আতাউর রহমান সায়েম

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
আতাউর রহমান সায়েম

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
জ্ঞান স্তর ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্নগুলো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে আসবে। আর প্রয়োগ স্তর ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নগুলো উদ্দীপক ও বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায় মিলে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চাইলে বইয়ের একটি অধ্যায় পড়ার পর ওই অধ্যায়ের কয়টি দিক রয়েছে এবং যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর কার কী ভূমিকা, তা ভালোভাবে বুঝে, না দেখে খাতায় লেখার চর্চা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ‘সুভা’ ছোটগল্প তুলে ধরছি। এই অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি দিক বা বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে। যেমন–
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী,
২. প্রকৃতির সঙ্গে ভাব বিনিময়
৩. মনের মানুষকে নিয়ে কল্পনা করা/ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৪. বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরীর কষ্ট/অসহায়ত্ব
৫. সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ-মমতা ও মঙ্গল কামনা
৬. সন্তানের প্রতি মায়ের দুশ্চিন্তা
৭. দুরন্তপনা
৮. ভালোবাসা প্রত্যাশীর মনের কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি। আর যেসব চরিত্র রয়েছে এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়েছে, সেগুলো হলো প্রধান চরিত্র সুভা (১, ২, ৩, ৪), অন্যান্য চরিত্র সুভার মা (৫), সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ (৬), সুভার মনের মানুষ প্রতাপ
(৭, ৮) প্রমুখ। আর ‘সুভা’ ছোটগল্পের প্রধান দিক/মূল উপজীব্য/সারকথা/ সারবক্তব্য হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটানো। তোমাদের আরও জানা দরকার যে, বইয়ের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য একটি অধ্যায়ের মূলভাব কিংবা কোনো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের বা গুণের মিল থাকলে যৌথভাবে উদ্দীপকসহ প্রশ্ন করা যায়।
তাই তোমাদের এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তোমাদের সুবিধার জন্য উদাহরণ হিসেবে আমি কয়েকটি অধ্যায়ের নাম তুলে ধরছি: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিনপঞ্জির সঙ্গে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, ‘আমার পরিচয়’, ‘স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতার এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশপ্রেম, দুঃসাহসী, পাকিস্তানি বাহিনীর শাসন ও নির্যাতনের দিকটির মিল রয়েছে। আবার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকিত মানুষ হওয়ার দিকটির মিল রয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি অধ্যায় মিলে প্রশ্ন হতে পারে।
প্রত্যেক উদ্দীপকে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন থাকে। তোমাদের সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(ক) জ্ঞানমূলক: অধ্যায়ের ভেতর থেকে যে বাক্যগুলো এক কথায় প্রশ্নোত্তর হয় সেখান থেকে, শব্দার্থ থেকে এবং লেখক পরিচিতি থেকে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের কোনো প্রশ্ন এই স্তরে হবে না। আর এই স্তরের মানবণ্টন হবে ১। পরীক্ষার্থী খাতার মধ্যে শুধু একটি শব্দ দিয়ে জ্ঞান স্তরের আক্ষরিক অর্থটি উত্তর করতে পারবে; তবে একটি বাক্যে লেখাই উত্তম।
(খ) অনুধাবনমূলক: অনুধাবন স্তরের প্রশ্নও বই থেকে হবে। তবে যে বইয়ের অধ্যায়ের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে। প্রশ্নপত্রে এই স্তরের মান ২ লেখা থাকলেও তোমরা দুটি অংশে উত্তর লিখবে। অর্থাৎ প্রথম অংশে জ্ঞান স্তরের ১ নম্বরের জন্য একটি বাক্যে ভাবার্থে এবং দ্বিতীয় অংশে অনুধাবন স্তরের ১ নম্বরের জন্য বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে দুই থেকে চারটি বাক্যের মধ্যে উত্তর লিখবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ইচ্ছা করলে অনুধাবন অংশটি আগেও লিখতে পারো এবং জ্ঞান স্তরের অংশটি পরেও লিখতে পারবে।
(গ) প্রয়োগমূলক: প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নে উদ্দীপক ও বইয়ের কোনো অধ্যায়ের দিক/চরিত্রের সঙ্গে একত্র করে প্রশ্ন হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৩ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১ ও প্রয়োগ স্তর= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে ভাবানুবাদে, অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে এবং প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে (উদ্দীপকের কথা হুবহু লেখা যাবে না, নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে হবে) এবং শেষে তাই বলে প্রয়োগের জ্ঞানটি—অর্থাৎ বই ও উদ্দীপক উভয় জায়গাতে যে দিকটি ফুটে উঠেছে সেটা সংক্ষেপে মিলিয়ে লিখলে ভালো হবে। এভাবে তিনটি স্তর তিনটি প্যারায় লেখা উত্তম। উল্লেখ্য, (গ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তর ঠিক না হলে পরীক্ষকগণ খুবই কম নম্বর, এমনকি শূন্য নম্বর দিতে পারেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নটি উদ্দীপক ও বই মিলে হবে। এই স্তরের মানবণ্টন ৪ (জ্ঞান স্তর= ১, অনুধাবন স্তর= ১, প্রয়োগ স্তর= ১ ও উচ্চতর দক্ষতা= ১)। তোমরা উত্তরে জ্ঞান স্তরটি লিখবে সিদ্ধান্তের ভাব অনুযায়ী (১ বাক্যে কারণসহ), অনুধাবন স্তরটি লিখবে বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আঙ্গিকে, প্রয়োগ স্তরটি লিখবে উদ্দীপক থেকে ও উচ্চতর দক্ষতার স্তরটি লিখবে বইয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ এবং উদ্দীপকের অংশের সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার পুনরাবৃত্তি করে। এখানে চারটি প্যারা করলে ভালো হয়। তবে কেউ যদি এক বা দুই প্যারায় বা তিন প্যারায় চার স্তরের উত্তর ঠিকভাবে লিখতে পারে, সেও পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দাবি রাখে। (ঘ) নম্বর প্রশ্নোত্তরের জ্ঞান স্তরের উত্তরটিও খুবই সাবধানে দিতে হবে। কেননা, সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে ওই প্রশ্নের অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতার দক্ষতা স্তরের ভুল উত্তরের প্রভাব পড়বে। তখন হয়তো পরীক্ষকগণ ওই প্রশ্নোত্তরে শূন্য নম্বর দিতে পারেন। উল্লেখ্য, (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরে যদি উদ্দীপকের কোনো চরিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের কোনো চরিত্রের বিমূর্ত রূপ/প্রতিবিম্ব রূপ/প্রতিরূপ/অনুরূপ/একই রূপ/প্রতিচ্ছবি—এ ধরনের কথা থাকে, তাহলে উদ্দীপকে বর্ণিত চরিত্রের এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের ওই চরিত্রের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য/গুণ এক হলে যথার্থ; আর এক না হলে যথার্থ নয় লিখতে হবে। কিন্তু প্রশ্নে ‘প্রতিনিধিত্ব করে’ এ ধরনের কথা থাকলে চরিত্রের সবকিছু বৈশিষ্ট্য/গুণ না থাকলেও চলবে।
অবশ্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য/গুণ মিলে গেলে যথার্থ লিখতে হবে; আর মাত্র দুই-একটি বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। কারণ, হয়তো ওই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে প্রায় ৫-১০টি বৈশিষ্ট্য/গুণ রয়েছে। আবার উদ্দীপকের মূলভাব এবং অধ্যায়ের মূলভাব/মূলকথা/সারকথা/মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত—এ ধরনের কথা থাকলে সব দিক মেলানোর প্রয়োজন নেই, মূলকথা থাকলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ লিখতে হবে। তবে প্রশ্নে যদি সামগ্রিক ভাব/দিক প্রকাশ পায়—এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এবং উদ্দীপকের সব দিক/ভাব মেলাতে হবে। একটি দিক/ভাব/বৈশিষ্ট্য কম হলেই (বিয়োগ অঙ্কের মতো করে পার্থক্য দেখাতে হবে) ‘যথার্থ নয়’ লিখতে হবে। আর মন্তব্য না দিয়ে যদি মূলভাব কিংবা সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? কিংবা কোনো চরিত্রের প্রতিবিম্ব/প্রতিচ্ছবি বলা যায় কি?—এ ধরনের কথা থাকলে হ্যাঁ কিংবা না লিখতে হবে। যথার্থ কিংবা যথার্থ নয় লেখা যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীরা মন্তব্যটি যথার্থ নাকি উক্তিটি যথার্থ প্রশ্ন দেখে লিখবে। তবে (ঘ) নম্বর প্রশ্নে উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মধ্যে জ্ঞানের উত্তরের সঙ্গে কারণটি লেখা উত্তম বলে মনে করি। আর শেষ প্যারায় প্রাসঙ্গিক নৈতিকতার কোনো কথা এক বাক্যে লিখলে আরও ভালো হবে।
আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৩
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। রুটিন অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। যেহেতু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাই তোমাদের প্রস্তুতি এর মধ্যেই গুছিয়ে ফেলতে হবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে