পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগরের মানিকহাট উচ্চবিদ্যালয়ের এক নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর আসামি ‘আপত্তিকর ছবি প্রকাশ ও প্রাণনাশের হুমকি’ দিচ্ছেন। এ কারণে দিনমজুর ওই পরিবার কয়েক দিন ধরে বাড়িছাড়া।
এ ঘটনায় নৈশপ্রহরী ইউসুফ আলী খাঁর (৪৮) বিরুদ্ধে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও দেন। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মানিকহাট গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফের বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি ছাপরাঘরে বাস করে স্কুলছাত্রীর দরিদ্র পরিবার। তার বাবা দিনমজুর এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কিশোরীকে একা পেয়ে নানা বাহানায় ওই বাড়িতে যাতায়াত করেন ইউসুফ।
মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে তা দেখিয়ে ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে স্কুলের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইউসুফ। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে পরদিন ছাত্রীর মা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ইউসুফের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও দেন।
এরপর ইউসুফের পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর নেমে আসে নানা রকম হুমকি ও আপস-মীমাংসার চাপ। ঘটনার বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘরে কেউ নেই, তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পরে পরিবারটির খোঁজ নিয়ে একই উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে গিয়ে তাদের দেখা পাওয়া যায়।
ওই কিশোরীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছোট্ট মিয়েডার জীবন নষ্ট করে দিছে ইউসুফ খাঁ। আমরা গরিব মানুষ, কোথায় যাব? কোর্টে মামলা করার পর থেনে সে আমাগেরে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আজ ছয় দিন হলো বাড়ি থেনে পলায়া এক আত্মীয়ের বাড়িতে আইসে উঠছি। ইউসুফ খাঁর শাস্তি চাই।’
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি ও আমার বউ সকালে দুজনই কামে বারায়া যাই। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কিলাস শুরু হলি ইউসুফ খাঁ সকাল ৮টায় নানা রহম অছিলায় আমার মিয়েডাক ডাইকে নিয়ে যাইত। পরে জানতে পারি সে আমার মিয়ের সর্বনাশ করিছে। এহন যেরহম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, বাড়িতে থাকপের পারতিছি না। আমরা ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ আলী খাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে তাঁর পরিবারের লোকজনও রাজি হননি।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে শুনলাম তিনি কোর্টে মামলা করেছেন। কোর্টে মামলা করলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’
কিন্তু অভিযোগের এক মাস পার হয়েছে, এখনো তদন্ত কমিটিই গঠন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফি বলেন, ‘আমরা লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। স্কুলছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইউসুফ খাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও এমন একটি অভিযোগ উঠেছিল।’
অভিযোগের বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যদি আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা আসে, তার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনার সুজানগরের মানিকহাট উচ্চবিদ্যালয়ের এক নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর আসামি ‘আপত্তিকর ছবি প্রকাশ ও প্রাণনাশের হুমকি’ দিচ্ছেন। এ কারণে দিনমজুর ওই পরিবার কয়েক দিন ধরে বাড়িছাড়া।
এ ঘটনায় নৈশপ্রহরী ইউসুফ আলী খাঁর (৪৮) বিরুদ্ধে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও দেন। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মানিকহাট গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফের বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি ছাপরাঘরে বাস করে স্কুলছাত্রীর দরিদ্র পরিবার। তার বাবা দিনমজুর এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কিশোরীকে একা পেয়ে নানা বাহানায় ওই বাড়িতে যাতায়াত করেন ইউসুফ।
মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে তা দেখিয়ে ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে স্কুলের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইউসুফ। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে পরদিন ছাত্রীর মা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ইউসুফের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও দেন।
এরপর ইউসুফের পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর নেমে আসে নানা রকম হুমকি ও আপস-মীমাংসার চাপ। ঘটনার বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘরে কেউ নেই, তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পরে পরিবারটির খোঁজ নিয়ে একই উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে গিয়ে তাদের দেখা পাওয়া যায়।
ওই কিশোরীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছোট্ট মিয়েডার জীবন নষ্ট করে দিছে ইউসুফ খাঁ। আমরা গরিব মানুষ, কোথায় যাব? কোর্টে মামলা করার পর থেনে সে আমাগেরে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আজ ছয় দিন হলো বাড়ি থেনে পলায়া এক আত্মীয়ের বাড়িতে আইসে উঠছি। ইউসুফ খাঁর শাস্তি চাই।’
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি ও আমার বউ সকালে দুজনই কামে বারায়া যাই। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কিলাস শুরু হলি ইউসুফ খাঁ সকাল ৮টায় নানা রহম অছিলায় আমার মিয়েডাক ডাইকে নিয়ে যাইত। পরে জানতে পারি সে আমার মিয়ের সর্বনাশ করিছে। এহন যেরহম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, বাড়িতে থাকপের পারতিছি না। আমরা ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ আলী খাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে তাঁর পরিবারের লোকজনও রাজি হননি।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে শুনলাম তিনি কোর্টে মামলা করেছেন। কোর্টে মামলা করলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’
কিন্তু অভিযোগের এক মাস পার হয়েছে, এখনো তদন্ত কমিটিই গঠন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফি বলেন, ‘আমরা লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। স্কুলছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইউসুফ খাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও এমন একটি অভিযোগ উঠেছিল।’
অভিযোগের বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যদি আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা আসে, তার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে