সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠন করা। এর মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার শুরু হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম.এ ফজল চৌধুরী বলেন, সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিচারক মো. আব্দুর রহিমের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এরপর আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশনের (খারিজ আবেদন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক এ সময় পিটিশন নামঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ছয়জন আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন (খারিজ আবেদন) দেওয়া হয় আদালতে। সেটি নামঞ্জুর হয়। এরপর আগামী ১০ মে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা বেগমসহ আরও দু-একজন সাক্ষ্য দেবেন।
এদিকে ছেলে খুন হওয়ার দীর্ঘ দেড় বছরে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রায়হানের মা সালমা আক্তার। তবে একটু দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রায়হানের মা।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় অভিযোগ গঠনের তারিখ। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল ও তা শুনানি না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে আসে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা ফাঁড়িতে নির্যাতন চালিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতাও মিলে। এরপর এসআই আকবরসহ ফাঁড়িতে কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। গত বছরের ৫ মে এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)। এতে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন। চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠন করা। এর মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার শুরু হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম.এ ফজল চৌধুরী বলেন, সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিচারক মো. আব্দুর রহিমের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এরপর আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশনের (খারিজ আবেদন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক এ সময় পিটিশন নামঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ছয়জন আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন (খারিজ আবেদন) দেওয়া হয় আদালতে। সেটি নামঞ্জুর হয়। এরপর আগামী ১০ মে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা বেগমসহ আরও দু-একজন সাক্ষ্য দেবেন।
এদিকে ছেলে খুন হওয়ার দীর্ঘ দেড় বছরে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রায়হানের মা সালমা আক্তার। তবে একটু দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রায়হানের মা।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় অভিযোগ গঠনের তারিখ। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল ও তা শুনানি না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে আসে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা ফাঁড়িতে নির্যাতন চালিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতাও মিলে। এরপর এসআই আকবরসহ ফাঁড়িতে কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। গত বছরের ৫ মে এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)। এতে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন। চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫