Ajker Patrika

বগুড়ায় অপহরণের ৫ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে পাঁচ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। মামলায় ইউসুফসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যুবকের নাম ইউসুফ আলী (২৯)। তিনি আদমদীঘির বাগিচাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দুপচাঁচিয়ার স্বর্গপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে তিনি। 

অপহৃত ১৬ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রী দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা। সে স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ইউসুফ ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তাঁকে কৌশলে রাজি করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ইউসুফ। একই সঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে মেয়েটি সেই অনুষ্ঠান দেখতে যায়। কিন্তু রাত গভীর হতে থাকলেও মেয়েটি ঘরে ফিরে আসছিল না। তখন স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

পুলিশ আরও জানায়, গতকাল বুধবার তার সন্ধান পান স্বজনেরা। তারা জানতে পারেন আদমদীঘির বাগিচাপাড়া গ্রামে ইউসুফের বাড়িতে মেয়েকে রাখা হয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মেয়েটি তার বাবাকে বলেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাত সোয়া ৯টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার দেবখণ্ড চকশোলা গ্রামের টাইগার ক্লাবের সামনে রাস্তা থেকে ইউসুফসহ তাঁর সহযোগীরা সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। 

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি মেয়েটিকে অপহরণ করেছেন। মেয়েটির বাবার করা মামলায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত