মুহাম্মদ শাহীন আল মামুন
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
মুহাম্মদ শাহীন আল মামুন
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
৮ ঘণ্টা আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগে