মো. শাকিলুর জামান শাকিল

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
মো. শাকিলুর জামান শাকিল

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট ও কার্যকর মাধ্যম হলো ক্লাস বা শ্রেণি কার্যক্রম। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মনো-জাগতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া মানসম্পন্ন শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা দরকার।
সিলেবাসের পরিধি
উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের পরিধি সময়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক ব্যাপক। স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে হয়। এ ছাড়া একাদশের পরে দ্বাদশ শ্রেণিতে সময়টাও অনেক কম থাকে। আবার পড়াশোনার চাপটা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে সিলেবাসের সবগুলো টপিকের ওপর ভালো দখল অর্জন করা উচিত। কোনো টপিকে দুর্বলতা রেখে অধ্যায়টি শেষ করলে সেই দুর্বলতা পূরণের জন্য দ্বিতীয়বার সময় পাওয়া কঠিন।
ইন্টারনেট বা অনলাইন
অনেক শিক্ষার্থী মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব বই-পুস্তক বা লেকচার রয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক রেখে ইন্টারনেট নিয়ে পড়তে বসে। ধীরে ধীরে মনোযোগ পড়াশোনা থেকে সরে অন্যদিকে ধাবিত হয়। সময় শেষ হয় ঠিকই, কিন্তু পড়া আর শেষ হয় না। সুতরাং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটনির্ভর না হয়ে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার জন্য ইন্টারনেটের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু যোগাযোগ রক্ষার্থে সীমিত পরিসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সময়ের সদ্ব্যবহার
উচ্চমাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করা। শিক্ষার্থীরা জীবনে কে কী হতে চায় তার অনেকটাই নির্ভর করে তারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সময়কে কীভাবে কাজে লাগাল তার ওপরে। তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
আত্মবিশ্বাস
শহরের অনেক সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এইচএসসির বইপত্র নিয়ে পড়া শুরু করে এবং কলেজে ভর্তির আগেই সিলেবাসের একটা অংশ শেষ করে ফেলে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের শহুরে বন্ধুদের এ অবস্থায় দেখে অনেকটাই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। তবে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না, মনে রাখতে হবে, ‘Slow and steady wins the race’। নিরলস পরিশ্রম আর নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছাত্রটাও হয়ে উঠতে পারে আত্মবিশ্বাসী এবং পৌঁছাতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে, যা আর পাল্টানো যায় না। সুতরাং এইচএসসিতে ভর্তির সময়েই একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার জীবনের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা। এর ফলে তারা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুত করতে পারে। তা ছাড়া সিলেবাসের কোন বিষয়ে কেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, তা-ও নির্ধারণ করা যায়।
মেধা বনাম পরিশ্রম
পৃথিবীতে অনেক মেধাবী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি নেই যিনি পরাজিত হয়েছেন। সুতরাং মেধা যা-ই হোক না কেন পরিশ্রম করলে এর ফল মিলবেই।
লেখক: প্রভাষক (রসায়ন), দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চমাধ্যমিক। এই স্তরে একজন শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত অধ্যবসায় আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে পারলে তবেই সাফল্যের সোনালি শিখরে আরোহণ করতে পারে। এ সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে