উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক সেনা সদস্যকে মারপিট ও পাঁচ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার আট দিন পর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
আজ মঙ্গলবার উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা গ্রেপ্তার হননি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার ঘটনায় ওই ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর এলাকার সেকেন্দার আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মজির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার দীর্ঘদিন থেকে একটি দোকান ঘর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে দোকানঘর ভাঙচুর ও সেকেন্দার আলীকে মারপিট করলে তিনি আতা ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আতাউর রহমান আতা। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেকেন্দার আলীর ছেলে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিন ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরদিন (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেনা সদস্য তাঁদের দোকান ঘরের সামনে গেলে চেয়ারম্যান তাঁকে সেখানে দেখতে পেয়ে মারপিট ও খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই সেনা সদস্য ১৯ ফেব্রুয়ারি উলিপুর থানায় জিডি করেন। জিডির বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই ইউনিয়নের থেতরাই পাকার মাথা নামকস্থানে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যান তাঁর বিরুদ্ধে করা পূর্বের মামলা তুলে নিতে বলেন, না হলে মামলার খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ওই সেনা সদস্য চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এরপর চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন সেনা সদস্যকে জোর করে অপহরণ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে কক্ষে নিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
পরে সেনা সদস্যকে রক্ষা করার জন্য তাঁর বাবা সেকেন্দার আলী ও মা শাহানাজ পারভীন এগিয়ে আসলে তাঁদেরকেও মারপিট করেন চেয়ারম্যান এবং তাঁর লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনার আট দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ওই সেনা সদস্যর মামলা নেন থানা-পুলিশ। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আতাসহ নামীয় ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। আমরা উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এদিকে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিটসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার আট দিন পর মামলা রুজু করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সেনা সদস্যর চিকিৎসাসহ তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করার পর তিনি মামলা দায়ের করেছেন। এ কারণে বিলম্ব হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক সেনা সদস্যকে মারপিট ও পাঁচ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার আট দিন পর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
আজ মঙ্গলবার উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা গ্রেপ্তার হননি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার ঘটনায় ওই ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর এলাকার সেকেন্দার আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মজির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার দীর্ঘদিন থেকে একটি দোকান ঘর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে দোকানঘর ভাঙচুর ও সেকেন্দার আলীকে মারপিট করলে তিনি আতা ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আতাউর রহমান আতা। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেকেন্দার আলীর ছেলে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিন ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরদিন (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেনা সদস্য তাঁদের দোকান ঘরের সামনে গেলে চেয়ারম্যান তাঁকে সেখানে দেখতে পেয়ে মারপিট ও খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই সেনা সদস্য ১৯ ফেব্রুয়ারি উলিপুর থানায় জিডি করেন। জিডির বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই ইউনিয়নের থেতরাই পাকার মাথা নামকস্থানে সেনা সদস্য সালাহ উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যান তাঁর বিরুদ্ধে করা পূর্বের মামলা তুলে নিতে বলেন, না হলে মামলার খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ওই সেনা সদস্য চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এরপর চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন সেনা সদস্যকে জোর করে অপহরণ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে কক্ষে নিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
পরে সেনা সদস্যকে রক্ষা করার জন্য তাঁর বাবা সেকেন্দার আলী ও মা শাহানাজ পারভীন এগিয়ে আসলে তাঁদেরকেও মারপিট করেন চেয়ারম্যান এবং তাঁর লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনার আট দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ওই সেনা সদস্যর মামলা নেন থানা-পুলিশ। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আতাসহ নামীয় ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। আমরা উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এদিকে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিটসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার আট দিন পর মামলা রুজু করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সেনা সদস্যর চিকিৎসাসহ তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করার পর তিনি মামলা দায়ের করেছেন। এ কারণে বিলম্ব হয়েছে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪