প্রতিনিধি, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাবির তিন শিক্ষকের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যাওয়া তালিকায় থাকা ওই তিন শিক্ষক হলেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হবিবুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। এরই মধ্যে সরকারের একাধিক সংস্থা এই শিক্ষকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।
এই তিন শিক্ষকের ভেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের কাছে তিন শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ, পরিবারের রাজনৈতিক মতাদর্শসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
তালিকায় নাম থাকা অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ১৯৯০ সালে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড-১ ক্যাটাগরির অধ্যাপক। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিজ বিভাগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুই দফায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে তিনি আহ্বায়ক পদে জয় লাভ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা ডা. ইয়াসিন আলী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি ১৯৭৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তালিকায় নাম থাকা আরেক শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বর্তমানে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতি হন। এ ছাড়া তিনি তিনবার প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার পারিবারিক ভাবে আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।
তালিকায় একমাত্র নারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস সমাজকর্ম বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের এই শিক্ষক দলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সিন্ডিকেট সদস্য, নিজ বিভাগের সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব শেষ না করেই তিনি অব্যাহতি নেন। তিনিও পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত; চলতি বছরের ০৬ মে মেয়াদ শেষ হয় সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। ওই দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনকে এডহকে নিয়োগ দিয়ে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়েন অধ্যাপক সোবহান। এর পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে।
সাধারণত, উপাচার্য নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তালিকা পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ওই ফাইল রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তিনজন থেকে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এই হিসেবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে চলতি সপ্তাহে রাবিতে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাবির তিন শিক্ষকের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যাওয়া তালিকায় থাকা ওই তিন শিক্ষক হলেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হবিবুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। এরই মধ্যে সরকারের একাধিক সংস্থা এই শিক্ষকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।
এই তিন শিক্ষকের ভেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের কাছে তিন শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ, পরিবারের রাজনৈতিক মতাদর্শসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
তালিকায় নাম থাকা অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ১৯৯০ সালে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড-১ ক্যাটাগরির অধ্যাপক। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিজ বিভাগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুই দফায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে তিনি আহ্বায়ক পদে জয় লাভ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা ডা. ইয়াসিন আলী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি ১৯৭৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তালিকায় নাম থাকা আরেক শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বর্তমানে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতি হন। এ ছাড়া তিনি তিনবার প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার পারিবারিক ভাবে আওয়ামী রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।
তালিকায় একমাত্র নারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস সমাজকর্ম বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের এই শিক্ষক দলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সিন্ডিকেট সদস্য, নিজ বিভাগের সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব শেষ না করেই তিনি অব্যাহতি নেন। তিনিও পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত; চলতি বছরের ০৬ মে মেয়াদ শেষ হয় সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। ওই দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনকে এডহকে নিয়োগ দিয়ে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়েন অধ্যাপক সোবহান। এর পর থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে।
সাধারণত, উপাচার্য নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তালিকা পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ওই ফাইল রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তিনজন থেকে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এই হিসেবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে চলতি সপ্তাহে রাবিতে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ২০, ২১ ও ২৩ মে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) মহাখালী ক্যাম্পাসে সোমবার ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-এ রানার্সআপ হওয়া আইএসইউ ক্রিকেট টিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের অর্থ ও অনুপ্রেরণা স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে সুপারিশ প্রণয়নে সার্চ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটি সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই দায়িত্ব পালন করবে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। কমিটির সদস্য আছেন আরও চারজন।
১০ ঘণ্টা আগে