Ajker Patrika

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯ 

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ১৫
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯ 

পাবনায় পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতা তাফসির আহমেদ মনা (২৪) খুনের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। 

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সি। 

নিহত তাফসির আহমেদ মনা উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকা রাস্তা মোড় এলাকার তাইজুর রহমান তুহিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। 

গ্রেপ্তাররা হলেন ঈশ্বরদীর নতুন রূপপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৩৬), সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মুহিদুল হকের ছেলে ফসিউল আলম অনিক (২৭), নতুন রূপপুরের রূপপুর পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে চমন রহমান (৩৮), চর সাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (২৮), নতুন রূপপুর গ্রামের আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব প্রামানিক (৩০), চররূপপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), সলিমপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন অবুঝ (৩৭), চররূপপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩৪), লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামের মাহফুজুর রহমান কালা (৩৫)। 

পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মনা গত ১৭ জুন রাতে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এমপি মার্কেটে ইকবালের অফিসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের অ্যাপ্রোন ও হেলমেট পরে মোটরসাইকেলযোগে এসে মনাকে ৫-৬ রাউন্ড গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে ঘটনার দুদিন পর (১৯ জুন) ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল হোতা অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অনিকের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মানিকসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় জিগাতলা এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধানসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। 

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বলেন, ‘আসামিদের সঙ্গে মনা পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে বালুমহালের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও রয়েছে। বালু মহালের আধিপত্য বিস্তার এর অন্যতম কারণ। আসামিদের মধ্যে অবুঝের বিরুদ্ধে পাঁচটি, কালার বিরুদ্ধে চারটি, মানিকের বিরুদ্ধে ১১টি, চমনের বিরুদ্ধে ১০টি, অনিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি, রাজিবের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’ 

এ সংবাদ সম্মেলনে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত