ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজে শিক্ষার পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এসব কলেজ নিয়ে নতুন যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে। এখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরাও অধিভুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তারা এখন অধিভুক্তি বাতিল করে এসব কলেজগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছেন।
সাত কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল সোমবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো: ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে; ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে; ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেও সময় এবং সম্পদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমি বলবো, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সাতটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও গভীরতর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। তারপরও এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হিসেবে আমার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাবির সঙ্গে এসব কলেজগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি নিজে কলেজগুলো পরিদর্শন শুরু করেছি। সম্প্রতি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঢাবিতে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এর বাইরে যেকোনো প্রয়োজনে কলেজগুলোর দায়িত্বশীল প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাবি থেকে নতুন একজন কলেজ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। নানা সমস্যা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রথম এ সংবাদ সম্মেলনেই স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘সাত কলজের অধিভুক্তি বাতিল বা বহাল একদিকে যেমন জটিল, অন্যদিকে এটা একটা বড় বিষয়। একইভাবে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। আমাদের বুঝতে হবে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির একটা জাতীয় প্রেক্ষাপট রয়েছে। আমরা চাই, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা ঝামেলার শিকার না হন। তারা যেন মোটামুটিভাবে আমাদের সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন। এই মৌলিক বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই একমত।’
তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখানে সরকার, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা তো বটেই। এর বাইরে সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের মতামত থাকতে পারে। সর্বোপরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের মতামত আমাদের শুনতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। এ বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য একটা বৃহত্তর সামাজিক এবং জাতীয় ঐকমত্যের দরকার আছে। এটা সামাজিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এরপর প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আমরা নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় প্রস্তাব থাকে তাহলে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আগেও বলেছি, এটি একটি জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। সে জন্য যে ধরনের আলোচনা দরকার, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানাই। আমরা তাঁদের মতামত শুনতে চাই। আমাদের হাতে যেহেতু রাতারাতি কোনো সমাধান নেই, নির্দিষ্ট একটা অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও যেহেতু সমাধান করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এ আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ইতিবাচক সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের যে দাবি সেটি রাষ্ট্র বিবেচনা করবে। আমরা বর্তমান সময়ে যেসব বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তুলেছেন, সেগুলো নিরসনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে সাত কলেজের প্রধানেরা মিটিং করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে। সেখানে এসব বিষয়ের সমাধানে জোর তৎপরতা চালানো হবে।’

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজে শিক্ষার পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এসব কলেজ নিয়ে নতুন যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে। এখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরাও অধিভুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তারা এখন অধিভুক্তি বাতিল করে এসব কলেজগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছেন।
সাত কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল সোমবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো: ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে; ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে; ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেও সময় এবং সম্পদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমি বলবো, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সাতটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও গভীরতর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। তারপরও এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হিসেবে আমার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাবির সঙ্গে এসব কলেজগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি নিজে কলেজগুলো পরিদর্শন শুরু করেছি। সম্প্রতি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঢাবিতে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এর বাইরে যেকোনো প্রয়োজনে কলেজগুলোর দায়িত্বশীল প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাবি থেকে নতুন একজন কলেজ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। নানা সমস্যা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রথম এ সংবাদ সম্মেলনেই স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘সাত কলজের অধিভুক্তি বাতিল বা বহাল একদিকে যেমন জটিল, অন্যদিকে এটা একটা বড় বিষয়। একইভাবে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। আমাদের বুঝতে হবে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির একটা জাতীয় প্রেক্ষাপট রয়েছে। আমরা চাই, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা ঝামেলার শিকার না হন। তারা যেন মোটামুটিভাবে আমাদের সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন। এই মৌলিক বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই একমত।’
তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখানে সরকার, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা তো বটেই। এর বাইরে সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের মতামত থাকতে পারে। সর্বোপরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের মতামত আমাদের শুনতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। এ বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য একটা বৃহত্তর সামাজিক এবং জাতীয় ঐকমত্যের দরকার আছে। এটা সামাজিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এরপর প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আমরা নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় প্রস্তাব থাকে তাহলে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আগেও বলেছি, এটি একটি জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। সে জন্য যে ধরনের আলোচনা দরকার, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানাই। আমরা তাঁদের মতামত শুনতে চাই। আমাদের হাতে যেহেতু রাতারাতি কোনো সমাধান নেই, নির্দিষ্ট একটা অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও যেহেতু সমাধান করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এ আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ইতিবাচক সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের যে দাবি সেটি রাষ্ট্র বিবেচনা করবে। আমরা বর্তমান সময়ে যেসব বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তুলেছেন, সেগুলো নিরসনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে সাত কলেজের প্রধানেরা মিটিং করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে। সেখানে এসব বিষয়ের সমাধানে জোর তৎপরতা চালানো হবে।’
ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজে শিক্ষার পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এসব কলেজ নিয়ে নতুন যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে। এখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরাও অধিভুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তারা এখন অধিভুক্তি বাতিল করে এসব কলেজগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছেন।
সাত কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল সোমবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো: ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে; ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে; ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেও সময় এবং সম্পদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমি বলবো, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সাতটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও গভীরতর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। তারপরও এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হিসেবে আমার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাবির সঙ্গে এসব কলেজগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি নিজে কলেজগুলো পরিদর্শন শুরু করেছি। সম্প্রতি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঢাবিতে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এর বাইরে যেকোনো প্রয়োজনে কলেজগুলোর দায়িত্বশীল প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাবি থেকে নতুন একজন কলেজ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। নানা সমস্যা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রথম এ সংবাদ সম্মেলনেই স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘সাত কলজের অধিভুক্তি বাতিল বা বহাল একদিকে যেমন জটিল, অন্যদিকে এটা একটা বড় বিষয়। একইভাবে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। আমাদের বুঝতে হবে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির একটা জাতীয় প্রেক্ষাপট রয়েছে। আমরা চাই, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা ঝামেলার শিকার না হন। তারা যেন মোটামুটিভাবে আমাদের সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন। এই মৌলিক বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই একমত।’
তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখানে সরকার, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা তো বটেই। এর বাইরে সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের মতামত থাকতে পারে। সর্বোপরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের মতামত আমাদের শুনতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। এ বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য একটা বৃহত্তর সামাজিক এবং জাতীয় ঐকমত্যের দরকার আছে। এটা সামাজিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এরপর প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আমরা নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় প্রস্তাব থাকে তাহলে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আগেও বলেছি, এটি একটি জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। সে জন্য যে ধরনের আলোচনা দরকার, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানাই। আমরা তাঁদের মতামত শুনতে চাই। আমাদের হাতে যেহেতু রাতারাতি কোনো সমাধান নেই, নির্দিষ্ট একটা অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও যেহেতু সমাধান করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এ আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ইতিবাচক সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের যে দাবি সেটি রাষ্ট্র বিবেচনা করবে। আমরা বর্তমান সময়ে যেসব বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তুলেছেন, সেগুলো নিরসনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে সাত কলেজের প্রধানেরা মিটিং করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে। সেখানে এসব বিষয়ের সমাধানে জোর তৎপরতা চালানো হবে।’

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজে শিক্ষার পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এসব কলেজ নিয়ে নতুন যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে। এখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরাও অধিভুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তারা এখন অধিভুক্তি বাতিল করে এসব কলেজগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চাচ্ছেন।
সাত কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল সোমবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো: ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে; ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে; ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেও সময় এবং সম্পদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমি বলবো, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সাতটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও গভীরতর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। তারপরও এই সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হিসেবে আমার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাবির সঙ্গে এসব কলেজগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি নিজে কলেজগুলো পরিদর্শন শুরু করেছি। সম্প্রতি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঢাবিতে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এর বাইরে যেকোনো প্রয়োজনে কলেজগুলোর দায়িত্বশীল প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাবি থেকে নতুন একজন কলেজ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। নানা সমস্যা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রথম এ সংবাদ সম্মেলনেই স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘সাত কলজের অধিভুক্তি বাতিল বা বহাল একদিকে যেমন জটিল, অন্যদিকে এটা একটা বড় বিষয়। একইভাবে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। আমাদের বুঝতে হবে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির একটা জাতীয় প্রেক্ষাপট রয়েছে। আমরা চাই, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা ঝামেলার শিকার না হন। তারা যেন মোটামুটিভাবে আমাদের সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন। এই মৌলিক বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই একমত।’
তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখানে সরকার, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা তো বটেই। এর বাইরে সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের মতামত থাকতে পারে। সর্বোপরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের মতামত আমাদের শুনতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। এ বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য একটা বৃহত্তর সামাজিক এবং জাতীয় ঐকমত্যের দরকার আছে। এটা সামাজিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এরপর প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আমরা নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় প্রস্তাব থাকে তাহলে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আগেও বলেছি, এটি একটি জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। সে জন্য যে ধরনের আলোচনা দরকার, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানাই। আমরা তাঁদের মতামত শুনতে চাই। আমাদের হাতে যেহেতু রাতারাতি কোনো সমাধান নেই, নির্দিষ্ট একটা অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও যেহেতু সমাধান করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এ আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ইতিবাচক সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের যে দাবি সেটি রাষ্ট্র বিবেচনা করবে। আমরা বর্তমান সময়ে যেসব বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তুলেছেন, সেগুলো নিরসনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে সাত কলেজের প্রধানেরা মিটিং করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে। সেখানে এসব বিষয়ের সমাধানে জোর তৎপরতা চালানো হবে।’

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি
মো. দিদার হোসেন

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ২৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষা শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা বা বিভ্রান্তি না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ‘ই’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া এবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি; কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ জন; চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন (১৩ ডিসেম্বর) ’ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ২৫১ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষা শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা বা বিভ্রান্তি না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ‘ই’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া এবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি; কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ জন; চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

দীর্ঘদিনের অধিভুক্তির পরও যেখানে ঢাবির অধীনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার মানের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, সেখানে এমন অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাত কলেজের অধিভুক্তির বিপক্ষে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তাদের মাঠেও কর্মসূচি করতে দেখা গেছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
১ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
১ ঘণ্টা আগে