
দেশের অন্যতম বৃহৎ ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম অ্যান্ড কিচেন এবং প্রযুক্তিপণ্য ব্র্যান্ড ওয়ালটন। বর্তমানে এখানে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছেন। নিয়োগপ্রক্রিয়া, কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ওয়ালটন করপোরেট অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ প্রামাণিক আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই। নারী-পুরুষ উভয়ই যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারছেন।
ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন, বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়?
ওয়ালটনে বছরজুড়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান থাকে। তবে বছরের শুরু এবং মাঝামাঝি সময়ে বড় পরিসরে নিয়োগ হয়। ম্যানপাওয়ার বাজেট ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, আইটি এবং টেকনিক্যাল পদে প্রায় নিয়মিতই নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিজন অনুযায়ী প্রোডাকশন ও সেলস বেড়ে গেলে নতুন জনবল প্রয়োজন হয়। ফেস্টিভ্যাল সিজন বা নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসার সময়ও নতুন কর্মীর চাহিদা বাড়ে।
কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কাস্টমার সার্ভিস, কল সেন্টার, আইটি, ইন্টারনাল অডিট এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস—প্রায় সব বিভাগেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার) এবং গ্র্যাজুয়েশন ও প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বেশি অগ্রাধিকার পান। তবে সেলস, প্রোডাকশন এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে।
অভিজ্ঞ প্রার্থী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোতে নজর দেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবলকে গুরুত্ব দেয়। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু সিভিতে থাকা অভিজ্ঞতা নয়, বরং বাস্তবে তাঁরা কর্মজীবনে কী অর্জন করেছেন এবং টিমে যোগদানের পর কী ভ্যালু অ্যাড করবেন, তা মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষভাবে দেখা হয়, প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা, টেকনিক্যাল ও কমিউনিকেশন স্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিমওয়ার্ক, অ্যাডাপ্টেবিলিটি, পরিবর্তন মেনে নেওয়ার ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানের মিশন-ভিশন, সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত থাকার মানসিকতা।
ভাইভায় প্রার্থীর কোন দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কোথায় ঘাটতি দেখা যায়?
ভাইভায় যোগাযোগ-দক্ষতা, বিষয়ভিত্তিক ও ব্যবসায়িক জ্ঞান, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব, বিশ্লেষণধর্মী ক্ষমতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঘাটতি সাধারণত দেখা যায় বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, দুর্বল যোগাযোগ-ক্ষমতা, কাজের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের ঘাটতি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব।
চাহিদা অনুযায়ী কেমন দক্ষ প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে, কারিকুলামে পরিবর্তন প্রয়োজন আছে কি?
দক্ষ প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, আরঅ্যান্ডআইয়ের মতো ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন। তবে বাস্তব ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মেটাতে আরও ইন্ডাস্ট্রি-ওরিয়েন্টেড কোর্স কারিকুলাম, প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং, সফট স্কিল উন্নয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বাড়ানো জরুরি।
ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ কতটা?
ওয়ালটন সব সময় ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের স্বাগত জানায়। তবে সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কম্পিউটারে দক্ষতা এবং যোগাযোগ-দক্ষতা থাকতে হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এখানে শেখার সুযোগ অনেক বেশি এবং ক্যারিয়ার গ্রোথও দ্রুত হয়। ওয়ালটনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পোর্টাল, বিডিজবস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
প্রার্থীদের সিভিতে সাধারণত কী ধরনের ভুল দেখা যায়?
অতিরিক্ত বড় সিভি, অগোছালো ফরম্যাট, অস্পষ্ট ক্যারিয়ার অবজেকটিভ, বানান ভুল, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া, অতিরঞ্জিত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা এবং সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আবেদন করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ওয়ালটনে কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে?
ওয়ালটনের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম ট্রেনিং নিড অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে ‘অন দ্য জব ট্রেনিং’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং, লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, প্রোডাক্ট ট্রেনিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিংও নিয়মিত পরিচালিত হয়। কর্মীদের পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজালের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
কর্মীদের বেতন-সুবিধা ও প্রেরণা প্রদানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
ওয়ালটনে কর্মীদের জন্য রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতনকাঠামো, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চিকিৎসা-সুবিধা, কর্মীকল্যাণ তহবিল, পারফরম্যান্স বোনাস, উৎসব ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট, স্বাস্থ্যবিমা, পরিবহন ও ক্যানটিন-সুবিধা। পাশাপাশি বেস্ট পারফরমার অ্যাওয়ার্ড, ক্যারিয়ার গ্রোথ ও পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এবং কর্মীদের মতামত গ্রহণ ও ফিডব্যাক সংগ্রহের মাধ্যমে প্রেরণা নিশ্চিত করা হয়।
নতুন প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে দক্ষতাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়?
ওয়ালটনের বর্তমান উন্নয়নকাঠামোয় ডেটা অ্যানালিটিকস, অটোমেশন ও আইওটিভিত্তিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রোডাকশন, আইটি এবং আরঅ্যান্ডআই বিভাগে এ দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাওয়ার বিআই, পাইথন, এআইচালিত টুলস ব্যবহারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। মার্কেটিং মিডিয়া অ্যানালিটিকস, চ্যাটবট এবং কাস্টমার সার্ভিস অটোমেশনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দক্ষতা কর্মীদের এগিয়ে রাখে।
বহির্বিশ্বে ওয়ালটনের বাজারে পরিস্থিতি কেমন?
ওয়ালটন শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। কর্মীদের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। দক্ষ কর্মীদের উন্নত প্রযুক্তি শেখার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কর্মীরা বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং, আন্তর্জাতিক ফেয়ার বা এক্সিবিশনে অংশ নিতে পারেন।
কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশ্বাস করে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কর্মী থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়া সম্ভব। তাই কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব মেডিকেল সাপোর্ট টিম, স্বাস্থ্যবিমা এবং নিয়মিত হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, মোটিভেশনাল সেশন এবং কাউন্সেলিং সুবিধাও প্রদান করা হয়।
ওয়ালটনে কাজ করতে আগ্রহী নতুনদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নিজের স্কিল এবং অর্জিত জ্ঞানের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। সব সময় নতুন কিছু শেখার মানসিকতা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ার মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ালটনে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তাই নিজেকে প্রস্তুত করলেই ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ নিশ্চিত।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই। নারী-পুরুষ উভয়ই যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারছেন।
ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন, বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়?
ওয়ালটনে বছরজুড়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান থাকে। তবে বছরের শুরু এবং মাঝামাঝি সময়ে বড় পরিসরে নিয়োগ হয়। ম্যানপাওয়ার বাজেট ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, আইটি এবং টেকনিক্যাল পদে প্রায় নিয়মিতই নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিজন অনুযায়ী প্রোডাকশন ও সেলস বেড়ে গেলে নতুন জনবল প্রয়োজন হয়। ফেস্টিভ্যাল সিজন বা নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসার সময়ও নতুন কর্মীর চাহিদা বাড়ে।
কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কাস্টমার সার্ভিস, কল সেন্টার, আইটি, ইন্টারনাল অডিট এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস—প্রায় সব বিভাগেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার) এবং গ্র্যাজুয়েশন ও প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বেশি অগ্রাধিকার পান। তবে সেলস, প্রোডাকশন এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে।
অভিজ্ঞ প্রার্থী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোতে নজর দেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবলকে গুরুত্ব দেয়। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু সিভিতে থাকা অভিজ্ঞতা নয়, বরং বাস্তবে তাঁরা কর্মজীবনে কী অর্জন করেছেন এবং টিমে যোগদানের পর কী ভ্যালু অ্যাড করবেন, তা মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষভাবে দেখা হয়, প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা, টেকনিক্যাল ও কমিউনিকেশন স্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিমওয়ার্ক, অ্যাডাপ্টেবিলিটি, পরিবর্তন মেনে নেওয়ার ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানের মিশন-ভিশন, সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত থাকার মানসিকতা।
ভাইভায় প্রার্থীর কোন দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কোথায় ঘাটতি দেখা যায়?
ভাইভায় যোগাযোগ-দক্ষতা, বিষয়ভিত্তিক ও ব্যবসায়িক জ্ঞান, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব, বিশ্লেষণধর্মী ক্ষমতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঘাটতি সাধারণত দেখা যায় বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, দুর্বল যোগাযোগ-ক্ষমতা, কাজের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের ঘাটতি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব।
চাহিদা অনুযায়ী কেমন দক্ষ প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে, কারিকুলামে পরিবর্তন প্রয়োজন আছে কি?
দক্ষ প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, আরঅ্যান্ডআইয়ের মতো ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন। তবে বাস্তব ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মেটাতে আরও ইন্ডাস্ট্রি-ওরিয়েন্টেড কোর্স কারিকুলাম, প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং, সফট স্কিল উন্নয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বাড়ানো জরুরি।
ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ কতটা?
ওয়ালটন সব সময় ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের স্বাগত জানায়। তবে সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কম্পিউটারে দক্ষতা এবং যোগাযোগ-দক্ষতা থাকতে হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এখানে শেখার সুযোগ অনেক বেশি এবং ক্যারিয়ার গ্রোথও দ্রুত হয়। ওয়ালটনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পোর্টাল, বিডিজবস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
প্রার্থীদের সিভিতে সাধারণত কী ধরনের ভুল দেখা যায়?
অতিরিক্ত বড় সিভি, অগোছালো ফরম্যাট, অস্পষ্ট ক্যারিয়ার অবজেকটিভ, বানান ভুল, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া, অতিরঞ্জিত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা এবং সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আবেদন করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ওয়ালটনে কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে?
ওয়ালটনের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম ট্রেনিং নিড অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে ‘অন দ্য জব ট্রেনিং’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং, লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, প্রোডাক্ট ট্রেনিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিংও নিয়মিত পরিচালিত হয়। কর্মীদের পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজালের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
কর্মীদের বেতন-সুবিধা ও প্রেরণা প্রদানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
ওয়ালটনে কর্মীদের জন্য রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতনকাঠামো, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চিকিৎসা-সুবিধা, কর্মীকল্যাণ তহবিল, পারফরম্যান্স বোনাস, উৎসব ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট, স্বাস্থ্যবিমা, পরিবহন ও ক্যানটিন-সুবিধা। পাশাপাশি বেস্ট পারফরমার অ্যাওয়ার্ড, ক্যারিয়ার গ্রোথ ও পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এবং কর্মীদের মতামত গ্রহণ ও ফিডব্যাক সংগ্রহের মাধ্যমে প্রেরণা নিশ্চিত করা হয়।
নতুন প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে দক্ষতাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়?
ওয়ালটনের বর্তমান উন্নয়নকাঠামোয় ডেটা অ্যানালিটিকস, অটোমেশন ও আইওটিভিত্তিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রোডাকশন, আইটি এবং আরঅ্যান্ডআই বিভাগে এ দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাওয়ার বিআই, পাইথন, এআইচালিত টুলস ব্যবহারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। মার্কেটিং মিডিয়া অ্যানালিটিকস, চ্যাটবট এবং কাস্টমার সার্ভিস অটোমেশনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দক্ষতা কর্মীদের এগিয়ে রাখে।
বহির্বিশ্বে ওয়ালটনের বাজারে পরিস্থিতি কেমন?
ওয়ালটন শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। কর্মীদের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। দক্ষ কর্মীদের উন্নত প্রযুক্তি শেখার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কর্মীরা বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং, আন্তর্জাতিক ফেয়ার বা এক্সিবিশনে অংশ নিতে পারেন।
কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশ্বাস করে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কর্মী থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়া সম্ভব। তাই কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব মেডিকেল সাপোর্ট টিম, স্বাস্থ্যবিমা এবং নিয়মিত হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, মোটিভেশনাল সেশন এবং কাউন্সেলিং সুবিধাও প্রদান করা হয়।
ওয়ালটনে কাজ করতে আগ্রহী নতুনদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নিজের স্কিল এবং অর্জিত জ্ঞানের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। সব সময় নতুন কিছু শেখার মানসিকতা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ার মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ালটনে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তাই নিজেকে প্রস্তুত করলেই ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ নিশ্চিত।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৪ মিনিট আগে
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৩৮ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রথম ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার ২১৯টি। ফলে প্রতি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী।
আর গত ১২ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে দেশের দুই বিভাগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে শূন্য পদের সংখ্যা ৪ হাজার ১৬৬টি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রথম ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার ২১৯টি। ফলে প্রতি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী।
আর গত ১২ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে দেশের দুই বিভাগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে শূন্য পদের সংখ্যা ৪ হাজার ১৬৬টি।

ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৩৮ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল আজ বুধবার বিকেলে বলেন, লটারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল প্রক্রিয়া তদারকি করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
যেভাবে মিলবে ফল
অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছে, সেটিতে ফলাফল এসএমএস করবে টেলিটক। আর ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ফল প্রকাশ করা হবে। আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান পুরো ফলটি পাবেন, তাই শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে খোঁজ নিয়েও ফল জানতে পারবে।
ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোহেল আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুলে প্রতি আসনে ৬ শিক্ষার্থীর আবেদন, বেসরকারিতে কম
মাউশি থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই এবার সরকারি স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে; ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আসনপ্রতি প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। অপর দিকে ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে যতগুলো আসন ফাঁকা আছে, তার ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
তথ্য বলছে, ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, তারা ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৩৮টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
আর মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তারা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬১৬টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছিল। ১০০ টাকা ফি দিয়ে করা প্রতিটি আবেদনে তারা পাঁচটি স্কুলে আসন পছন্দ দিতে পেরেছিল। শিক্ষার্থীদের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আলাদা আবেদন করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে ও কোচিং-বাণিজ্য ঠেকাতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য সরকার লটারি পদ্ধতি চালু করে। এর পর থেকে প্রতিবছর সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল আজ বুধবার বিকেলে বলেন, লটারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল প্রক্রিয়া তদারকি করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
যেভাবে মিলবে ফল
অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছে, সেটিতে ফলাফল এসএমএস করবে টেলিটক। আর ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ফল প্রকাশ করা হবে। আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান পুরো ফলটি পাবেন, তাই শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে খোঁজ নিয়েও ফল জানতে পারবে।
ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোহেল আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুলে প্রতি আসনে ৬ শিক্ষার্থীর আবেদন, বেসরকারিতে কম
মাউশি থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই এবার সরকারি স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে; ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আসনপ্রতি প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। অপর দিকে ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে যতগুলো আসন ফাঁকা আছে, তার ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
তথ্য বলছে, ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, তারা ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৩৮টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
আর মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তারা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬১৬টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছিল। ১০০ টাকা ফি দিয়ে করা প্রতিটি আবেদনে তারা পাঁচটি স্কুলে আসন পছন্দ দিতে পেরেছিল। শিক্ষার্থীদের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আলাদা আবেদন করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে ও কোচিং-বাণিজ্য ঠেকাতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য সরকার লটারি পদ্ধতি চালু করে। এর পর থেকে প্রতিবছর সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৪ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগেসুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৪ মিনিট আগে
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৩৮ মিনিট আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৪ মিনিট আগে
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৩৮ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
১০ ঘণ্টা আগে