রবিউল আলম, ঢাকা

করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।

করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।

রবিউল আলম, ঢাকা

করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।

করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে। কারণ, এর পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কারণ, করোনার সংক্রমণ কমা এবং শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্লাস ও মিডটার্মের মতো চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। তারা বলেছে, অনলাইন পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নির্বিঘ্নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সমাবর্তনও আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি সম্ভব নয়, গ্রাম-শহর বৈষম্য বাড়বে ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। আবার শিক্ষার্থীদের একটা অংশ অনলাইনসহ যেকোনো উপায়ে পরীক্ষা দিতে চায়। ফলে এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী হাসান সজীব ও শারমিন আক্তারের। অথচ তাঁরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারেননি। হাসান সজীব মনে করেন, করোনা কখন যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই বাস্তবতা মেনে অনলাইনে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেশনজট কমবে এবং দ্রুত স্নাতকটা শেষ করা যাবে।
অন্যদিকে তাঁর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলছেন, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে। নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামের অনেকেই ঠিকভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছুক্ষণ টাইপ করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। সশরীরে পরীক্ষায় পাঁচ–ছয়জন গার্ড উপস্থিত থাকলেও অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে তো আরও বেশি করবে। ফলে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চার সপ্তাহ আগে নতুন তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনলাইন পরীক্ষা আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে একজন ডিনকে প্রধান করে একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও বিভাগের প্রধানদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মতামত সাপেক্ষে পরীক্ষা শুরু করতে বলা হলেও বিবিএ অনুষদের বিভাগগুলোতে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে হলেও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলে জট থেকে মুক্তি পেতাম। অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না, এখনো জানানো হয়নি।’ তবে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তাঁর সহপাঠীদের একাংশ অনলাইন পরীক্ষা দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে যে বিভাগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে সক্ষম, তাদের আমরা পরীক্ষা নিতে বলেছি। কম্পিউটার সায়েন্সসহ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের ভালো সংযোগ না থাকায় তাঁদের শহরে যেতে হয়। যেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সে জন্য এটা শেষ হলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ উপস্থিতিতে অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সম্ভব নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে শতভাগ উপস্থিতিতে আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি?’
এর আগে গত ২৮ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এদিকে সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। ১০ জুলাই তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালে সেশনজট, ক্যারিয়ার নিয়ে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন।


ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এই অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে।
২৬ জুলাই ২০২১
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এই অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে।
২৬ জুলাই ২০২১
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এই অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে।
২৬ জুলাই ২০২১
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
২ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:


করোনায় দেশের শিক্ষা খাত একেবারে নাকাল। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সেশনজটে আটকা পড়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এই অবস্থায় অনলাইনে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক জটিল হচ্ছে।
২৬ জুলাই ২০২১
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ দিন আগে