Ajker Patrika

১১ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো স্ত্রীর লাশ

প্রতিনিধি, বগুড়া
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৩: ৫২
১১ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো স্ত্রীর লাশ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দাফনের ১১ দিন পর ফাইমা আক্তার (২৭) নামে এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

উপজেলার জানপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়। এর আগে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে গত ১৮ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি করেন ফাহিমার ভাই রিমন। এতে ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলাম, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। 

ফাহিমা বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সজনাতাউর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। ফাইমার স্বামী সাইদুল গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। 

জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৩ সালে ফাহিমা ও সাইদুলের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর। গত ১৬ আগস্ট ফাহিমা হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই দিন সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন ১৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে ফাহিমার মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করে আদালতে হত্যা মামলা করে তাঁর পরিবার। 

ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, ‘ফাহিমাকে পরিকল্পিতভাবে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। ফাহিমার মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল।’ 

কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন এএসপি রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

জানতে চাইলে গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্ত চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত