Ajker Patrika

মা ও পাঁচ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
মা ও পাঁচ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় হাফসা আক্তার হারেনা (২৫) ও তার ৫ মাস বয়সী শিশু আহসান হাবিবকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার নতুনবন্দর হাজিপাড়া এলাকায় একটি পুকুরপাড়ের পাশের ধানখেত থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ ও তার পাশেই শিশুটির মা হাফসাকে গলাকাটা অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রাসহ পরিবারের লোকজন হাফসাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করলে পথেই মৃত্যু হয় হাফসার। 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, দেড় বছর আগে সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামের হারুনর রশিদের মেয়ে হাফসা আক্তার হারেনার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াকান্দা গ্রামের মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে সাহেব আলীর বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র সন্তান আহসান হাবিব। ঈদুল ফিতরের পরদিন স্ত্রী সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে কাজের জন্য টাঙ্গাইল যান সাহেব আলী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হারেনা তার অসুস্থ শিশুকে নিয়ে শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াকান্দা গ্রামের গোলাম শহীদের ছেলে উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জফিয়ালের বাড়িতে যান। সেখানে এক রাত থেকে পরদিন শুক্রবার সকালে জফিয়ালকে সঙ্গে নিয়ে কুড়িগ্রামে যান হারেনা। ওই দিন বিকেলের পর থেকে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সন্ধান পাননি স্বজনরা। 

নিহতের ভাবি খাদিজা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকেই উকিল বাবা জফিয়ালই বেশির ভাগ সময় হারেনাকে আনা-নেওয়া করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার কথা বলে বাবার বাড়ি থেকে ওই উকিল বাবার বাড়িতে যান হারেনা। উকিল বাবার প্রতি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা তিনি (জফিয়াল) ঘটাতে পারেন।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাকির হোসেন ওরফে জফিয়ালের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। 
 
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জীবন কুমার সাহা বলেন, হারেনা নামের ওই নারীর গলার পেছন ও সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। 

এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক লিটন মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ঘটনার কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো চাকু জব্দ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত