Ajker Patrika

কেন পড়বেন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ৩৫
কেন পড়বেন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।

আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে। 

পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।

এ ছাড়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ওই বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভর্তির সুযোগ পেলেও অন্য বিভাগ কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত ও ভাইভা) মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।

সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৩.২৫ (৪-এর মধ্যে) সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।

কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

বেসরকারিভাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড অটোমেশন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সীদের রোবোটিকস শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল অব রোবোটিকস। 

কর্মসংস্থানের সুযোগ 
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।

তাই এই সেক্টরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে এই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রোবোটিকসের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস ও প্রোডাকশন সেক্টরে রোবোটিকসের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। এমনকি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিগুলো জায়গা করে নেবে। সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা অগ্রাধিকার পাবে। 

রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
এই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভাগ বাংলাদেশের মেধাবী প্রজন্মকে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে; যা দেশে প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ গার্মেন্টস সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রযুক্তি, যেমন অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল কিংবা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল ইত্যাদির মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান ও আরোহণ করা যাবে।

এভাবে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে রোবোটিকসের ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। কারণ রোবোটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোডাকশন বাড়াতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ব। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের এক্সপোর্ট খাত।

যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স–এই তিনটি সাবজেক্টের সমন্বয়ে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ তিনটি বিষয়ের ওপর সমন্বিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়। কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে অ্যানালাইসিস করে, নিজের মতো করে সার্কিট ডিজাইন করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিজিটাল লজিক সার্কিট থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে দক্ষভাবে কন্ট্রোল করার জন্য যতটুকু ইলেকট্রনিক জ্ঞানের প্রয়োজন তা সবই পড়ানো হয়। মেকানিক্যাল সিস্টেম নিয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সলিড মেকানিকস, ফ্লুয়িড মেকানিকস, মেকানিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইব্রিড ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের ওপর বিস্তারিত কোর্স রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। এ ক্ষেত্রে বেসিক প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ বিভাগে পড়ানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোল সিস্টেম, যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, পিএলসি, সিএনসি নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল সিস্টেমে দক্ষ বানাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম, যেমন পিআইডি অ্যালগরিদম, ডেরিভেটিভ অ্যালগরিদম, ইন্টিগ্রাল অ্যালগরিদম এখানে শেখানো হয়। রোবটের দর্শন ও ইন্টারেকশন ক্ষমতা তৈরির জন্য রোবট ভিশন, ইন্টারনেট অব থিংকস, হিউম্যান রোবট ইন্টারেকশন ও ইমেইজ প্রসেসিং কোর্স পড়ানো হয়, যা একটি রোবট ইমেজিং সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ, সরবরাহ, কন্ডিশনিং, রূপান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায়। রোবটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সিমুলেশন করার জন্য ম্যাটল্যাব, সলিড ওয়ার্ক, এনসিস, রোবট অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করানো হয়। রোবটকে প্রোগ্রামের বাইরে নিজে নিজে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম বানাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিং লার্নিং ও ডিপ লার্নিং বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া হাতে-কলমে কাজ করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা। রোবোটিকস ল্যাবে হেক্সা রোবট, অহনি ভি৫, নাও রোবট, রোভার ভি৫, থ্রিডি প্রিন্টার, ই-পাক রোবট, ড্রোনসহ অনেক ধরনের ম্যানুপেলেটর রয়েছে। অটোমেশন নিয়ে কাজ করার জন্য মেকাট্রনিকস ল্যাবে রয়েছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সিএনসি মিলিং মেশিন, প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডুলার সিস্টেম ও লেজার কাটার মেশিন।

পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অর্থ খরচ করে এ রকম একটি ব্যয়বহুল বিভাগে পড়াশোনা করা যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্ষেত্রবিশেষে খুবই রিজনেবল খরচে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। 
 
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা 
উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকসের বিশাল দুয়ার। কারণ ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকসের ওপর বেশ কাজ হচ্ছে। সে জন্য এই সাবজেক্টে পড়ে দেশের বাইরে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া খুবই সহজ।

তা ছাড়া আপনি যেকোনো সাবজেক্টে চাইলেই শিফট করতে পারবেন; যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। উপরন্তু এ বিষয়ে রয়েছে রিসার্চের অনেক সুযোগ। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি মাল্টি ডাইমেনশনাল। বর্তমান প্রজন্মে বিভিন্ন ডাইমেনশনের সমন্বয় সাধন করে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

মো. আরিফুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা পেছাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা সাত দিন পিছিয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আজ বুধবার এ পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

সংশোধিত সূচি অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর বাংলা, ২৯ ডিসেম্বর ইংরেজি, ৩০ ডিসেম্বর গণিত এবং ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আগের সূচি অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর বাংলা, ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

৫ অক্টোবর প্রকাশিত জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ২০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হবে।

বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় হবে ৩ ঘণ্টা। এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ট্যালেন্টপুল কোটায় ও সাধারণ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

বৃত্তি পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। নীতিমালায় পরীক্ষার্থীপ্রতি বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা আর কেন্দ্র ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা।

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়, প্রতিটি উপজেলা সদরে বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারে সুবিধাজনক বিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও কেন্দ্রের অবকাঠামোর সুবিধা বিবেচনায় প্রয়োজনে একাধিক কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে।

বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত সূচিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে। বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট মোট ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না।

২০২০ সালের আগে আলাদা করে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। করোনার সেই বছরে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তা আর চালু করা হয়নি। সম্প্রতি আবার পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন আজ থেকে শুরু, পরীক্ষার সময়সূচি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন আজ থেকে শুরু, পরীক্ষার সময়সূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৬ নভেম্বর (রোববার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা। এই ফি সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী—এই চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অথবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা (বিকাশ, নগদ, রকেট) ব্যবহার করে জমা দেওয়া যাবে।

আবেদনের যোগ্যতা

ঢাবির ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যেসব ছাত্রছাত্রী ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাগুলো ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ/কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিশাল এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বর এবং মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।

অন্যান্য ইউনিট (বিজ্ঞান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা) :

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ): ৬০ নম্বর (সময় ৪৫ মিনিট)

লিখিত পরীক্ষা: ৪০ নম্বর (সময় ৪৫ মিনিট)

চারুকলা ইউনিট:

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ): ৪০ নম্বর (সময় ৩০ মিনিট)

অঙ্কন পরীক্ষা (লিখিত) : ৬০ নম্বর (সময় ৬০ মিনিট)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরওয়েতে বিআই প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নরওয়েতে বিআই প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ করে যাঁরা নরওয়েতে বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে আগ্রহী, তাঁদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা নরওয়েজিয়ান বিজনেস স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।

নরওয়েজিয়ান বিজনেস স্কুল ইউরোপের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যবসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৪৩ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নরওয়ের রাজধানী অসলোসহ কয়েকটি শহরে স্কুলটির ক্যাম্পাস রয়েছে। বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম, গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা এবং শিল্প-বাণিজ্য খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার জন্য প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

সুযোগ-সুবিধা

যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বৃত্তির শর্ত পূরণ করবেন, তাঁদের প্রতিটি সেমিস্টারের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি দুই বছর পর্যন্ত জীবনযাপনের খরচের জন্য ভাতা (স্টাইপেন্ড) দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে প্রার্থীদের সর্বনিম্ন ‘এ’ গ্রেড মানের পূর্ববর্তী একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। প্রার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে। সম্পূর্ণ একাডেমিক ইয়ার শেষ করার মানসিকতাসম্পন্ন হতে হবে।

বৃত্তির সংখ্যা

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের (শরৎকাল সেশন) জন্য সর্বোচ্চ ২০টি বৃত্তি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এবং ১০টি বৃত্তি নরওয়েজিয়ান শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

নরওয়েজিয়ান বিজনেস স্কুল বেশকিছু বিভাগে পাঠদান ও গবেষণা পরিচালিত হয়। এই বিভাগগুলো ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর। এগুলো হলো হিসাবরক্ষণ ও অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি, ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস, অর্থনীতি, আইন ও শাসন, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক আচরণ, বিপণন এবং কৌশল ও উদ্যোগ।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউল্যাবের ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও ইউল্যাবের আচার্যের প্রতিনিধি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সমাবর্তন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এবং সভাপতিত্ব করেন। এবারের সমাবর্তনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইনফর্মড মাইন্ডস, ইন্সপায়ার পাথস’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম।

সমাবর্তনে বক্তব্য দেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। এ ছাড়া ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মোরশেদ এবং ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান সমাবর্তনে স্নাতকদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

সমাবর্তনে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তাশিন হক; যিনি ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রোগ্রাম থেকে ৩.৮৬ সিজিপিএ অর্জন করে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

এ ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায় থেকে দুজন শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

এ বছর ইউল্যাব থেকে মোট ১ হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থী সনদ পান, যার মধ্যে ১ হাজার ১১১ জন স্নাতক এবং ৩৯৭ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত