সিলেট প্রতিনিধি
জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল) সিলেট শাখায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ঝাড়ুতে বেঁধে লাল-সবুজের দেশের জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘এত বড় দুঃসাহস! তাও সিলেটের মাটিতে। জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি “হাবিব ব্যাংক লিমিটেড” আমাদের অস্তিত্বের স্মারক, ৩০ লাখ শহিদের রক্ত আর দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকা ঝাড়ুতে বেঁধে প্রদর্শন করে! সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় হাবিব ব্যাংকের সামনে থেকে এই ছবিটি তোলা। মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে ফেনা তুলে লাভ নেই। এদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে কেবলমাত্র “সরি”তে যেন শাস্তি মওকুফ না হয়ে যায়।’
সোমবার দুপুরে নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় হাবিব ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের সামনে ঝাঁড়ুর মধ্যে একটি জাতীয় পতাকা বেঁধে রাখা হয়েছে। ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পতাকাটি উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রহরী কমলেশ দে জানান, ব্যাংকের অপর নিরাপত্তা কর্মী আফজল মিয়া এই পতাকাটি বেঁধে রেখেছেন।
মোবাইলের মাধ্যমে জানতে চাইলে আফজল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা অনিচ্ছাকৃত হয়েছে। বাঁশ না পেয়ে না বুঝে ঝাড়ুর মধ্যে পতাকাটি টানিয়েছি।’
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পতাকা টাঙানোর জন্য বাঁশ দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আফজাল বলেন, ‘না। এ ব্যাপার আমার বলার কিছু নেই। আমাকে মাফ করে দেন। আমি গরিব মানুষ, কিছু বললে চাকরি চলে যাবে।’ পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে কমলেশ দে পতাকাটি ঝাড়ু থেকে খুলে নেন।
এ বিষয়ে হাবিব ব্যাংক সিলেট শাখার ব্যবস্থাপক মঈনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি একেকবার একেক কথা বলেন। মঈনুল ইসলাম প্রথমে বলেন—তিনি কিছুক্ষণ আগে জেনেছেন। পরে বলেন—‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এ ব্যাপারে আমি জানি না।’ শুধু তাই নয়, ‘পতাকা টাঙানোর জন্য বাঁশের ব্যবস্থা মালিকপক্ষ করবে না?’ বলে প্রশ্নও রাখেন। আবার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের হেড অফিস অবগত। সেখান থেকে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।’
তবে ওই ব্রাঞ্চের ক্যাশ ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা মারাত্মক ভুল হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা না বুঝে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে। এ জন্য তিনি নিজেও দুঃখিত। নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি। যারা এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকেও ডাকব।’
যদিও জাতীয় শোক দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের কথা। এ নিয়ে আগস্ট মাসের শুরু থেকে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়েছে। শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমেও বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রচারিত হয়। কিন্তু জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল) সিলেট শাখার এমন ধৃষ্টতায় মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল) সিলেট শাখায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ঝাড়ুতে বেঁধে লাল-সবুজের দেশের জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘এত বড় দুঃসাহস! তাও সিলেটের মাটিতে। জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি “হাবিব ব্যাংক লিমিটেড” আমাদের অস্তিত্বের স্মারক, ৩০ লাখ শহিদের রক্ত আর দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকা ঝাড়ুতে বেঁধে প্রদর্শন করে! সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় হাবিব ব্যাংকের সামনে থেকে এই ছবিটি তোলা। মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে ফেনা তুলে লাভ নেই। এদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে কেবলমাত্র “সরি”তে যেন শাস্তি মওকুফ না হয়ে যায়।’
সোমবার দুপুরে নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় হাবিব ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের সামনে ঝাঁড়ুর মধ্যে একটি জাতীয় পতাকা বেঁধে রাখা হয়েছে। ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পতাকাটি উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রহরী কমলেশ দে জানান, ব্যাংকের অপর নিরাপত্তা কর্মী আফজল মিয়া এই পতাকাটি বেঁধে রেখেছেন।
মোবাইলের মাধ্যমে জানতে চাইলে আফজল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা অনিচ্ছাকৃত হয়েছে। বাঁশ না পেয়ে না বুঝে ঝাড়ুর মধ্যে পতাকাটি টানিয়েছি।’
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পতাকা টাঙানোর জন্য বাঁশ দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আফজাল বলেন, ‘না। এ ব্যাপার আমার বলার কিছু নেই। আমাকে মাফ করে দেন। আমি গরিব মানুষ, কিছু বললে চাকরি চলে যাবে।’ পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে কমলেশ দে পতাকাটি ঝাড়ু থেকে খুলে নেন।
এ বিষয়ে হাবিব ব্যাংক সিলেট শাখার ব্যবস্থাপক মঈনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি একেকবার একেক কথা বলেন। মঈনুল ইসলাম প্রথমে বলেন—তিনি কিছুক্ষণ আগে জেনেছেন। পরে বলেন—‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এ ব্যাপারে আমি জানি না।’ শুধু তাই নয়, ‘পতাকা টাঙানোর জন্য বাঁশের ব্যবস্থা মালিকপক্ষ করবে না?’ বলে প্রশ্নও রাখেন। আবার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের হেড অফিস অবগত। সেখান থেকে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।’
তবে ওই ব্রাঞ্চের ক্যাশ ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা মারাত্মক ভুল হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা না বুঝে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে। এ জন্য তিনি নিজেও দুঃখিত। নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি। যারা এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকেও ডাকব।’
যদিও জাতীয় শোক দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের কথা। এ নিয়ে আগস্ট মাসের শুরু থেকে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়েছে। শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমেও বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রচারিত হয়। কিন্তু জাতীয় শোক দিবসে পাকিস্তানি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল) সিলেট শাখার এমন ধৃষ্টতায় মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে