১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে দেশসেরা হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী হালিমাতুস সাদিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। বাবা মো. রহমান কবির ও মা নাসিমা আক্তার দুজনই পেশায় শিক্ষক। সাদিয়া শিক্ষক পরিবারে বেড়ে উঠলেও ছোটবেলা থেকে তাঁর স্বপ্ন বিচারক হওয়ার। নিজের পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে তিনি সেটা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। সাদিয়া নিজের সাফল্য নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত
প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আপনার শিক্ষাজীবনের গল্প শুনতে চাই।
স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আমার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত আমি এ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছিলাম। এরপর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আমি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি। এলএলবি ও এলএলএম দুটিতে আমার ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ফল ছিল।
সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন?
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তির মাধ্যমে আমার এ যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। আরেকটু পেছন থেকে যদি বলি, এটা আমার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি ত্যাগী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। সেজন্যই হয়তো আজকে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষার ধাপগুলো কী কী?
প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এরপর একাধারে ১০ দিনে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। অর্থাৎ আমাদের ১০ দিনে ৩০ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। লিখিত ও মৌখিক—এ দুটির সমন্বিত ফলই চূড়ান্ত ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ধাপগুলো কীভাবে সহজে উতরানো যায়?
এক্ষেত্রে আমি বলব, ত্যাগ থাকতে হবে। লেখাপড়ায় নিয়মিত হতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। হুট করে বা অনার্স শেষ করার পর বিজেএসের জন্য প্রস্তুতি আসলে হয় না। বরং একাডেমিক জীবনের প্রথম থেকে প্রস্তুতি শুরু করলে কাজটা সহজ ও গোছানো হয়।
আপনার সাফল্যের পেছনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে?
আমার আল্টিমেট যে গোল ছিল, সেটা একেবারে নির্ধারিত। ফলে আমি এ গোল বাস্তবায়নে ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সর্বশেষটা দেখা পর্যন্ত আমি হাল ছাড়িনি। সম্ভবত আমার এ প্রচেষ্টাই অনেক বেশি কাজে দিয়েছে।
আপনার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক। আপনার বিচারক হওয়ার স্বপ্নের যাত্রাটা শুরু হয় কীভাবে?
বাবা-মা দুজনের হাত ধরেই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নটা শুরু হয়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বাবাই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি ছোটবেলা থেকে অন্যদের মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। বিচারক হওয়ার স্বপ্নে বাবা আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আর কোন কোন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে আমি আর কোনো কিছুতে সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিতর্ক করেছিলাম। তখন আমি সেরা বিতার্কিক ছিলাম। এ ছাড়া আর কোনো কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজে যুক্ত ছিলাম না।
যাঁরা আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন?
আপনাকে ত্যাগী হতে হবে। যে স্বপ্ন দেখছেন, সে স্বপ্ন নিয়ে এ ফিল্ডে নেমে পড়ুন। বিচারক হওয়ার যে স্বপ্ন আপনার রয়েছে, সেটাকে জীবিত রেখে এগিয়ে যান। আইন নিয়ে পড়ালেখা করে যদি বিচারক হতে নাও পারেন, তবুও আপনার জন্য একটি সম্মানজনক প্রফেশন অবশ্যই অপেক্ষা করবে।
আইন নিয়ে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভালো, নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়?
পড়ালেখায় আমার কাছে পাবলিক-প্রাইভেট মেটার করে না। আপনি যদি পড়ালেখায় ভালো করেন; প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু ভালো শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষক কখনো তাঁর শিক্ষার্থীদের খারাপ পাঠদান করাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন না কেন, শিক্ষকদের ক্লাসগুলো ভালোভাবে নোট করুন। আর আপনি নিজে নিজের পড়ালেখাটা ঠিকঠাক করুন।
কোন কোন বিষয়ে বেশি ফোকাস করলে নতুন যাঁরা বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের পথটা সহজ হবে?
বিজেএসের জন্য নির্দিষ্ট একটা সিলেবাস দেওয়া আছে। সিলেবাসে যে সাবজেক্টগুলো রয়েছে, বিশেষ করে আইনের মূল বইগুলো শেষ করতে পারলে কোনো ধাপেই আটকানোর কথা না। সেজন্য আমি বলব, সিলেবাসটা শেষ করুন এবং রিভিশন দিতে থাকুন।
বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কোন বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
আমার ক্ষেত্রে যেহেতু টার্গেটটা একাডেমিক লাইফের শুরু থেকে ছিল, তবুও পুরোপুরি প্রস্তুতি আমি তৃতীয় বর্ষের শেষের দিক থেকে শুরু করেছি। তারপরও প্রথম থেকেই প্রস্তুতিটা শুরু করলে ভালো হয়।
আপনি তো সারা দেশে প্রথম হলেন। একেবারে প্রথম হয়ে যাবেন, পরীক্ষা শেষ করার পর এটা কি ভেবেছিলেন?
পরীক্ষা আমার ভালো হয়েছিল, নিশ্চিত ছিলাম ভালো কিছু হবে। তবে একেবারে যে দেশসেরা হয়ে যাব, এটা ভাবিনি। দেশসেরা হওয়ার এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার নিজের ফল নিজে দেখেছি। ফল দেখতে গিয়ে দেখি, প্রথমেই আমার রোল। ফল পেয়েই প্রথমে বাবাকে জানিয়েছি।
বিজেএস পরীক্ষায় একাডেমিক রেজাল্টের গুরুত্ব কতটুকু?
একাডেমিক ফলের গুরুত্ব বিজেএসে নেই বললেই চলে। তবে একাডেমিক ফল যদি ভালো থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় অনেকের ফল খারাপ হয়ে থাকে। এটার প্রভাব বিজেএসের মূল পরীক্ষায় পড়ে না। বিজেএসের যে ধাপগুলো আছে, সেগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী পার করতে পারলেই সফলতা আসবে।
নিয়োগ পরীক্ষার ফলে আপনি প্রথম হয়েছেন। দেশের প্রতি আপনার অনেক বেশি দায়িত্ব। নিয়োগ পাওয়ার পর দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই। কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি?
দেশ নিয়ে ভাবনার কথা বলতে গেলে, আমি সব সময় সৎ থাকতে চাই; সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে চাই। এখনই আমার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের এখনো যোগদান শেষ হয়নি।
সহকারী জজ হিসেবে তো এখন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। নিজেকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান?
আমি মনে করি, আমি এখনো শিক্ষার্থী। কর্মজীবন সবে শুরু হচ্ছে। তবে এটা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দায়িত্বগ্রহণের পর সুস্থ থাকা পর্যন্ত কোনো অন্যায় জাজমেন্ট আমার হাত দিয়ে হতে দেব না।
প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আপনার শিক্ষাজীবনের গল্প শুনতে চাই।
স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আমার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত আমি এ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছিলাম। এরপর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আমি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি। এলএলবি ও এলএলএম দুটিতে আমার ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ফল ছিল।
সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন?
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তির মাধ্যমে আমার এ যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। আরেকটু পেছন থেকে যদি বলি, এটা আমার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি ত্যাগী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। সেজন্যই হয়তো আজকে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষার ধাপগুলো কী কী?
প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এরপর একাধারে ১০ দিনে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। অর্থাৎ আমাদের ১০ দিনে ৩০ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। লিখিত ও মৌখিক—এ দুটির সমন্বিত ফলই চূড়ান্ত ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ধাপগুলো কীভাবে সহজে উতরানো যায়?
এক্ষেত্রে আমি বলব, ত্যাগ থাকতে হবে। লেখাপড়ায় নিয়মিত হতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। হুট করে বা অনার্স শেষ করার পর বিজেএসের জন্য প্রস্তুতি আসলে হয় না। বরং একাডেমিক জীবনের প্রথম থেকে প্রস্তুতি শুরু করলে কাজটা সহজ ও গোছানো হয়।
আপনার সাফল্যের পেছনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে?
আমার আল্টিমেট যে গোল ছিল, সেটা একেবারে নির্ধারিত। ফলে আমি এ গোল বাস্তবায়নে ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমি পড়ালেখায় নিয়মিত ছিলাম। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সর্বশেষটা দেখা পর্যন্ত আমি হাল ছাড়িনি। সম্ভবত আমার এ প্রচেষ্টাই অনেক বেশি কাজে দিয়েছে।
আপনার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক। আপনার বিচারক হওয়ার স্বপ্নের যাত্রাটা শুরু হয় কীভাবে?
বাবা-মা দুজনের হাত ধরেই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নটা শুরু হয়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বাবাই আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি ছোটবেলা থেকে অন্যদের মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। বিচারক হওয়ার স্বপ্নে বাবা আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আর কোন কোন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে আমি আর কোনো কিছুতে সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিতর্ক করেছিলাম। তখন আমি সেরা বিতার্কিক ছিলাম। এ ছাড়া আর কোনো কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজে যুক্ত ছিলাম না।
যাঁরা আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন?
আপনাকে ত্যাগী হতে হবে। যে স্বপ্ন দেখছেন, সে স্বপ্ন নিয়ে এ ফিল্ডে নেমে পড়ুন। বিচারক হওয়ার যে স্বপ্ন আপনার রয়েছে, সেটাকে জীবিত রেখে এগিয়ে যান। আইন নিয়ে পড়ালেখা করে যদি বিচারক হতে নাও পারেন, তবুও আপনার জন্য একটি সম্মানজনক প্রফেশন অবশ্যই অপেক্ষা করবে।
আইন নিয়ে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভালো, নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়?
পড়ালেখায় আমার কাছে পাবলিক-প্রাইভেট মেটার করে না। আপনি যদি পড়ালেখায় ভালো করেন; প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু ভালো শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষক কখনো তাঁর শিক্ষার্থীদের খারাপ পাঠদান করাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন না কেন, শিক্ষকদের ক্লাসগুলো ভালোভাবে নোট করুন। আর আপনি নিজে নিজের পড়ালেখাটা ঠিকঠাক করুন।
কোন কোন বিষয়ে বেশি ফোকাস করলে নতুন যাঁরা বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের পথটা সহজ হবে?
বিজেএসের জন্য নির্দিষ্ট একটা সিলেবাস দেওয়া আছে। সিলেবাসে যে সাবজেক্টগুলো রয়েছে, বিশেষ করে আইনের মূল বইগুলো শেষ করতে পারলে কোনো ধাপেই আটকানোর কথা না। সেজন্য আমি বলব, সিলেবাসটা শেষ করুন এবং রিভিশন দিতে থাকুন।
বিজেএস পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কোন বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
আমার ক্ষেত্রে যেহেতু টার্গেটটা একাডেমিক লাইফের শুরু থেকে ছিল, তবুও পুরোপুরি প্রস্তুতি আমি তৃতীয় বর্ষের শেষের দিক থেকে শুরু করেছি। তারপরও প্রথম থেকেই প্রস্তুতিটা শুরু করলে ভালো হয়।
আপনি তো সারা দেশে প্রথম হলেন। একেবারে প্রথম হয়ে যাবেন, পরীক্ষা শেষ করার পর এটা কি ভেবেছিলেন?
পরীক্ষা আমার ভালো হয়েছিল, নিশ্চিত ছিলাম ভালো কিছু হবে। তবে একেবারে যে দেশসেরা হয়ে যাব, এটা ভাবিনি। দেশসেরা হওয়ার এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার নিজের ফল নিজে দেখেছি। ফল দেখতে গিয়ে দেখি, প্রথমেই আমার রোল। ফল পেয়েই প্রথমে বাবাকে জানিয়েছি।
বিজেএস পরীক্ষায় একাডেমিক রেজাল্টের গুরুত্ব কতটুকু?
একাডেমিক ফলের গুরুত্ব বিজেএসে নেই বললেই চলে। তবে একাডেমিক ফল যদি ভালো থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় অনেকের ফল খারাপ হয়ে থাকে। এটার প্রভাব বিজেএসের মূল পরীক্ষায় পড়ে না। বিজেএসের যে ধাপগুলো আছে, সেগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী পার করতে পারলেই সফলতা আসবে।
নিয়োগ পরীক্ষার ফলে আপনি প্রথম হয়েছেন। দেশের প্রতি আপনার অনেক বেশি দায়িত্ব। নিয়োগ পাওয়ার পর দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই। কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি?
দেশ নিয়ে ভাবনার কথা বলতে গেলে, আমি সব সময় সৎ থাকতে চাই; সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে চাই। এখনই আমার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের এখনো যোগদান শেষ হয়নি।
সহকারী জজ হিসেবে তো এখন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। নিজেকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান?
আমি মনে করি, আমি এখনো শিক্ষার্থী। কর্মজীবন সবে শুরু হচ্ছে। তবে এটা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দায়িত্বগ্রহণের পর সুস্থ থাকা পর্যন্ত কোনো অন্যায় জাজমেন্ট আমার হাত দিয়ে হতে দেব না।
তাইওয়ানে (কেএমইউ) বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির অর্জনের সুযোগ পাবেন। তাইওয়ানের এ বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অভিব্যক্তি আগাম বলে দেয়—বক্তা কোথায় থেকে শুরু করছেন, কখন কোন দিকে মোড় নিয়ে কোথায় গিয়ে পৌঁছবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্ণনার গতিমুখ প্রদর্শন করে বিধায় এটিকে ‘সাইন পোস্ট’ বলা হয়। তা ছাড়া এটি প্রকাশ করে বক্তার মনোভাব আর ভাবধারাগুলোর সাবলীল স্থানান্তর, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক, ক্রমবিন্যাস তথা ছেদহীন...
৪ ঘণ্টা আগেগবেষণা হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং নতুন জ্ঞান উন্মোচনের একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি। নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা ও কৌশল অনুসরণ করলে সফলভাবে গবেষণা শুরু করা সম্ভব। গবেষণা শুরু করতে হলে দরকার দৃঢ় সংকল্প, সঠিক বিষয় নির্বাচন, প্রাসঙ্গিক সরঞ্জাম ও কৌশলের ব্যবহার...
৪ ঘণ্টা আগেস্কুলশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ‘রেক্সল দ্বারা সুরক্ষিত’ নামের হাত ধোয়া কর্মসূচির আয়োজন করল রেডিয়েন্ট কেয়ার লিমিটেড (আরসিএল)। রেডিয়েন্ট কেয়ার লিমিটেডের সাবানের ব্র্যান্ড Raxoll-এর তত্ত্বাবধানে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তাবিষয়ক কর্মশালার অংশ হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের ‘জাহেদী ফাউন্ডেশনের’...
১৪ ঘণ্টা আগে