Ajker Patrika

উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজন যে ডকুমেন্টস

উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজন যে ডকুমেন্টস

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন সুব্রত ব্যানার্জি। তবে বর্তমানে তিনি শিক্ষা ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণা করছেন। এর আগে ক্রিমিনোলজি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া থেকে। বিদেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেওয়া এ দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানিয়েছেন তিনি। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

  • পাসপোর্ট: অবশ্যই মেয়াদসহ পাসপোর্ট লাগবে। পাসপোর্ট না থাকলে আবেদন করা যাবে না।
  • অ্যাকাডেমিক সনদ: ব্যাচেলর ও মাস্টার্সের (যদি করা থাকে) একাডেমিক সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের স্ক্যান কপি পিডিএফ ও JPG দুই ফরম্যাটেই সংরক্ষণ করুন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক মুখবন্ধ খামে যাচাই করা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হতে পারে (ডাকযোগে)। আবেদনের সময় সেই ডকুমেন্টস চেক করিয়ে নিতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে।
  • ইংরেজিতে দক্ষতা: নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ সুযোগ পেতে হলে অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর ও (বিষয় ও দেশভেদে IELTS, GRE, TOEFL যেকোনো একটি বা দুটি লাগতে পারে) সনদের প্রয়োজন হবে। আবেদনের আগে স্কোর হাতে ও সনদ স্ক্যান করে রাখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন ইংরেজিতে হলে রেজিস্ট্রার অফিসে আবেদন করে একাডেমিক শাখা থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে রাখুন।
  • রিসার্চ প্রপোজাল: পিএইচডির আবেদনের জন্য অবশ্যই প্রফেসরদের ই-মেইল লেখার আগেই গবেষণা প্রস্তাবনা বা রিসার্চ প্রপোজাল প্রস্তুত করুন। দেশভেদে গবেষণা প্রস্তাবনা ১ থেকে ২ হাজার শব্দের হয়ে থাকে। তবে কানাডা বা আমেরিকায় থিসিস মাস্টার্সেও আবেদন করার জন্য রিসার্চ প্রপোজাল লাগতে পারে। পিএইচডির ক্ষেত্রে যেকোনো দেশে আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনার পাবলিকেশন বা পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে মিল রেখে প্রপোজাল প্রস্তুত রাখা জরুরি। পিএইচডির আবেদনে সুপারভাইজার পাওয়ার ক্ষেত্রে রিসার্চ প্রপোজাল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • স্টেটমেন্ট অব পারপাস: স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) এক হাজার শব্দের মধ্যে লিখে রাখুন। অনেক জায়গায় আবার মোটিভেশন লেটার চাইতে পারে। তবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও মোটিভেশন লেটার–এই দুটি বিষয়ের ভেতর খুব বেশি পার্থক্য নেই।
  • সিভি: একটি ভালো মানের সিভি খুবই জরুরি। আপনার সব যোগ্যতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে সেই সিভি। তবে মনে রাখতে হবে, চাকরির সিভি ও উচ্চশিক্ষার বা অ্যাকাডেমিক সিভি আলাদা। একাডেমিক সিভিতে আপনার গবেষণা, প্রকাশনা ও একাডেমিক কাজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • ডকুমেন্টস সংরক্ষণ: আপনার সব প্রকাশনা স্ক্যান করে পিডিএফ বানিয়ে রাখতে পারেন। আবেদনের সময় যেকোনো একটি নমুনা হিসেবে সাবমিট করতে হতে পারে। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে মাস্টার্সের থিসিসের ইলেকট্রনিক কপি দেখতে চাইতে পারে বা অ্যাবস্ট্রাকটসহ কয়েক পেজ সাবমিট করতে হতে পারে। তা ছাড়া কোনো কনফারেন্স, সেমিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করলে সার্টিফিকেট বা অ্যাবস্ট্রাকট প্রকাশনা স্ক্যান করে রাখুন, সেটিও কাজে লাগতে পারে।
  • অভিজ্ঞতাপত্র: আগে কর্মরত বা বর্তমান কর্মস্থল থেকে কাজের অভিজ্ঞতার সনদ নিয়ে রাখুন। কেউ শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে থাকলে সনদ বা অভিজ্ঞতাপত্র নিয়ে রাখুন। এই ডকুমেন্টস যে আবেদনে অবশ্যই লাগবে তা নয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে লাগতে পারে।
  • একাডেমিক অর্জন অন্তর্ভুক্তকরণ: শিক্ষাজীবনে কোনো একাডেমিক অর্জন থাকলে (ডিনস অ্যাওয়ার্ড, গোল্ড মেডেল, প্রধানমন্ত্রী পদক বা একাডেমিক কোনো সাফল্য) সিভিতে উল্লেখ করুন এবং যথাযথ সার্টিফিকেট সংগ্রহে রাখুন। ফল ভালো থাকলে সিভিতে অবস্থান ও সিজিপিএ অথবা পার্সেন্টেজ অবশ্যই উল্লেখ করুন।
  • রেকমেন্ডেশন লেটার: মাস্টার্স বা পিএইচডির আবেদনে দুই থেকে তিনজন অধ্যাপকের সুপারিশপত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার অবশ্যই লাগবে। আজই চিন্তা করুন যেকোন শিক্ষক বা চাকরির ক্ষেত্রে কাকে নির্বাচন করবেন রেকমেন্ডেশন লেটার দেওয়ার জন্য। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনার ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের শিক্ষকের কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার চাওয়া হয়। আপনি চাইলেই যেকোনো শিক্ষকের নাম দিতে পারবেন না। শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে আপনার ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের রিসার্চ পেপার বা থিসিসের সুপারভাইজারের রেকমেন্ডেশন লেটার চাওয়া হয়। আপনি চাইলে নিজের সুপারভাইজারের পাশাপাশি অন্য কোর্স টিচারের নামও দিতে পারেন। তাই আবেদনের ছয় মাস আগে থেকেই আপনি তাঁদের জানিয়ে রাখুন যে উচ্চশিক্ষার আবেদনের জন্য আপনার ভবিষ্যতে পরিকল্পনা রয়েছে। আপনার সিভিতেও তাঁদের নাম থাকা জরুরি। সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে ভর্তি ও বৃত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে রেকমেন্ডেশন লেটারেও নম্বর বিদ্যমান।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

  জবি প্রতিনিধি
জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা। ‎

‎এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ২৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষা শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা বা বিভ্রান্তি না হয়।

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ‘ই’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

‎এ ছাড়া এবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।‎

‎এর আগে, ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি; কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ জন; চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৩৪ পদে লড়বেন ১৮৯ জন

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ৩৪ পদে ১৮৯ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জকসুর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২১ পদে ১৫৬ এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছাত্রী হল সংসদের ১৩ পদে ৩৩ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক তালিকা থেকে ৪২ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ৩৮ এবং হল সংসদের ৪ জন রয়েছেন।

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জকসু নির্বাচনী তফসিলের (সংশোধিত) ক্রম ১২ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলো। তবে প্রাথমিক তালিকায় নাম থাকা কয়েকজনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান থাকায় তাঁদের নাম চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে তাঁদের প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ‎

‎এদিকে, রাত দেড়টায় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, জকসুর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ১৩, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৯ ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

‎এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র পদে ৪, শিক্ষা ও গবেষণা পদে ৯, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৫, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৫, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৪, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ৮, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ৭, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭, পরিবহন সম্পাদক পদে ৪, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১০, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ৭ এবং সদস্য পদে ৫৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

‎ছাত্রী হলে ১৩ পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৩, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৩, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ৪, পাঠাগার সম্পাদক পদে ২, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ২, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে ৩, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকে ৪ এবং ৪টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়।

‎সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহার করা তালিকা প্রকাশ, ১৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রচার, ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনা এবং ৩০ বা ৩১ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষা ক্যাডার: পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হলেন ২৭০৬ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৮
শিক্ষা ক্যাডার: পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হলেন ২৭০৬ জন

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২ হাজার ৭০৬ শিক্ষক। এর মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক থেকে ৯৯৫ জন অধ্যাপক হয়েছেন। আর সহকারী অধ্যাপক থেকে ১ হাজার ৭১১ জন হয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, নতুন অধ্যাপকেরা চতুর্থ গ্রেডে ও সহযোগী অধ্যাপকেরা পঞ্চম গ্রেডে বেতন পাবেন। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে আগের পদের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ২০ নভেম্বর একসঙ্গে ১ হাজার ৮৭০ প্রভাষককে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। অর্থাৎ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য তিনটি স্তরেই পদোন্নতি দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু, শেষ ২০ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়া চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর ভর্তিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে। তবে সেকেন্ড টাইমের প্রার্থীদের ৪ নম্বর কাটা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিম বা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি ও জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত