ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নায়েব মো. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। মডিউল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে সকাল এবং বিকেল দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা থাকছে না। কেবল লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। তবে আগের মতো মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ভর্তি পরীক্ষায় দুই ক্যাটাগরি তথা প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং কৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ও ১ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামসহ মেধাক্রম (সম্ভাব্য) ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারবেন।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নায়েব মো. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। মডিউল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে সকাল এবং বিকেল দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা থাকছে না। কেবল লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। তবে আগের মতো মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ভর্তি পরীক্ষায় দুই ক্যাটাগরি তথা প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং কৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ও ১ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামসহ মেধাক্রম (সম্ভাব্য) ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারবেন।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে