অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হাসান

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হাসান

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নায়েব মো. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। মডিউল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে সকাল এবং বিকেল দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা থাকছে না। কেবল লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। তবে আগের মতো মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ভর্তি পরীক্ষায় দুই ক্যাটাগরি তথা প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং কৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ও ১ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামসহ মেধাক্রম (সম্ভাব্য) ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারবেন।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নায়েব মো. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। মডিউল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে সকাল এবং বিকেল দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা থাকছে না। কেবল লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। তবে আগের মতো মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ভর্তি পরীক্ষায় দুই ক্যাটাগরি তথা প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং কৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ও ১ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামসহ মেধাক্রম (সম্ভাব্য) ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারবেন।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার এসব তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা হবে গত বছরের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসনসংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট নম্বর থাকবে ১০০। পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান শাখা, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষা শাখায় বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং প্রতিটি শাখার জন্য আলাদাভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৫।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষায় এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৪০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ৬০ নম্বরসহ মোট ২০০ (১০০+৪০+৬০) নম্বরে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুরের বোর্ড বাজার ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৭তম সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। প্রো-উপাচার্য ড. হিসেইন আরাবি নুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৭তম সমাবর্তনে ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ওআইসি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়। তিনি সিজিপিএ–৪ পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইইউটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন আরও ৭ শিক্ষার্থী। তারা হলেন: ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহিব-বিন-হোসেন। সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাবা উদ্দিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামিয়া নওশিন। মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদ রহমান চৌধুরী। বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রামিশা সালসাবিল ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগের নোসিন নাহার স্মিতা।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই তাদের চাকরি হয়ে গেছে। অনেকে জব কন্টিনিউ করছেন। এটাই আইইউটির ঐতিহ্য।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবর্তনে ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আইইউটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে নিজেদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করার সুযোগ পাবেন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর বাথে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব বাথ যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড়ি প্রান্তরে বাথের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাথ একটি গ্লোবাল লার্নিং কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব বাথে রয়েছে আকর্ষণীয় বৃত্তি সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে ‘মাস্টার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের জন্য রয়েছে ‘স্কলারশিপ ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স’। এই বৃত্তির মূল্য ১০ হাজার পাউন্ড। এই বৃত্তি সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ইউনিভার্সিটি অব বাথ থিঙ্ক অ্যাম্বিশাস বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এমএসসি ইন ফাইন্যান্স বা এমএসসি ইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার অফার পেতে এবং তা গ্রহণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। Bath Application Tracker-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম ব্যবহার করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিগ্রি সনদপত্রের কপি। আবেদনপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্ত করতে হবে একটি মোটিভেশন লেটার। যেখানে প্রার্থী নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের অনুলিপি। এ ছাড়া শিক্ষাগত বা পেশাগত দিক থেকে পরিচিত কারও কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ একটি আপডেট জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত সব কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৬টি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৫২২ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ওআইসি গোল্ড মেডেল ও আরও একাধিক শিক্ষার্থী পেয়েছেন আইইউটি গোল্ড মেডেল।
১ দিন আগে