আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনোয়ার হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের ছেলে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তবে নামের আগে ‘ডক্টর’ শব্দটি বসাতে পিএইচডি করার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন পূরণে সম্প্রতি সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেলসে পিএইচডির প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৫ কোটি টাকার সমমূল্যের ফুল ফান্ড বৃত্তি পেয়ে শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন যাত্রা। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
কেরানীগঞ্জের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন আনোয়ার। বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। ছোটবেলায় খেলাধুলার সুযোগ খুব একটা পাননি। মা বলতেন, ‘জীবনে খেলাধুলার অনেক সুযোগ আসবে, আগে পড়াশোনায় মন দাও।’ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে জিপিএ-৪.৭২ পেয়ে এসএসসি পাস করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। কলেজ জীবনে খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালের ইন্টার ক্লাস ফুটবল টুর্নামেন্টে তাঁর দল রানার্সআপ হয়। পরের বছর বুয়েটে আয়োজিত ইন্টার কলেজ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফেয়ারে বন্ধুদের সঙ্গে প্রজেক্ট সাবমিট করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ম্যাথমেটিক্যাল ট্যালেন্ট প্রভে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ৪৩৫তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
শুরু থেকে নানা এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন আনোয়ার। ‘ডিআইইউ ব্যাটেল অব মাইন্ড ১.০’ প্রতিযোগিতায় তাঁর টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ স্টার্টআপ চ্যাপ্টার-২ এ তাঁদের প্রজেক্ট টপ-৩০-এ জায়গা করে নেয়। পাশাপাশি টেক অব প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা (কোচিং ও টিউশন) পেশাতেও যুক্ত ছিলেন।
গবেষণার পথে
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ থেকে গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো অ্যাবস্ট্রাক্ট প্রেজেন্ট করেন। এরপর লন্ডনের একটি কনফারেন্সে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিজিপিএ ৩.৮২ পেয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
চাকরি থেকে আবার পড়াশোনায়
বিএসসি শেষে দেড় বছরে তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও মন বসাতে পারেননি আনোয়ার। শেষ চাকরি ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে। চাকরির পাশাপাশি তিনি খুঁজতে থাকেন পিএইচডির সুযোগ। একসময় বন্ধু জানাল কিং ফাহাদ ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেলস (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৬৭তম এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম) সম্পর্কে। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখলেন বিশাল সুবিধাসহ পিএইচডি স্কলারশিপ। আবেদন করার পর ইন্টারভিউতে অংশ নেন। কিছুদিন পরই আসে সুখবর। ফুল ফান্ড স্কলারশিপসহ ১৪টি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ২৪ আগস্ট থেকে তাঁর পিএইচডি ক্লাস শুরু হচ্ছে।
যত সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপের আওতায় মাসে ৫ হাজার সৌদি রিয়াল স্টাইপেন্ড, টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, আবাসন ও চিকিৎসাসেবা, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক, ভর্তুকিযুক্ত খাবার, বিমান টিকিট, গবেষণায় বাড়তি অর্থায়ন, কনফারেন্সে অংশগ্রহণের ফান্ডসহ মোট ১৪টি সুবিধা রয়েছে। প্রায় ৫ কোটি টাকার সমমূল্যের এই ফান্ডিং আনোয়ারের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।
যেভাবে পিএইচডিতে আবেদন
সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখে রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের গবেষণার সঙ্গে নিজের গবেষণাকে এলাইন করে কনভিন্স করতে হয়। শর্টলিস্টেড হলে ফাইনাল ইন্টারভিউ দিতে হয়। এ জন্য সিভি, পাবলিকেশন, ট্রান্সক্রিপ্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, রেফারেন্স লেটার, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখা জরুরি।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
আনোয়ার বলেন, ‘পিএইচডি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শুধু ক্লাসের পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণা, প্রতিযোগিতা, ক্লাব, ওয়ার্কশপ, নেতৃত্ব—এসব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে হবে। এগুলোই পরবর্তী সময়ে পিএইচডির দরজা খুলে দেয়।’
আনোয়ার হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের ছেলে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তবে নামের আগে ‘ডক্টর’ শব্দটি বসাতে পিএইচডি করার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন পূরণে সম্প্রতি সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেলসে পিএইচডির প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৫ কোটি টাকার সমমূল্যের ফুল ফান্ড বৃত্তি পেয়ে শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন যাত্রা। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
কেরানীগঞ্জের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন আনোয়ার। বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। ছোটবেলায় খেলাধুলার সুযোগ খুব একটা পাননি। মা বলতেন, ‘জীবনে খেলাধুলার অনেক সুযোগ আসবে, আগে পড়াশোনায় মন দাও।’ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে জিপিএ-৪.৭২ পেয়ে এসএসসি পাস করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। কলেজ জীবনে খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালের ইন্টার ক্লাস ফুটবল টুর্নামেন্টে তাঁর দল রানার্সআপ হয়। পরের বছর বুয়েটে আয়োজিত ইন্টার কলেজ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফেয়ারে বন্ধুদের সঙ্গে প্রজেক্ট সাবমিট করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ম্যাথমেটিক্যাল ট্যালেন্ট প্রভে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ৪৩৫তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
শুরু থেকে নানা এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন আনোয়ার। ‘ডিআইইউ ব্যাটেল অব মাইন্ড ১.০’ প্রতিযোগিতায় তাঁর টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ স্টার্টআপ চ্যাপ্টার-২ এ তাঁদের প্রজেক্ট টপ-৩০-এ জায়গা করে নেয়। পাশাপাশি টেক অব প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা (কোচিং ও টিউশন) পেশাতেও যুক্ত ছিলেন।
গবেষণার পথে
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ থেকে গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো অ্যাবস্ট্রাক্ট প্রেজেন্ট করেন। এরপর লন্ডনের একটি কনফারেন্সে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিজিপিএ ৩.৮২ পেয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
চাকরি থেকে আবার পড়াশোনায়
বিএসসি শেষে দেড় বছরে তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও মন বসাতে পারেননি আনোয়ার। শেষ চাকরি ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে। চাকরির পাশাপাশি তিনি খুঁজতে থাকেন পিএইচডির সুযোগ। একসময় বন্ধু জানাল কিং ফাহাদ ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেলস (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৬৭তম এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম) সম্পর্কে। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখলেন বিশাল সুবিধাসহ পিএইচডি স্কলারশিপ। আবেদন করার পর ইন্টারভিউতে অংশ নেন। কিছুদিন পরই আসে সুখবর। ফুল ফান্ড স্কলারশিপসহ ১৪টি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ২৪ আগস্ট থেকে তাঁর পিএইচডি ক্লাস শুরু হচ্ছে।
যত সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপের আওতায় মাসে ৫ হাজার সৌদি রিয়াল স্টাইপেন্ড, টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, আবাসন ও চিকিৎসাসেবা, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক, ভর্তুকিযুক্ত খাবার, বিমান টিকিট, গবেষণায় বাড়তি অর্থায়ন, কনফারেন্সে অংশগ্রহণের ফান্ডসহ মোট ১৪টি সুবিধা রয়েছে। প্রায় ৫ কোটি টাকার সমমূল্যের এই ফান্ডিং আনোয়ারের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।
যেভাবে পিএইচডিতে আবেদন
সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখে রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের গবেষণার সঙ্গে নিজের গবেষণাকে এলাইন করে কনভিন্স করতে হয়। শর্টলিস্টেড হলে ফাইনাল ইন্টারভিউ দিতে হয়। এ জন্য সিভি, পাবলিকেশন, ট্রান্সক্রিপ্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, রেফারেন্স লেটার, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখা জরুরি।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
আনোয়ার বলেন, ‘পিএইচডি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শুধু ক্লাসের পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণা, প্রতিযোগিতা, ক্লাব, ওয়ার্কশপ, নেতৃত্ব—এসব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে হবে। এগুলোই পরবর্তী সময়ে পিএইচডির দরজা খুলে দেয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল সবাই চান। সে অনুযায়ী পড়াশোনাও করেন। কিন্তু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যায়, খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলের অধিকারী হন। তাঁদের এই অর্জনের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে বাকি শিক্ষার্থীদের। তাঁদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা খুঁজেছি ভালো ফলধারী...
৫ ঘণ্টা আগেউচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথাই বলছি। প্রতিবছর লাখো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার দৌড়ে নামেন, কিন্তু সুযোগ মেলে অল্প কিছু শিক্ষার্থীর। তাই এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন...
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার।
১ দিন আগে