Ajker Patrika

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

লুৎফর রহমান সজীব
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জুলাই। কৃষি  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান সজীব

প্রশ্নব্যাংক সমাধান
কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতি পরীক্ষার মানবণ্টন বুঝতে হলে  প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অন্তত বিগত পাঁচ বছরের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে নিজেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এ ছাড়া পরীক্ষায় শতকরা ৪০ শতাংশ বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে পুনরাবৃত্তি হয়। 

বিষয় ভিত্তিক পরামর্শ
জীববিজ্ঞান: পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরিমাণ খুব কম। তাই জীববিজ্ঞান বিষয়টি দিয়েই সময় বাঁচানোর পাশাপাশি বেশি নম্বর পেতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ভুল কম হয়। উত্তর ভুল হলে নম্বর কাটা যাবে। পাঠ্যবই হিসেবে ড. মোহাম্মদ আবুল হাসানের লেখা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র এবং গাজী এস. এম. আজমলের লেখা জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বই অনুসরণ করতে পারেন।

রসায়ন: রসায়ন বিষয়ে বিগত বছরগুলোতে পাঠ্য বইয়ের অনুশীলনী থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। তাই অনুশীলনীর প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ুন এবং এর মধ্য দিয়ে পাঠ্য বইয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। পাঠ্যবই হিসেবে ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী ও অধ্যাপক হারাধন নাগের লেখা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের  রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র বই অনুসরণ সহায়ক হতে পারে।

পদার্থ বিজ্ঞান: পদার্থ বিজ্ঞানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গণিতের ওপর প্রশ্ন আসে। পাশাপাশি তত্ত্ব থেকে প্রশ্ন আসে দুই থেকে তিনটি। এ বিষয়ের একক, মাত্রাগুলো ভালো করে পড়বেন। পাঠ্যবই হিসেবে ড. আমির হোসেন খানের লেখা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র বই পড়তে পারেন।

গণিত: গণিতের ক্ষেত্রে সূত্রগুলো আয়ত্ত করা খুব জরুরি। ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেয় না। তাই গণিতের সব হিসাব ক্যালকুলেটর ব্যবহার বাদে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পাঠ্যবই হিসেবে এস ইউ আহাম্মদের লেখা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের উচ্চতর গণিত প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র বই সহায়ক হতে পারে।

ইংরেজি: ইংরেজিতে সচরাচর ‘vocabulary, synonym, antonym, preposition, article’ বিষয়েই বেশি প্রশ্ন আসে। ইংরেজিতে ভালো করার জন্য মো: জাহাঙ্গীর আলমের লেখা মাস্টার বইটি অনুসরণ করতে পারেন।

কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ
সারসংক্ষেপ তৈরি: পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন। এর মধ্যে তত্ত্বের মূল পয়েন্ট, সূত্র ও গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগ্রাম বা নকশা থাকতে পারে।

পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা: পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে সময়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য দৈনিক একটি রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন কত সময় পড়াশোনা করবেন, কোন বিষয়ে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন–সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক করে নিন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পুনরাবৃত্তি: বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ও প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে জেনে নিন। প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আগে বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। 

সহায়ক বই ও রিসোর্স অনুসরণ: পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি গাইড বই, অনলাইন ভিডিও লেকচারের মতো রিসোর্স অনুসরণ করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত রিসোর্স ব্যবহারে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশগুলো ব্যবহার করতে হবে।

দুর্বলতায় মনোনিবেশ: যেসব বিষয়ে আপনি কিছুটা দুর্বল, সেই বিষয়গুলোতে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে যথা সম্ভব দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন।

সংক্ষিপ্ত বিরতি: পড়াশোনার মাঝে ছোট বিরতি নিন। এর মধ্য দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।

মক টেস্ট: কয়েকটি সম্পূর্ণ মক টেস্ট দিন। এটি সময় ব্যবস্থাপনায় উন্নতিসহ পরীক্ষা পরিস্থিতির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করে তুলবে।

দলগত পড়াশোনা: বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে দলগত ভাবে পড়াশোনা করতে পারেন। এটি আপনার জ্ঞান ভাগসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।

পরীক্ষার নির্দেশনা ও নিয়মাবলি: ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশনা ও নিয়মগুলো ভালোভাবে পড়বেন।

শেষ মুহূর্তের বিশেষ পরামর্শ
»    পরীক্ষার আগে নিজের সিলেবাস ভালোভাবে পর্যালোচনা করুন।
»    পরীক্ষার আগে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করবেন না। এটি শুধু আপনার মানসিক চাপ বাড়াবে।
»    পরীক্ষার দিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকেই গুছিয়ে রাখুন।

পরীক্ষার দিন করণীয়: পরীক্ষার দিন একটু আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। পরীক্ষা শুরুর আগে ঠান্ডা মাথায় প্রশ্নপত্র পড়বেন ও সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে করবেন। সবশেষে সময়ের প্রতি খেয়াল রেখে রাখবেন। 

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাইবার সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে আরাফাত চৌধুরী

নওসাদ আল সাইম
আরাফাত চৌধুরী।
আরাফাত চৌধুরী।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।

সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।

অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।

এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।

আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়

৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’

অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’

শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।

ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।

আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার‌ ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব

জাককানইবি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র

আশরাফুল আলম
জাককানইবি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।

এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।

ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।

এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।

সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’

দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপকূলে আলো ছড়াচ্ছে রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
উপকূলে আলো ছড়াচ্ছে রাজাখালী
উন্মুক্ত পাঠাগার

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।

শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।

বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।

পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।

স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারে বেশ কয়েকজন পাঠক। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারে বেশ কয়েকজন পাঠক। ছবি: সংগৃহীত

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’

একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।

এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।

রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।

রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তাহিরপুর

রাকিবুল ইসলাম
টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তাহিরপুর

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওর তার স্বচ্ছ জলরাশি, ভাসমান গাছপালা এবং দূরের পাহাড়ঘেরা দৃশ্যে এক জীবন্ত ছবির মতো মনে হয়েছে সবার কাছে।

নৌকায় হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি পাড়ি দিয়ে জবিসাসের সদস্যরা ঘুরে দেখেন ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশ, লাকমা বিলসহ বিভিন্ন এলাকা। ভাসমান গাছের সারি, সূর্যের ঝিকিমিকি আলো আর পাখির কলরব তাদের মুগ্ধ করে। হাওরের স্বচ্ছ জলে গোসল ছিল ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। কেউ জলে ভেসে গান গাইছিলেন, কেউবা ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন মুহূর্তগুলো। সহসভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরের জলে নামার পর মনে হচ্ছিল, যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে গেছি।’

এরপর দলটি পৌঁছে যায় তাহিরপুরে, যেখানে মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে তার রূপ। বড়হিলে দাঁড়িয়ে তাঁরা উপভোগ করেন পাহাড় আর জলের মেলবন্ধন। স্থানীয় বাজারে নানা পিঠা ও চায়ের স্বাদে তাঁদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় হয়েওঠে। স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আর সরল জীবনযাত্রা সবাইকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, ‘এই ভ্রমণ আমাদের পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে; প্রকৃতির এত কাছে এসে আমরা জীবনের আসল আনন্দ খুঁজে পেয়েছি।’

রাতে হাওরের ম্লান চাঁদের আলোয় ফিরে আসার পথে সবাই অনুভব করেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যই মনের ক্লান্তি দূর করে, আর জীবনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেয়। টাঙ্গুয়ার হাওর ও তাহিরপুরের এই যাত্রা তাই জবিসাসের সবার মনে থেকে যাবে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত