি সেকশন করা। সেই তিনটি সেকশন হলো—কোয়ান্টিটিভ রিজনিং (২১টি প্রশ্ন), ভার্বাল রিজনিং (২৩টি প্রশ্ন) ও ডেটা ইনসাইটস (২০টি প্রশ্ন)।
কোয়ান্টিটিভ রিজনিং
এ ধাপে একজন পরীক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ এবং যুক্তি ও দক্ষতা ব্যবহার করে প্রশ্ন সমাধান করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। পুরো সেকশনটিতে বীজগণিত, পাটিগণিত ও জ্যামিতি থেকে ২১টি প্রশ্ন করা হয়। আর এগুলো সমাধানের জন্য আলাদা করে কোনো ক্যালকুলেটর বহন করা লাগবে না। স্ক্রিনেই একটি ক্যালকুলেটর চলে আসবে, সেটি ব্যবহার করে হিসাব করা যাবে।
সাধারণত পাটিগণিত অংশে সংখ্যাতত্ত্ব, ইউনিট, সূচক, লগারিদম, বর্গমূল, ঘনমূল, ভগ্নাংশ), অনুপাত, মিশ্রণ, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সময়, গতি, দূরত্ব, সেট, পরিসংখ্যান ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। বীজগণিতের প্রশ্ন সমীকরণ, দ্বিঘাত সমীকরণ, বহুপদ, ফাংশন, সূচক, অসমতা, স্থানান্তর, সমন্বয় ইত্যাদি থেকে করা হয়। আর জ্যামিতিতে থাকে ত্রিভুজ, রেখা এবং কোণ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ইত্যাদি।
ভার্বাল রিজনিং
এ বিভাগে একজন পরীক্ষার্থীর ইংরেজি পড়া ও বোঝার বোধগম্য এবং ইংরেজিতে সমালোচনামূলক যুক্তি মূল্যায়ন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ ভাগে দুই ধরনের বহুনির্বাচনীমূলক প্রশ্ন থাকে। প্রথম ধরনে ৩৫০ শব্দের কিছু অনুচ্ছেদ পড়তে হয়, এরপর সেখান থেকে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি অনুচ্ছেদগুলো কী রকম বুঝতে পারছেন এবং বিষয়বস্তুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ শনাক্ত করতে পারছেন, সেটা দেখা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নের ধরনে আপনার যুক্তি খণ্ডনের দক্ষতা দেখা হয়। আপনাকে একধরনের অর্ধ সমাপ্ত অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়, যেটা পড়ে আপনাকে যুক্তি দিয়ে একটি উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। এখানে প্যারালাল ইজম, মডিফায়ার, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট, কাউন্টেবল-আনকাউন্টেবল নাউন থেকেও প্রশ্ন চলে আসে।
ডেটা ইনসাইটস
এটি জিম্যাটের নতুন সংযোজন। এখানে পরীক্ষার্থীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
এই অংশে টেবিল বা গ্রাফ আকারে কিছু ডেটা দেওয়া হয় এবং সেটাকে বিশ্লেষণ করতে হয়। বর্তমানে ব্যবসার জগতে কী ধরনের ডেটা কাজে আসে, ব্যবসার বিভিন্ন সমস্যা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা, প্যাটার্ন নির্ধারণ—এ ধরনের প্রশ্ন এখানে করা হয়। আরও থাকে ডেটা সাফিসিয়েন্সি, গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন, টেবিল অ্যানালাইসিস, টু-পার্ট অ্যানালাইসিস, মাল্টি-সোর্স রিজনিং ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন।
আর কী পরিবর্তন
যেহেতু জিম্যাট কম্পিউটার অ্যাডাপ্টিভ টেস্ট, তাই কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দিলে বা ভুল করলে আবার সেই উত্তর ঠিক করার কোনো সুযোগ আগে ছিল না। তবে ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ বার রেখে আসা বা ভুল করা প্রশ্নের উত্তর সম্পাদনা করতে পারবেন। এ জন্য যে প্রশ্নটার উত্তর আবার দিতে চান, সে প্রশ্নটাকে বুকমার্ক করে ফেলতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষে স্ক্রিনের ‘রিভিউ অ্যান্ড এডিট’ সেকশনে গেলেই সম্পাদনা করা যাবে। প্রতিটি সেকশনের জন্য বরাদ্দ থাকতে ৪৫ মিনিট, মাঝে ১০ মিনিটের বিরতি। অর্থাৎ মোট ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা।
পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই আন-অফিশিয়াল ফলাফল দেখতে পারবেন। অফিশিয়াল স্কোর পেতে এক সপ্তাহের মতো অপেক্ষা করতে হবে। স্কোরের পাশাপাশি আপনার পারফরম্যান্সের একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পেয়ে যাবেন।
সূত্র: জিম্যাট নিঞ্জা, এমবিএ ডটকম
সদ্যসমাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে, সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের চিত্র অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রত্যাশিত।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। বাকি তিনটি পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সদস্যপদ রয়েছে ১৩ টি। এই পদেও শিবিরের প্রার্থীরা একচেটিয়
৫ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি এই বিজয়কে শুধুমাত্র শিবিরের বিজয় বলে মনে করছি না, বরং এই বিজয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর এবং দেশের আপামর মানুষের। যাঁরা কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের রাজনীতি চান, এটা তাঁদের বিজয় হিসেবে দেখব...
৫ ঘণ্টা আগেডাকসুতে জিএস হিসেবে জয় ব্যক্তিগত অর্জন বা ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের জয় নয় বরং এটা ঢাবির সব শিক্ষার্থীদের জয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বা জিএস এস এম ফরহাদ। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে