দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে ‘নেশার টাকা জোগান না দেওয়ায়’ স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বেলাল হোসেনের (৩১) বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরের উপশহর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম আরিফা বেগম (২৮)। এ ঘটনার পর থেকে আরিফার স্বামী বেলাল পলাতক।
বেলাল দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার মুরালীপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলাল হাউজিং অফিসসংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তাঁদের ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আরিফা বেগম অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। আর বেলাল হোসেন হোটেলশ্রমিক ছিলেন। তবে নিয়মিত কাজ করতেন না তিনি।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন জানায়, রাতে সাহ্রি খাওয়ার পরে মায়ের সঙ্গে এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে আরিফ। তার বাবা ঘুমিয়েছিল পাশের কক্ষে। আরিফ সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের একটি মাদ্রাসায় কোরআন পড়তে যায়। মাদ্রাসা থেকে ফিরে বাড়িতে ঢোকার সময় বাবাকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘তোর মা ঘুমাচ্ছে।’ বলে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
আরিফ হোসেন আরও জানায়, সে কক্ষে গিয়ে মাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে মুখের কাপড় সরিয়ে দেখে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। জিহ্বা অনেকখানি বের হয়ে আছে। আরিফ ভয় পেয়ে বাড়ির কাছে একটি হোটেলে কর্মরত নানি রোজিনা বেওয়াকে খবর দেয়।
আরিফ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাবা প্রায় মাকে টাকার জন্য মারধর করত। রাতেও অনেক দেরি করে বাড়িতে ফিরত।’
নিহত আরিফা বেগমের মা রোজিনা বেওয়া বলেন, ‘আমার জামাতা বেলাল একজন মাদকসেবী। সে প্রায় টাকার জন্য আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন করত। সংসারের খরচও ঠিকমতো দিত না। মেয়েটা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাত। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ (পরিদর্শক) জাহিদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরে ‘নেশার টাকা জোগান না দেওয়ায়’ স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বেলাল হোসেনের (৩১) বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরের উপশহর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম আরিফা বেগম (২৮)। এ ঘটনার পর থেকে আরিফার স্বামী বেলাল পলাতক।
বেলাল দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার মুরালীপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলাল হাউজিং অফিসসংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তাঁদের ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আরিফা বেগম অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। আর বেলাল হোসেন হোটেলশ্রমিক ছিলেন। তবে নিয়মিত কাজ করতেন না তিনি।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন জানায়, রাতে সাহ্রি খাওয়ার পরে মায়ের সঙ্গে এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে আরিফ। তার বাবা ঘুমিয়েছিল পাশের কক্ষে। আরিফ সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের একটি মাদ্রাসায় কোরআন পড়তে যায়। মাদ্রাসা থেকে ফিরে বাড়িতে ঢোকার সময় বাবাকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘তোর মা ঘুমাচ্ছে।’ বলে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
আরিফ হোসেন আরও জানায়, সে কক্ষে গিয়ে মাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে মুখের কাপড় সরিয়ে দেখে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। জিহ্বা অনেকখানি বের হয়ে আছে। আরিফ ভয় পেয়ে বাড়ির কাছে একটি হোটেলে কর্মরত নানি রোজিনা বেওয়াকে খবর দেয়।
আরিফ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাবা প্রায় মাকে টাকার জন্য মারধর করত। রাতেও অনেক দেরি করে বাড়িতে ফিরত।’
নিহত আরিফা বেগমের মা রোজিনা বেওয়া বলেন, ‘আমার জামাতা বেলাল একজন মাদকসেবী। সে প্রায় টাকার জন্য আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন করত। সংসারের খরচও ঠিকমতো দিত না। মেয়েটা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাত। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ (পরিদর্শক) জাহিদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৪ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২১ দিন আগে