কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী তরফদারকে থাপ্পড় ও লাথি মেরে জখম করেছেন আরেক নেত্রী খাদিজা সুলতানা কেয়া। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ভবনে এই ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুবসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত ফাল্গুনী তরফদার বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁকে লাথি বা থাপ্পড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া। উভয়ের মধ্যে শুধু বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী জেসমিন আরা লাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরকে স্বাগত জানানো এবং দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানাতে সোমবার মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করার কথা ছিল। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করতে আমি, ফাল্গুনী আপা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক তহমিনাসহ কয়েকজন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় গিয়েছিলাম। সেখানে পরে কেয়া যান। মিছিল আয়োজন নিয়ে তিনি ফাল্গুনী আপার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তিনি ফাল্গুনী আপার কোমর ও পেটে লাথি মারেন। জাফর ভাই এগিয়ে গিয়ে কেয়াকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁকে উপেক্ষা করে ফাল্গুনীকে মারধর করেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা আওয়ামী লীগের এই সদস্য আরও বলেন, ‘কেয়ার হামলায় ফাল্গুনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলামকে দেখানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ এ ঘটনার পর রাতে সোমবারের মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাল্গুনী তরফদার বলেন, ‘কেয়া মিছিল আয়োজন নিয়ে জাফর ভাইয়ের কাছে টাকা চায়। ভাই তাঁকে আমার কথা বলে একসঙ্গে কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন। কিন্তু সে অপারগতা প্রকাশ করে আমাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে সে আমার কোমর ও পেটে লাথি দেয়।’
অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। আমি তাকে লাথি মারিনি। তার গায়ে হাতও দিইনি। বরং সে জাফর চাচার সামনে আমাদের সাবেক সভাপতি নাজনীন আপার নাম ধরে তাঁকে ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। আমাকে লাথি দেখায়। আমি প্রতিবাদ করেছি মাত্র। তাকে আঘাত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওখানে উপস্থিত সবাই তার পক্ষের ছিল বলে আমার বিরুদ্ধে এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এ ঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ফাল্গুনী তরফদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি নেই। ফাল্গুনী তরফদার সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আর খাদিজা সুলতানা কেয়া সেই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী তরফদারকে থাপ্পড় ও লাথি মেরে জখম করেছেন আরেক নেত্রী খাদিজা সুলতানা কেয়া। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ভবনে এই ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুবসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত ফাল্গুনী তরফদার বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁকে লাথি বা থাপ্পড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া। উভয়ের মধ্যে শুধু বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী জেসমিন আরা লাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরকে স্বাগত জানানো এবং দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানাতে সোমবার মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করার কথা ছিল। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করতে আমি, ফাল্গুনী আপা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক তহমিনাসহ কয়েকজন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় গিয়েছিলাম। সেখানে পরে কেয়া যান। মিছিল আয়োজন নিয়ে তিনি ফাল্গুনী আপার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তিনি ফাল্গুনী আপার কোমর ও পেটে লাথি মারেন। জাফর ভাই এগিয়ে গিয়ে কেয়াকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁকে উপেক্ষা করে ফাল্গুনীকে মারধর করেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা আওয়ামী লীগের এই সদস্য আরও বলেন, ‘কেয়ার হামলায় ফাল্গুনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলামকে দেখানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ এ ঘটনার পর রাতে সোমবারের মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাল্গুনী তরফদার বলেন, ‘কেয়া মিছিল আয়োজন নিয়ে জাফর ভাইয়ের কাছে টাকা চায়। ভাই তাঁকে আমার কথা বলে একসঙ্গে কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন। কিন্তু সে অপারগতা প্রকাশ করে আমাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে সে আমার কোমর ও পেটে লাথি দেয়।’
অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। আমি তাকে লাথি মারিনি। তার গায়ে হাতও দিইনি। বরং সে জাফর চাচার সামনে আমাদের সাবেক সভাপতি নাজনীন আপার নাম ধরে তাঁকে ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। আমাকে লাথি দেখায়। আমি প্রতিবাদ করেছি মাত্র। তাকে আঘাত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওখানে উপস্থিত সবাই তার পক্ষের ছিল বলে আমার বিরুদ্ধে এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এ ঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ফাল্গুনী তরফদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি নেই। ফাল্গুনী তরফদার সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আর খাদিজা সুলতানা কেয়া সেই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ ঘণ্টা আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১১ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৯ দিন আগে