Ajker Patrika

দিনাজপুরে পাওনাদারের মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

দিনাজপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

দোকান ভাড়ার জামানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেছেন পাওনাদার। এতে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়ায়। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মুন সরকার (৪৮) ওই এলাকারই মৃত রামেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে।

ব্যবসায়ীর পরিবার ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুন সরকার মুন্সিপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে খাতা–কলমসহ খুচরা মালামাল বিক্রির ব্যবসা করছিলেন। তিনি আর্থিকভাবে দায়দেনায় জর্জরিত থাকায় দোকান ঘরটির অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার শর্তে একই এলাকার মুন্সিপাড়া খালপাড়া নিবাসী আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল গফ্ফারের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ৪০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু মন্দির কমিটি রাজি না হওয়ায় তিনি দোকান ঘরটি ভাড়া দিতে ব্যর্থ হন। তখন আব্দুল গফ্ফার জামানতের টাকা ফেরত চান। কিন্তু মুন সরকার খরচ করে ফেলেছেন বলে টাকা দিতে পারছিলেন না। 

তিনি পরবর্তীতে কয়েক দফায় মোট ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। গত সপ্তাহে আব্দুল গফ্ফার বাকি টাকা ফেরত চাইলে মুন সরকার আরও ৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে আব্দুল গফ্ফার পুরো টাকা একবারে চান। কিন্তু মুন সরকার টাকা দিতে না পারেননি। আজ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল গফ্ফার আরও ৪ / ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মুন সরকারের দোকানে গিয়ে পুরো টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মুন সরকারকে স্ত্রী–সন্তানের সামনেই কিলঘুষি মারেন। স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন স্ত্রীও। একপর্যায়ে তাঁরা মুন সরকার ও তাঁর স্ত্রীকে দোকান থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। মুন সরকার দোকানের সামনে সড়কে পড়ে যান। তাঁর নাক–মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তাঁকে প্রথমে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তবে, স্থানীয়রা জানান, মুন সরকার আগে থেকেই হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। 

মুন সরকারের স্ত্রী তনুজা পালিত বলেন, ‘আমার স্বামী দোকানের অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার জন্য আব্দুল গফ্ফারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা জামানত নেয়। কিন্তু মন্দির কমিটির আপত্তির কারণে দোকান ভাড়া দিতে না পারায় আব্দুল গফ্‌ফার টাকা ফেরত চায়। আমার স্বামী বেশির ভাগ টাকা ফেরতও দেয়। কিন্তু বাকি টাকার জন্য আজকে এসে আমার স্বামীকে মারধর করে। তারা আমাকেও মারধর করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সে মারা যায়।’

এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার খবরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাঁকে কিলঘুষি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত