বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী শিক্ষার্থীদের। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের সিজিপিএ ধরে রাখার নেপথ্যের কৌশলের কথা। লিখেছেন মাহবুব এলিন খান।
মাহাবুব খান এলিন
চাপ নয়, নিয়মিত চর্চাতেই সাফল্য ( শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৩)
সবকিছুই নির্ভর করে সময় ব্যবস্থাপনার ওপর। চেষ্টা করি পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম আর ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে। আমি কখনো একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করি না; বরং ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি।
আসলে শুধু ইইই বিভাগ নয়, সব বিভাগের পড়াশোনাই অনেক চ্যালেঞ্জিং। ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, ভাইভা—সব মিলিয়ে ব্যস্ততা থাকে প্রচুর। আমি চেষ্টা করি কয়েকটি বিষয় নিয়মিত মেনে চলতে:
■ টাইম ম্যানেজমেন্ট
■ কনসেপ্ট বোঝা
■ রেগুলারিটি
■ গ্রুপ স্টাডি ও ডিসকাশন
■ এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি
■ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমি একটি অভ্যাস মেনে চলি। প্রতিটি ক্লাস শেষে অল্প সময় হলেও লেকচার রিভিউ করি। এতে পরীক্ষার আগে আলাদা করে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা বা থিওরি ছোট নোট আকারে লিখে রাখি, যা শেষ মুহূর্তে অনেক কাজে আসে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মুখস্থ করার চেষ্টা করি না; বরং বুঝে পড়ার চেষ্টা করি। কারণ, বোঝার মাধ্যমে পড়লে সেটা অনেক দিন মনে থাকে। তবে হ্যাঁ, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনায় অনেক সময় শুধু মুখস্থ করেও কাজ চালাতে হয়েছে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলি। সবকিছুতে জড়াই না; যেগুলোতে আগ্রহ আছে, শুধু সেগুলোতেই অংশ নিই। যেমন ক্লাব অ্যাকটিভিটি, প্রতিযোগিতা কিংবা সেমিনার। এগুলো শুধু আমার অভিজ্ঞতা বাড়ায়নি, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিতও করেছে।
ছোটদের জন্য কিছু পরামর্শ
■ প্রথম দিন থেকেই কনসিসটেন্ট হও, সেমিস্টার শেষে গিয়ে চাপ নিয়ো না।
■ ক্লাসে মনোযোগ দাও; কারণ, অনেক সময় শিক্ষক ক্লাসে হিন্ট দিয়ে দেন।
■ ল্যাব রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে না রেখে রেগুলারলি করো।
■ সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখো, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
■ নিজেকে শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এক্সট্রা কারিকুলারে অংশ নাও। এটা তোমাকে ব্যালান্সড করবে।
■ আত্মবিশ্বাসী হও।
দলগত শিক্ষা আমাকে সাহায্য করছে (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; দ্বিতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৫)
সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হতো; কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু কৌশল মেনে চলার কারণে এখন পর্যন্ত আমি পড়াশোনা এবং সিজিপিএ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
প্রথমত, আমি ক্লাসে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। কিছু না বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষককে আবার জিজ্ঞেস করি এবং সেগুলো নোট করে রাখি। পরে বাসায় গিয়ে আবার নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা করি। আমি মুখস্থ করার পরিবর্তে বোঝার ওপর জোর দিই। এতে পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং কয়েকবার চোখ বোলালেই বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসে। যখন ক্লাব ইভেন্টের চাপ থাকে, সে সময় আমি ক্লাসের ব্রেক টাইমগুলোতে অল্প অল্প করে পড়াশোনা করি, টপিকগুলো বুঝি এবং বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়াশোনা চালাই।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে যেসব দুর্বলতা থাকে, সেগুলো সহজেই ধরা পড়ে। আবার অন্যকে বোঝানোর সময় নিজের জ্ঞান আরও দৃঢ় হয়। আমি সব সময় পড়াশোনার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেও গুরুত্ব দিই। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং অল্প সময় হলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সব শেষে বলব, প্রাত্যহিক জীবনের পাশাপাশি পড়াশোনা ও সিজিপিএ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন কিছু নয়। সঠিক অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা এবং সব বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাই আসল শক্তি।
ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ সাফল্য (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৪)
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধরে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক অভ্যাস ও কৌশলের মাধ্যমে অসম্ভব নয়। সিজিপিএ ধরে রাখার পরামর্শ ও কৌশল:
■ সিজিপিএ ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা এবং মনোযোগী হওয়া। এ ছাড়া ক্লাসে নোট রাখা, কোনো বিষয় না বুঝলে প্রশ্ন করা এবং প্রশ্নের উত্তর বুঝে নেওয়া জরুরি।
■ চর্চা ছাড়া ভালো ফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ম্যাথমেটিক্যাল সমস্যার নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। ক্লাসের বিষয়ের পাশাপাশি রেফারেন্স বই পড়লে প্রবলেম সলভিং ও ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়ে দক্ষতা বাড়ে, যা কুইজ ও যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করে।
■ ল্যাব ক্লাসে মনোযোগী হওয়া অপরিহার্য। ল্যাব ক্লাস ভালোভাবে বুঝতে পারলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞান মস্তিষ্কে গেঁথে থাকে।
■ ইউটিউবে শিক্ষামূলক অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। বিনা মূল্যে এসব শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে জটিল বিষয়গুলো আরও সহজভাবে বুঝে নিতে পারেন।
■ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়ানো শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক এ টপিক থেকে কেমন প্রশ্ন করতে পারেন এবং সেগুলোর উত্তরই বা কেমন হবে, এসব বুঝতে পারলে ভালো ফল করা সম্ভব।
■ বড়দের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে দলগত শিক্ষা ফলপ্রসূ হতে পারে, তবে সময় নষ্ট হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি।
■ হঠাৎ অসুস্থতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারদর্শী হতে হবে। সময়মতো পড়াশোনা শেষ করে রাখা থাকলে পিছিয়ে পড়ার চাপ কম হয়।
এ ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে সিজিপিএ ধরে রাখা সহজ হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।
চাপ নয়, নিয়মিত চর্চাতেই সাফল্য ( শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৩)
সবকিছুই নির্ভর করে সময় ব্যবস্থাপনার ওপর। চেষ্টা করি পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম আর ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে। আমি কখনো একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করি না; বরং ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি।
আসলে শুধু ইইই বিভাগ নয়, সব বিভাগের পড়াশোনাই অনেক চ্যালেঞ্জিং। ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, ভাইভা—সব মিলিয়ে ব্যস্ততা থাকে প্রচুর। আমি চেষ্টা করি কয়েকটি বিষয় নিয়মিত মেনে চলতে:
■ টাইম ম্যানেজমেন্ট
■ কনসেপ্ট বোঝা
■ রেগুলারিটি
■ গ্রুপ স্টাডি ও ডিসকাশন
■ এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি
■ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমি একটি অভ্যাস মেনে চলি। প্রতিটি ক্লাস শেষে অল্প সময় হলেও লেকচার রিভিউ করি। এতে পরীক্ষার আগে আলাদা করে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা বা থিওরি ছোট নোট আকারে লিখে রাখি, যা শেষ মুহূর্তে অনেক কাজে আসে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মুখস্থ করার চেষ্টা করি না; বরং বুঝে পড়ার চেষ্টা করি। কারণ, বোঝার মাধ্যমে পড়লে সেটা অনেক দিন মনে থাকে। তবে হ্যাঁ, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনায় অনেক সময় শুধু মুখস্থ করেও কাজ চালাতে হয়েছে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলি। সবকিছুতে জড়াই না; যেগুলোতে আগ্রহ আছে, শুধু সেগুলোতেই অংশ নিই। যেমন ক্লাব অ্যাকটিভিটি, প্রতিযোগিতা কিংবা সেমিনার। এগুলো শুধু আমার অভিজ্ঞতা বাড়ায়নি, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিতও করেছে।
ছোটদের জন্য কিছু পরামর্শ
■ প্রথম দিন থেকেই কনসিসটেন্ট হও, সেমিস্টার শেষে গিয়ে চাপ নিয়ো না।
■ ক্লাসে মনোযোগ দাও; কারণ, অনেক সময় শিক্ষক ক্লাসে হিন্ট দিয়ে দেন।
■ ল্যাব রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে না রেখে রেগুলারলি করো।
■ সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখো, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
■ নিজেকে শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এক্সট্রা কারিকুলারে অংশ নাও। এটা তোমাকে ব্যালান্সড করবে।
■ আত্মবিশ্বাসী হও।
দলগত শিক্ষা আমাকে সাহায্য করছে (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; দ্বিতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৫)
সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হতো; কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু কৌশল মেনে চলার কারণে এখন পর্যন্ত আমি পড়াশোনা এবং সিজিপিএ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
প্রথমত, আমি ক্লাসে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। কিছু না বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষককে আবার জিজ্ঞেস করি এবং সেগুলো নোট করে রাখি। পরে বাসায় গিয়ে আবার নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা করি। আমি মুখস্থ করার পরিবর্তে বোঝার ওপর জোর দিই। এতে পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং কয়েকবার চোখ বোলালেই বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসে। যখন ক্লাব ইভেন্টের চাপ থাকে, সে সময় আমি ক্লাসের ব্রেক টাইমগুলোতে অল্প অল্প করে পড়াশোনা করি, টপিকগুলো বুঝি এবং বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়াশোনা চালাই।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে যেসব দুর্বলতা থাকে, সেগুলো সহজেই ধরা পড়ে। আবার অন্যকে বোঝানোর সময় নিজের জ্ঞান আরও দৃঢ় হয়। আমি সব সময় পড়াশোনার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেও গুরুত্ব দিই। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং অল্প সময় হলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সব শেষে বলব, প্রাত্যহিক জীবনের পাশাপাশি পড়াশোনা ও সিজিপিএ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন কিছু নয়। সঠিক অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা এবং সব বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাই আসল শক্তি।
ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ সাফল্য (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৪)
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধরে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক অভ্যাস ও কৌশলের মাধ্যমে অসম্ভব নয়। সিজিপিএ ধরে রাখার পরামর্শ ও কৌশল:
■ সিজিপিএ ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা এবং মনোযোগী হওয়া। এ ছাড়া ক্লাসে নোট রাখা, কোনো বিষয় না বুঝলে প্রশ্ন করা এবং প্রশ্নের উত্তর বুঝে নেওয়া জরুরি।
■ চর্চা ছাড়া ভালো ফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ম্যাথমেটিক্যাল সমস্যার নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। ক্লাসের বিষয়ের পাশাপাশি রেফারেন্স বই পড়লে প্রবলেম সলভিং ও ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়ে দক্ষতা বাড়ে, যা কুইজ ও যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করে।
■ ল্যাব ক্লাসে মনোযোগী হওয়া অপরিহার্য। ল্যাব ক্লাস ভালোভাবে বুঝতে পারলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞান মস্তিষ্কে গেঁথে থাকে।
■ ইউটিউবে শিক্ষামূলক অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। বিনা মূল্যে এসব শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে জটিল বিষয়গুলো আরও সহজভাবে বুঝে নিতে পারেন।
■ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়ানো শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক এ টপিক থেকে কেমন প্রশ্ন করতে পারেন এবং সেগুলোর উত্তরই বা কেমন হবে, এসব বুঝতে পারলে ভালো ফল করা সম্ভব।
■ বড়দের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে দলগত শিক্ষা ফলপ্রসূ হতে পারে, তবে সময় নষ্ট হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি।
■ হঠাৎ অসুস্থতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারদর্শী হতে হবে। সময়মতো পড়াশোনা শেষ করে রাখা থাকলে পিছিয়ে পড়ার চাপ কম হয়।
এ ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে সিজিপিএ ধরে রাখা সহজ হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী শিক্ষার্থীদের। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের সিজিপিএ ধরে রাখার নেপথ্যের কৌশলের কথা। লিখেছেন মাহবুব এলিন খান।
মাহাবুব খান এলিন
চাপ নয়, নিয়মিত চর্চাতেই সাফল্য ( শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৩)
সবকিছুই নির্ভর করে সময় ব্যবস্থাপনার ওপর। চেষ্টা করি পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম আর ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে। আমি কখনো একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করি না; বরং ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি।
আসলে শুধু ইইই বিভাগ নয়, সব বিভাগের পড়াশোনাই অনেক চ্যালেঞ্জিং। ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, ভাইভা—সব মিলিয়ে ব্যস্ততা থাকে প্রচুর। আমি চেষ্টা করি কয়েকটি বিষয় নিয়মিত মেনে চলতে:
■ টাইম ম্যানেজমেন্ট
■ কনসেপ্ট বোঝা
■ রেগুলারিটি
■ গ্রুপ স্টাডি ও ডিসকাশন
■ এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি
■ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমি একটি অভ্যাস মেনে চলি। প্রতিটি ক্লাস শেষে অল্প সময় হলেও লেকচার রিভিউ করি। এতে পরীক্ষার আগে আলাদা করে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা বা থিওরি ছোট নোট আকারে লিখে রাখি, যা শেষ মুহূর্তে অনেক কাজে আসে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মুখস্থ করার চেষ্টা করি না; বরং বুঝে পড়ার চেষ্টা করি। কারণ, বোঝার মাধ্যমে পড়লে সেটা অনেক দিন মনে থাকে। তবে হ্যাঁ, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনায় অনেক সময় শুধু মুখস্থ করেও কাজ চালাতে হয়েছে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলি। সবকিছুতে জড়াই না; যেগুলোতে আগ্রহ আছে, শুধু সেগুলোতেই অংশ নিই। যেমন ক্লাব অ্যাকটিভিটি, প্রতিযোগিতা কিংবা সেমিনার। এগুলো শুধু আমার অভিজ্ঞতা বাড়ায়নি, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিতও করেছে।
ছোটদের জন্য কিছু পরামর্শ
■ প্রথম দিন থেকেই কনসিসটেন্ট হও, সেমিস্টার শেষে গিয়ে চাপ নিয়ো না।
■ ক্লাসে মনোযোগ দাও; কারণ, অনেক সময় শিক্ষক ক্লাসে হিন্ট দিয়ে দেন।
■ ল্যাব রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে না রেখে রেগুলারলি করো।
■ সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখো, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
■ নিজেকে শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এক্সট্রা কারিকুলারে অংশ নাও। এটা তোমাকে ব্যালান্সড করবে।
■ আত্মবিশ্বাসী হও।
দলগত শিক্ষা আমাকে সাহায্য করছে (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; দ্বিতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৫)
সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হতো; কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু কৌশল মেনে চলার কারণে এখন পর্যন্ত আমি পড়াশোনা এবং সিজিপিএ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
প্রথমত, আমি ক্লাসে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। কিছু না বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষককে আবার জিজ্ঞেস করি এবং সেগুলো নোট করে রাখি। পরে বাসায় গিয়ে আবার নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা করি। আমি মুখস্থ করার পরিবর্তে বোঝার ওপর জোর দিই। এতে পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং কয়েকবার চোখ বোলালেই বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসে। যখন ক্লাব ইভেন্টের চাপ থাকে, সে সময় আমি ক্লাসের ব্রেক টাইমগুলোতে অল্প অল্প করে পড়াশোনা করি, টপিকগুলো বুঝি এবং বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়াশোনা চালাই।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে যেসব দুর্বলতা থাকে, সেগুলো সহজেই ধরা পড়ে। আবার অন্যকে বোঝানোর সময় নিজের জ্ঞান আরও দৃঢ় হয়। আমি সব সময় পড়াশোনার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেও গুরুত্ব দিই। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং অল্প সময় হলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সব শেষে বলব, প্রাত্যহিক জীবনের পাশাপাশি পড়াশোনা ও সিজিপিএ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন কিছু নয়। সঠিক অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা এবং সব বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাই আসল শক্তি।
ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ সাফল্য (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৪)
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধরে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক অভ্যাস ও কৌশলের মাধ্যমে অসম্ভব নয়। সিজিপিএ ধরে রাখার পরামর্শ ও কৌশল:
■ সিজিপিএ ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা এবং মনোযোগী হওয়া। এ ছাড়া ক্লাসে নোট রাখা, কোনো বিষয় না বুঝলে প্রশ্ন করা এবং প্রশ্নের উত্তর বুঝে নেওয়া জরুরি।
■ চর্চা ছাড়া ভালো ফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ম্যাথমেটিক্যাল সমস্যার নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। ক্লাসের বিষয়ের পাশাপাশি রেফারেন্স বই পড়লে প্রবলেম সলভিং ও ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়ে দক্ষতা বাড়ে, যা কুইজ ও যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করে।
■ ল্যাব ক্লাসে মনোযোগী হওয়া অপরিহার্য। ল্যাব ক্লাস ভালোভাবে বুঝতে পারলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞান মস্তিষ্কে গেঁথে থাকে।
■ ইউটিউবে শিক্ষামূলক অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। বিনা মূল্যে এসব শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে জটিল বিষয়গুলো আরও সহজভাবে বুঝে নিতে পারেন।
■ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়ানো শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক এ টপিক থেকে কেমন প্রশ্ন করতে পারেন এবং সেগুলোর উত্তরই বা কেমন হবে, এসব বুঝতে পারলে ভালো ফল করা সম্ভব।
■ বড়দের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে দলগত শিক্ষা ফলপ্রসূ হতে পারে, তবে সময় নষ্ট হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি।
■ হঠাৎ অসুস্থতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারদর্শী হতে হবে। সময়মতো পড়াশোনা শেষ করে রাখা থাকলে পিছিয়ে পড়ার চাপ কম হয়।
এ ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে সিজিপিএ ধরে রাখা সহজ হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।
চাপ নয়, নিয়মিত চর্চাতেই সাফল্য ( শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৩)
সবকিছুই নির্ভর করে সময় ব্যবস্থাপনার ওপর। চেষ্টা করি পড়াশোনা, সহশিক্ষা কার্যক্রম আর ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে। আমি কখনো একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করি না; বরং ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি।
আসলে শুধু ইইই বিভাগ নয়, সব বিভাগের পড়াশোনাই অনেক চ্যালেঞ্জিং। ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, ভাইভা—সব মিলিয়ে ব্যস্ততা থাকে প্রচুর। আমি চেষ্টা করি কয়েকটি বিষয় নিয়মিত মেনে চলতে:
■ টাইম ম্যানেজমেন্ট
■ কনসেপ্ট বোঝা
■ রেগুলারিটি
■ গ্রুপ স্টাডি ও ডিসকাশন
■ এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি
■ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমি একটি অভ্যাস মেনে চলি। প্রতিটি ক্লাস শেষে অল্প সময় হলেও লেকচার রিভিউ করি। এতে পরীক্ষার আগে আলাদা করে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা বা থিওরি ছোট নোট আকারে লিখে রাখি, যা শেষ মুহূর্তে অনেক কাজে আসে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মুখস্থ করার চেষ্টা করি না; বরং বুঝে পড়ার চেষ্টা করি। কারণ, বোঝার মাধ্যমে পড়লে সেটা অনেক দিন মনে থাকে। তবে হ্যাঁ, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনায় অনেক সময় শুধু মুখস্থ করেও কাজ চালাতে হয়েছে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলি। সবকিছুতে জড়াই না; যেগুলোতে আগ্রহ আছে, শুধু সেগুলোতেই অংশ নিই। যেমন ক্লাব অ্যাকটিভিটি, প্রতিযোগিতা কিংবা সেমিনার। এগুলো শুধু আমার অভিজ্ঞতা বাড়ায়নি, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিতও করেছে।
ছোটদের জন্য কিছু পরামর্শ
■ প্রথম দিন থেকেই কনসিসটেন্ট হও, সেমিস্টার শেষে গিয়ে চাপ নিয়ো না।
■ ক্লাসে মনোযোগ দাও; কারণ, অনেক সময় শিক্ষক ক্লাসে হিন্ট দিয়ে দেন।
■ ল্যাব রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে না রেখে রেগুলারলি করো।
■ সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখো, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
■ নিজেকে শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এক্সট্রা কারিকুলারে অংশ নাও। এটা তোমাকে ব্যালান্সড করবে।
■ আত্মবিশ্বাসী হও।
দলগত শিক্ষা আমাকে সাহায্য করছে (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; দ্বিতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৩.৮৫)
সিজিপিএ ধরে রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হতো; কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু কৌশল মেনে চলার কারণে এখন পর্যন্ত আমি পড়াশোনা এবং সিজিপিএ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
প্রথমত, আমি ক্লাসে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। কিছু না বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষককে আবার জিজ্ঞেস করি এবং সেগুলো নোট করে রাখি। পরে বাসায় গিয়ে আবার নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা করি। আমি মুখস্থ করার পরিবর্তে বোঝার ওপর জোর দিই। এতে পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং কয়েকবার চোখ বোলালেই বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসে। যখন ক্লাব ইভেন্টের চাপ থাকে, সে সময় আমি ক্লাসের ব্রেক টাইমগুলোতে অল্প অল্প করে পড়াশোনা করি, টপিকগুলো বুঝি এবং বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়াশোনা চালাই।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে যেসব দুর্বলতা থাকে, সেগুলো সহজেই ধরা পড়ে। আবার অন্যকে বোঝানোর সময় নিজের জ্ঞান আরও দৃঢ় হয়। আমি সব সময় পড়াশোনার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেও গুরুত্ব দিই। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং অল্প সময় হলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সব শেষে বলব, প্রাত্যহিক জীবনের পাশাপাশি পড়াশোনা ও সিজিপিএ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন কিছু নয়। সঠিক অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা এবং সব বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাই আসল শক্তি।
ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ সাফল্য (শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; তৃতীয় বর্ষ-সিজিপিএ ৪)
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধরে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক অভ্যাস ও কৌশলের মাধ্যমে অসম্ভব নয়। সিজিপিএ ধরে রাখার পরামর্শ ও কৌশল:
■ সিজিপিএ ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা এবং মনোযোগী হওয়া। এ ছাড়া ক্লাসে নোট রাখা, কোনো বিষয় না বুঝলে প্রশ্ন করা এবং প্রশ্নের উত্তর বুঝে নেওয়া জরুরি।
■ চর্চা ছাড়া ভালো ফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ম্যাথমেটিক্যাল সমস্যার নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। ক্লাসের বিষয়ের পাশাপাশি রেফারেন্স বই পড়লে প্রবলেম সলভিং ও ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়ে দক্ষতা বাড়ে, যা কুইজ ও যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করে।
■ ল্যাব ক্লাসে মনোযোগী হওয়া অপরিহার্য। ল্যাব ক্লাস ভালোভাবে বুঝতে পারলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞান মস্তিষ্কে গেঁথে থাকে।
■ ইউটিউবে শিক্ষামূলক অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। বিনা মূল্যে এসব শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে জটিল বিষয়গুলো আরও সহজভাবে বুঝে নিতে পারেন।
■ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়ানো শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক এ টপিক থেকে কেমন প্রশ্ন করতে পারেন এবং সেগুলোর উত্তরই বা কেমন হবে, এসব বুঝতে পারলে ভালো ফল করা সম্ভব।
■ বড়দের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে দলগত শিক্ষা ফলপ্রসূ হতে পারে, তবে সময় নষ্ট হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি।
■ হঠাৎ অসুস্থতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারদর্শী হতে হবে। সময়মতো পড়াশোনা শেষ করে রাখা থাকলে পিছিয়ে পড়ার চাপ কম হয়।
এ ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে সিজিপিএ ধরে রাখা সহজ হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১০ ঘণ্টা আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগে