নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখা এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জানা যাবে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গত বছর প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এই পদ্ধতিতে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় গুচ্ছভুক্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এরই মধ্যে এ পদ্ধতিতে না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার এখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের বড় একটি অংশ আরেকবার গুচ্ছ পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে।
এ নিয়ে চারদিকে যখন নান আলোচনা হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে উপাচার্যদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে ইউজিসি। ইউজিসি ভবনে বেলা সাড়ে ১১টায় এই সভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে হবে কি-না, হলে কতটি বিশ্ববিদ্যালয় কোন প্রক্রিয়ায় এতে অংশ নেবে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া গুচ্ছ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষার মতো ভর্তি প্রক্রিয়াও পরিচালনা করা হবে কি-না, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে গুচ্ছে না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন জগন্নাথ, কুমিল্লা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আলাদা সভা করে নিজ নিজ উপাচার্যকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। গুচ্ছে থাকলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরতি নেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামও গুচ্ছে থাকার পক্ষে নন।
গতবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবার জবি গুচ্ছে থাকছে কি-না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়েছে পদ্ধতিটি।
এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত বড় চার বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছে আসছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এবারও নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও নির্ধারণ করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবার ভর্তি পরীক্ষা হলেও এতে কয়েকটি পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার আয়োজনের কারণে কিছুটা সমন্বয়হীনতা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি করাতে গিয়ে শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির বিষয়টি তদারকি করলে এ সমস্যা হতো না। আশা করি সামনে এমন সমস্যা কমিয়ে আনা হবে।’
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে গুচ্ছ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে কি-না, কোন সিলেবাসে পরীক্ষা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ইউজিসির পক্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মতামত জানতে চিঠি পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে।
বৃহস্পতিবার ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকের পর ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই পরদিন শুক্রবার উপাচার্য পরিষদের আরেকটি সভা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ যাতে একইদিনে না পড়ে, সে জন্য উপাচার্যরা এ বৈঠকে বসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখা এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জানা যাবে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গত বছর প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এই পদ্ধতিতে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় গুচ্ছভুক্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এরই মধ্যে এ পদ্ধতিতে না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার এখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের বড় একটি অংশ আরেকবার গুচ্ছ পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে।
এ নিয়ে চারদিকে যখন নান আলোচনা হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে উপাচার্যদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে ইউজিসি। ইউজিসি ভবনে বেলা সাড়ে ১১টায় এই সভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে হবে কি-না, হলে কতটি বিশ্ববিদ্যালয় কোন প্রক্রিয়ায় এতে অংশ নেবে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া গুচ্ছ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষার মতো ভর্তি প্রক্রিয়াও পরিচালনা করা হবে কি-না, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে গুচ্ছে না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন জগন্নাথ, কুমিল্লা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আলাদা সভা করে নিজ নিজ উপাচার্যকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। গুচ্ছে থাকলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরতি নেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামও গুচ্ছে থাকার পক্ষে নন।
গতবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবার জবি গুচ্ছে থাকছে কি-না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়েছে পদ্ধতিটি।
এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত বড় চার বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছে আসছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এবারও নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও নির্ধারণ করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবার ভর্তি পরীক্ষা হলেও এতে কয়েকটি পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার আয়োজনের কারণে কিছুটা সমন্বয়হীনতা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি করাতে গিয়ে শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির বিষয়টি তদারকি করলে এ সমস্যা হতো না। আশা করি সামনে এমন সমস্যা কমিয়ে আনা হবে।’
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে গুচ্ছ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে কি-না, কোন সিলেবাসে পরীক্ষা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ইউজিসির পক্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মতামত জানতে চিঠি পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে।
বৃহস্পতিবার ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকের পর ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই পরদিন শুক্রবার উপাচার্য পরিষদের আরেকটি সভা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ যাতে একইদিনে না পড়ে, সে জন্য উপাচার্যরা এ বৈঠকে বসেন।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চারটি স্কুলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউমিনিটিসের জন্য সরকারি বাংলা কলেজ এবং স্কুল অব
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
২ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
২ দিন আগে