শাহ বিলিয়া জুলফিকার
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক পরীক্ষার্থী আইনবিষয়ক প্রস্তুতিতে মনোযোগী হলেও ইংরেজিকে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব দেন। অথচ বাস্তবে প্রিলি ও লিখিত—দুই ধাপেই ইংরেজিতে ভালো করলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বহু গুণ বেড়ে যায়। প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭ তম বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন। লিখেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
প্রিলিতে ইংরেজি
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজি থেকে মোট ১০টি প্রশ্ন থাকে, যার মধ্যে প্রায় ৫টি প্রশ্নই লিটারেচার বা ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস ও লেখকভিত্তিক। তাই লিটারেচার আয়ত্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ লেখক, তাঁদের সময়কাল ও উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শেক্সপিয়র, মিল্টন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কিটস, শেলি, টেনিসন, ইলিয়ট প্রমুখকে ঘিরেই নিয়মিত প্রশ্ন আসে। শুধু মুখস্থ নয়, লিখে লিখে পড়া ও বারবার রিভিশনই কার্যকর কৌশল।
প্রয়োজনীয় বই
Confidence Handbook of Literature—প্রিলির জন্য যথেষ্ট।
Miracle Literature—যাঁরা ব্যাকগ্রাউন্ডসহ গভীরে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কার্যকর।
পূর্ববর্তী চাকরির প্রশ্নপত্র—অনুশীলনের জন্য অপরিহার্য।
গ্রামার: বেসিক আয়ত্তে আনুন
প্রিলিতে সাধারণত ২টি প্রশ্ন আসে গ্রামার থেকে। অনেকে না পড়েও একটি-দুটি উত্তর করতে পারেন, তবে নিশ্চিত ভালো নম্বর পেতে হলে কিছু বেসিক অংশ ঝালাই করা জরুরি। প্রধান টপিকগুলো হলো: Parts of Speech, Right form of verb, Voice Change, Narration ও Transformation of Sentences। এই অংশগুলোর জন্য Master English Grammar বই যথেষ্ট। দুর্বলদের জন্য P.C. Das উপযোগী। প্র্যাকটিসের জন্য Cliffs TOEFL একটি ভালো রিসোর্স।
ভোকাবুলারি: ভোকাবুলারি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। অনেক পড়েও মনে রাখা কঠিন, আবার কমন পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। প্রিলিতে দু-একটি প্রশ্ন থাকতে পারে, তাই বেশি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। তবে লিখিত পরীক্ষায় ভোকাবুলারির গুরুত্ব অনেক বেশি।
ভোকাবুলারির জন্য উপযোগী বই:
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজির নম্বর তুলনামূলক বেশি। এখানে লিটারেচার, গ্রামার, ভোকাবুলারি—তিনটি অংশের সমন্বয়ে প্রশ্ন আসে।
১. Literature: লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ৫ নম্বর আসে লিটারেচার থেকে। প্রিলির জন্য যে বইগুলো পড়া হয় (Confidence ও Miracle), সেগুলোর সাহায্যে লিখিত অংশও কাভার করা যায়।
২. Grammar: Narration, Transformation, Correction—এসবের সঠিক অনুশীলন লিখিত পরীক্ষায় বাড়তি সুবিধা দেয়। অনেক সময় সংক্ষিপ্ত আকারে লিখিত পরীক্ষার নম্বর তোলা যায় এখান থেকেই।
৩. Vocabulary: এখানে বড় ভূমিকা রাখে। Preposition, Idiom, Synonym, Antonym থেকে প্রশ্ন আসে। এজন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পরীক্ষার আগে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে রেখে বারবার রিভিশন দেওয়া কার্যকর।
রিভিশনের কৌশল
ইংরেজির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো রিভিশন। মুখস্থ করলেও ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই প্রতিবার পড়ার পর নোটে হাইলাইট করে রাখা এবং পরীক্ষার আগে শুধু সেগুলোই বারবার পড়া সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। অনেক পরীক্ষার্থী শেষ সময়ে শুধু হাইলাইট করা অংশ রিভিশন দিয়ে ভালো ফল করেন।
কেন লিটারেচারে জোর দেওয়া উচিত
প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, লিটারেচার অংশ সবচেয়ে বেশি কমন হয় এবং নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ভোকাবুলারিতে কমন পাওয়া অনিশ্চিত, গ্রামারে প্রশ্ন সংখ্যা সীমিত—তাই লিটারেচারই মূল ট্রাম্পকার্ড। বিশেষ করে প্রিলির জন্য লিটারেচার আয়ত্তে আনা জরুরি।
বিশেষ পরামর্শ
বিজেএস পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আইনবিষয়ক প্রস্তুতির পাশাপাশি ইংরেজিকে অবহেলা করলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া কঠিন। প্রিলিতে লিটারেচার এবং লিখিত পরীক্ষায় ভোকাবুলারি হলো আসল গেমচেঞ্জার। তাই পরিকল্পনা করে পড়াশোনা শুরু করুন, সঠিক বই বেছে নিন এবং নিয়মিত রিভিশন দিন। তাহলেই ইংরেজি অংশ থেকে কাঙ্ক্ষিত নম্বর পেয়ে মেরিট তালিকায় এগিয়ে থাকা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক পরীক্ষার্থী আইনবিষয়ক প্রস্তুতিতে মনোযোগী হলেও ইংরেজিকে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব দেন। অথচ বাস্তবে প্রিলি ও লিখিত—দুই ধাপেই ইংরেজিতে ভালো করলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বহু গুণ বেড়ে যায়। প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭ তম বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন। লিখেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
প্রিলিতে ইংরেজি
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজি থেকে মোট ১০টি প্রশ্ন থাকে, যার মধ্যে প্রায় ৫টি প্রশ্নই লিটারেচার বা ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস ও লেখকভিত্তিক। তাই লিটারেচার আয়ত্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ লেখক, তাঁদের সময়কাল ও উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শেক্সপিয়র, মিল্টন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কিটস, শেলি, টেনিসন, ইলিয়ট প্রমুখকে ঘিরেই নিয়মিত প্রশ্ন আসে। শুধু মুখস্থ নয়, লিখে লিখে পড়া ও বারবার রিভিশনই কার্যকর কৌশল।
প্রয়োজনীয় বই
Confidence Handbook of Literature—প্রিলির জন্য যথেষ্ট।
Miracle Literature—যাঁরা ব্যাকগ্রাউন্ডসহ গভীরে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কার্যকর।
পূর্ববর্তী চাকরির প্রশ্নপত্র—অনুশীলনের জন্য অপরিহার্য।
গ্রামার: বেসিক আয়ত্তে আনুন
প্রিলিতে সাধারণত ২টি প্রশ্ন আসে গ্রামার থেকে। অনেকে না পড়েও একটি-দুটি উত্তর করতে পারেন, তবে নিশ্চিত ভালো নম্বর পেতে হলে কিছু বেসিক অংশ ঝালাই করা জরুরি। প্রধান টপিকগুলো হলো: Parts of Speech, Right form of verb, Voice Change, Narration ও Transformation of Sentences। এই অংশগুলোর জন্য Master English Grammar বই যথেষ্ট। দুর্বলদের জন্য P.C. Das উপযোগী। প্র্যাকটিসের জন্য Cliffs TOEFL একটি ভালো রিসোর্স।
ভোকাবুলারি: ভোকাবুলারি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। অনেক পড়েও মনে রাখা কঠিন, আবার কমন পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। প্রিলিতে দু-একটি প্রশ্ন থাকতে পারে, তাই বেশি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। তবে লিখিত পরীক্ষায় ভোকাবুলারির গুরুত্ব অনেক বেশি।
ভোকাবুলারির জন্য উপযোগী বই:
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজির নম্বর তুলনামূলক বেশি। এখানে লিটারেচার, গ্রামার, ভোকাবুলারি—তিনটি অংশের সমন্বয়ে প্রশ্ন আসে।
১. Literature: লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ৫ নম্বর আসে লিটারেচার থেকে। প্রিলির জন্য যে বইগুলো পড়া হয় (Confidence ও Miracle), সেগুলোর সাহায্যে লিখিত অংশও কাভার করা যায়।
২. Grammar: Narration, Transformation, Correction—এসবের সঠিক অনুশীলন লিখিত পরীক্ষায় বাড়তি সুবিধা দেয়। অনেক সময় সংক্ষিপ্ত আকারে লিখিত পরীক্ষার নম্বর তোলা যায় এখান থেকেই।
৩. Vocabulary: এখানে বড় ভূমিকা রাখে। Preposition, Idiom, Synonym, Antonym থেকে প্রশ্ন আসে। এজন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পরীক্ষার আগে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে রেখে বারবার রিভিশন দেওয়া কার্যকর।
রিভিশনের কৌশল
ইংরেজির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো রিভিশন। মুখস্থ করলেও ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই প্রতিবার পড়ার পর নোটে হাইলাইট করে রাখা এবং পরীক্ষার আগে শুধু সেগুলোই বারবার পড়া সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। অনেক পরীক্ষার্থী শেষ সময়ে শুধু হাইলাইট করা অংশ রিভিশন দিয়ে ভালো ফল করেন।
কেন লিটারেচারে জোর দেওয়া উচিত
প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, লিটারেচার অংশ সবচেয়ে বেশি কমন হয় এবং নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ভোকাবুলারিতে কমন পাওয়া অনিশ্চিত, গ্রামারে প্রশ্ন সংখ্যা সীমিত—তাই লিটারেচারই মূল ট্রাম্পকার্ড। বিশেষ করে প্রিলির জন্য লিটারেচার আয়ত্তে আনা জরুরি।
বিশেষ পরামর্শ
বিজেএস পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আইনবিষয়ক প্রস্তুতির পাশাপাশি ইংরেজিকে অবহেলা করলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া কঠিন। প্রিলিতে লিটারেচার এবং লিখিত পরীক্ষায় ভোকাবুলারি হলো আসল গেমচেঞ্জার। তাই পরিকল্পনা করে পড়াশোনা শুরু করুন, সঠিক বই বেছে নিন এবং নিয়মিত রিভিশন দিন। তাহলেই ইংরেজি অংশ থেকে কাঙ্ক্ষিত নম্বর পেয়ে মেরিট তালিকায় এগিয়ে থাকা সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
১১ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি চাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন মো. তারেক আনোয়ার জাহেদী। এর আগে তিনি রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেশহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করার আগে সরকারকে আরও কিছুক্ষণ সময় দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আপাতত হচ্ছে না।
১৭ ঘণ্টা আগে