আতাউর রহমান সায়েম

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
আবেদনপত্র লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয়/আধুনিক পদ্ধতি (সব বাম দিক) যেকোনো একটা অনুসরণ করে লেখা উচিত। আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩ কিংবা ১/০২/২০২৩) লেখাই উত্তম। তবে অন্য ক্ষেত্রে বর্ণনায় ইতিহাসের ঐতিহ্য হিসেবে শুধু পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ—এগুলো লেখা যেতে পারে। আর সাল বা সন লেখার পর বাং কিংবা ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। কোনোমতেই ডট চিহ্নের (.) পরিবর্তে অনুস্বর (ং) ব্যঞ্জনবর্ণটি লেখা যাবে না।
আধুনিক বা আমেরিকান পদ্ধতিতে আবেদনপত্রের বরাবর/মাননীয় না লিখে বরং ব্রিটিশ পদ্ধতিতে বা সনাতন পদ্ধতিতে লেখা উত্তম। অবশ্য আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন: সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন: সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন: রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলন আছে। যা হোক, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন: ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো। মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir.) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম। ‘বিনত’ ও ‘বিনীত’—এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে-বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে—বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে। আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’/‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ, ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত—নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ, ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই। যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন: শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন: দশম শ্রেণির ছাত্রদের/শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আব্দুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন: জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানা-সংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক/বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে। আর এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখার ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ, উৎসের দিক দিয়ে পত্র-দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা—এ দুই দেশের ফরমেট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
আবেদনপত্র লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয়/আধুনিক পদ্ধতি (সব বাম দিক) যেকোনো একটা অনুসরণ করে লেখা উচিত। আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩ কিংবা ১/০২/২০২৩) লেখাই উত্তম। তবে অন্য ক্ষেত্রে বর্ণনায় ইতিহাসের ঐতিহ্য হিসেবে শুধু পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ—এগুলো লেখা যেতে পারে। আর সাল বা সন লেখার পর বাং কিংবা ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। কোনোমতেই ডট চিহ্নের (.) পরিবর্তে অনুস্বর (ং) ব্যঞ্জনবর্ণটি লেখা যাবে না।
আধুনিক বা আমেরিকান পদ্ধতিতে আবেদনপত্রের বরাবর/মাননীয় না লিখে বরং ব্রিটিশ পদ্ধতিতে বা সনাতন পদ্ধতিতে লেখা উত্তম। অবশ্য আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন: সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন: সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন: রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলন আছে। যা হোক, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন: ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো। মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir.) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম। ‘বিনত’ ও ‘বিনীত’—এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে-বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে—বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে। আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’/‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ, ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত—নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ, ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই। যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন: শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন: দশম শ্রেণির ছাত্রদের/শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আব্দুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন: জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানা-সংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক/বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে। আর এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখার ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ, উৎসের দিক দিয়ে পত্র-দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা—এ দুই দেশের ফরমেট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
আতাউর রহমান সায়েম

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
আবেদনপত্র লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয়/আধুনিক পদ্ধতি (সব বাম দিক) যেকোনো একটা অনুসরণ করে লেখা উচিত। আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩ কিংবা ১/০২/২০২৩) লেখাই উত্তম। তবে অন্য ক্ষেত্রে বর্ণনায় ইতিহাসের ঐতিহ্য হিসেবে শুধু পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ—এগুলো লেখা যেতে পারে। আর সাল বা সন লেখার পর বাং কিংবা ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। কোনোমতেই ডট চিহ্নের (.) পরিবর্তে অনুস্বর (ং) ব্যঞ্জনবর্ণটি লেখা যাবে না।
আধুনিক বা আমেরিকান পদ্ধতিতে আবেদনপত্রের বরাবর/মাননীয় না লিখে বরং ব্রিটিশ পদ্ধতিতে বা সনাতন পদ্ধতিতে লেখা উত্তম। অবশ্য আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন: সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন: সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন: রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলন আছে। যা হোক, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন: ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো। মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir.) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম। ‘বিনত’ ও ‘বিনীত’—এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে-বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে—বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে। আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’/‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ, ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত—নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ, ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই। যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন: শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন: দশম শ্রেণির ছাত্রদের/শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আব্দুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন: জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানা-সংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক/বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে। আর এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখার ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ, উৎসের দিক দিয়ে পত্র-দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা—এ দুই দেশের ফরমেট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
আবেদনপত্র লিখতে হলে ব্রিটিশ পদ্ধতি (ডান-বাম দিক) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রীয়/আধুনিক পদ্ধতি (সব বাম দিক) যেকোনো একটা অনুসরণ করে লেখা উচিত। আধুনিক নিয়মে শুরুতে তারিখ লেখার সময় ১লা, ২রা, ৪ঠা, ৫ই, ২২শে ইত্যাদি না লিখে শুধু সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩ কিংবা ১/০২/২০২৩) লেখাই উত্তম। তবে অন্য ক্ষেত্রে বর্ণনায় ইতিহাসের ঐতিহ্য হিসেবে শুধু পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ—এগুলো লেখা যেতে পারে। আর সাল বা সন লেখার পর বাং কিংবা ইং লেখা ঠিক নয়। হয় খ্রিষ্টীয় সালকে খ্রিষ্টাব্দ, নতুবা বাংলা সনকে বঙ্গাব্দ লেখা উচিত। কোনোমতেই ডট চিহ্নের (.) পরিবর্তে অনুস্বর (ং) ব্যঞ্জনবর্ণটি লেখা যাবে না।
আধুনিক বা আমেরিকান পদ্ধতিতে আবেদনপত্রের বরাবর/মাননীয় না লিখে বরং ব্রিটিশ পদ্ধতিতে বা সনাতন পদ্ধতিতে লেখা উত্তম। অবশ্য আমাদের দেশে আমেরিকান ও ব্রিটিশ পদ্ধতিতে অর্থাৎ উভয় রীতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বরাবর (যেমন: সচিব) আর রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মাননীয় (যেমন: সংসদ সদস্য), মহামান্য (যেমন: রাষ্ট্রপতি) লেখার ব্যবহার প্রচলন আছে। যা হোক, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের আবেদনপত্র অংশে পরীক্ষার্থীর নাম ও বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থাকলে খাতায় বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা এবং নিজের নাম প্রতীকীভাবে (যেমন: ক, খ ইত্যাদি) লেখা ভালো। মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক না লিখলেও চলবে; তবে লেখা উত্তম। বিষয় লিখে বিসর্গ (ঃ) না লিখে কোলন (:) দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কথাটি লিখে পুরো বাক্যটির নিচে আন্ডারলাইন করা উত্তম। ‘জনাব’ (Mr.) শব্দ ব্যবহার না করে ‘মহোদয়’ (Sir.) শব্দ ব্যবহার করা উত্তম। ‘বিনত’ ও ‘বিনীত’—এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিতর্ক আছে। ‘বিনত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে-বিশেষরূপে নত হওয়া, আর ‘বিনীত’ শব্দের উপসর্গযোগে আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে—বিশেষভাবে আনা হয়েছে। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি ‘ইত’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হলেও ঠিক হবে না। আবার ‘বিনীত’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে; যার অর্থ হচ্ছে সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিমান, অনাড়ম্বর ইত্যাদি। এসব গুণের অধিকারী কোনো ব্যক্তি কি অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে বিশেষিত করতে পারেন? তাই অর্থের বিচারে এবং শব্দ গঠনে আবেদনপত্রে ‘বিনীত’ শব্দের চেয়ে ‘বিনত’ শব্দের প্রয়োগ বেশি যুক্তিসংগত। অবশ্য ‘বিনীত’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বিশেষ করে আবেদনপত্রে যুগের পর যুগ বিভিন্ন বইয়ে প্রচলিত ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন অভিধানেও ‘অনুরোধ’ অর্থে লেখা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ‘বিনীত’ শব্দটিও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, বিনত/বিনীত লেখার পরেই সবিনয় লেখা কোনোমতেই উচিত হবে না। যেকোনো একটা লিখতে হবে। এতে একই অর্থে বাহুল্য দোষ হবে। আর ‘বাধিত’ শব্দটি না লিখে ‘মর্জি’/‘মঞ্জুর’ শব্দটি লেখাই বেশি ভালো হবে। কারণ, ‘বাধিত’ সংস্কৃত শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিড়ম্বিত, বিরক্ত, নির্যাতিত, বাধাপ্রাপ্ত ইত্যাদি। তখন হয়তো কেউ কেউ শব্দের অর্থের বিভ্রাট মনে করতে পারেন। তবে ‘বাধিত’ শব্দটিও আমাদের দেশে আবেদনপত্রে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ শব্দটিকেও শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনেক পরীক্ষার্থী বিনীত নিবেদক লিখে নিচে আপনার একান্ত অনুগত বাধ্যগত ছাত্র লিখে থাকে। কিন্তু এভাবে লেখা উচিত—নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী। ‘একান্ত’ খুব Personal কিছু বোঝায়, আর ‘বাধ্যগত’ শব্দটি ভুল। ইংরেজি obedient-এর বাংলা ‘বাধ্য’ কিংবা ‘অনুগত’ (অনুগমন থেকে অনুগত)। তাই বলে অনুগত শব্দের আদলে বাধ্যগত লেখা যায় না। কারণ, ‘বাধ্যগমন’ বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই। যৌথভাবে আবেদনপত্র (যেমন: শিক্ষা সফর কিংবা বনভোজন) হলে পক্ষে (যেমন: দশম শ্রেণির ছাত্রদের/শিক্ষার্থীদের পক্ষে, আব্দুর রহমান) লিখবে। নিবেদকের নিচে আপনার অনুগত ছাত্র/শিক্ষার্থী লেখার পর নিচে অনুস্বাক্ষর দিয়ে নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল লেখা উচিত হবে। অবশ্য ছোট ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নমুনা স্বাক্ষর না দিলেও চলবে।
উল্লেখ্য, নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় (যেমন: জেলা প্রশাসক) আবেদনপত্রে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য পোস্টাল কোডসহ ঠিকানা-সংবলিত (বামে প্রেরক, ডান দিকে প্রাপক/বরাবর, তার একটু ওপরে ও একটু ডানে ডাকটিকিট) খাম দিতে হবে। আর এক পৃষ্ঠায় আবেদনপত্র লেখা উচিত। তবে ছোট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের হাতের লেখা তুলনামূলকভাবে বড় করে লেখার অভ্যাস, তাদের প্রচলিত নিয়মে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লেখার কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য ব্যক্তিগত পত্র লেখার ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠার বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। মোদ্দাকথা, যেকোনো একটা পদ্ধতিতে পত্র-দরখাস্ত লেখা উচিত, মিশ্রণ করে লেখা উচিত নয়। কারণ, উৎসের দিক দিয়ে পত্র-দরখাস্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকা—এ দুই দেশের ফরমেট আমাদের দেশে অনুসরণ করা হয়।
আতাউর রহমান সায়েম
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান।
প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে যেমন পড়াশোনা করতে হবে, তেমনি ভালো মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সব ক্ষেত্রে সেরা হতে হবে যেন পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের জন্য অবদান রাখতে পারো। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউর যথাযথ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, আধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, মানসম্মত শিক্ষক, তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নত পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার জন্য আইএসইউ বদ্ধপরিকর।
ইঞ্জিনিয়ার তাসমিয়া রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের আইএসইউ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জীবনকে এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নতুন এ যাত্রায় নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনি নতুন সৃষ্টিশীলতায় ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী হতে হবে। নিজেকে গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমাদের কাজ, অভিজ্ঞতা ও জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই একসময় তোমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। শোয়েব আহমেদ ও মাইশা আফিয়া জেরিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর; চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার জন্য স্কুলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। তাই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোও একই চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় প্রথমে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপঞ্জির ওই অংশে সংশোধন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় জানাজা শেষে মাদারীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।’
সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এগুলো হলো—বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড।
সূত্র বলছে, বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডের অধীনে সচল দুটি গাড়ি রয়েছে। এর একটি টয়োটা নোহা ও অন্যটি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার। এরপরও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৫ লাখ টাকা করে বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
২০০২ সাল থেকে পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে মাসে ১ টাকা হারে বছরে ২৪ টাকা করে ভাড়া পরিশোধ করে আসছে দুই দপ্তর (কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড)। এখন হঠাৎ করে নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর সুবিধা বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তেমন মনোযোগী ছিলেন না অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এই কারণে একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট অনেক বেশি শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তি করলেও পারেনি অবসর সুবিধা বোর্ড।
এ ছাড়া অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
২৮ অক্টোবর এ প্রতিবেদকের সামনেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। বলেন, ‘আমার কাছে এসে লাভ নাই, আপনারা উপদেষ্টা, সচিবের কাছে যান। কারণ, সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সভা ডাকছেন না, এতে আমার কী করার আছে?’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গেলে সদস্যসচিব অধ্যাপক জাফর আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাড়ির প্রয়োজন বলেই বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবসর সুবিধা বোর্ডের মূল সফটওয়্যার অকেজো ছিল। এ জন্য সময়মতো আবেদন করতে পারেননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। বর্তমানে অবসরের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার এবং কল্যাণ সুবিধার জন্য প্রায় ৪০ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন জমা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক জাফর আহম্মদ বলেন, মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। তবে আবেদন করার জন্য আপাতত একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। আর মূলত তহবিলসংকটের কারণে সময়মতো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলসংকট ছাড়াও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণেই শিক্ষকেরা সময়মতো প্রাপ্য পাওনা পাচ্ছেন না। কারণ, একই সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৮০২টি আবেদন নিষ্পত্তি করলেও অবসর সুবিধা বোর্ড করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৪৮টি।
এদিকে আবারও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (এমপিওভুক্ত) সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন অধ্যাপক জাফর আহম্মদ। এর আগেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তা ভেস্তে যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন যে এই সময়ে আবারও এমন বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা রহস্যজনক। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক জানান, বছরের পর বছর ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ময়মনসিংহের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সময়ও নিজের টাকাটা তুলতে পারিনি। অথচ শুনি, তারা নতুন গাড়ি কেনা আর নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার পাঁয়তারা করছে?’
আরও খবর পড়ুন:

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জন্য বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের আবেদনপত্র লেখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হলো ফল-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
৬ ঘণ্টা আগে