নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
তাবাসসুম বলেন, আমার বাবা ড. এস তাহেরকে ২০০৬ সালে যে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তার বিচার হলো। ন্যায় বিচার পেলাম আমরা। প্রথমেই আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকল আইনজীবী যারা মামলাটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে, এটর্নি জেনারেল অফিস এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে। মিডিয়াকে, যারা নি: স্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। আমরা পরিবার অত্যন্ত একটা সাধারণ পরিবার। বাবাকে তো আর ফেরত পাবো না। সবার কাছে দোয়া চাই।
সেগুফতা আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবরটা যখন পেলাম, ঠিক ওই মুহূর্তেই মাথায় এলো যে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার বাবা হত্যার বিচার পাওয়া লাগবে। আমি সেটা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই সময় আমার মা যিনি একেবারেই গৃহিণী, কোনোদিন আদালতে যাননি তখন তাঁর অবদান ছিল অনেক বড়। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমার ভাই সানজিদ আলভি আহমেদ। যে এ মামলার বাদী তাঁরও বড় অবদান আছে। আমি তখনও আইনের ছাত্রী। আমি আমার শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম কীভাবে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়। সে অবস্থায় আমার শিক্ষকেরা খুব সহযোগিতা করেছেন।’
সেগুফতা বলতে থাকেন, ‘আমার পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই চেম্বারে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু আমার মনে হলো, বাবা হত্যার বিচার পেতে যদি পিয়ন হওয়া লাগে, আমি হবো।
চেম্বারে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করলাম। ২০১১ সালে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স চলে এলো। পরের বছর আমি ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করি। আর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হই। সবকিছুই তখন খেয়াল রাখা সহজ হয়।’
সেগুফতা আহমেদ আরও বলেন, ‘এই মামলা তো পরিচালনা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আমি সারাক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়ে বসে থাকতাম। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। বাবা হত্যার বিচার পেতে হলে আমাদের স্বপক্ষে কী কী প্রমাণ-নথিপত্র লাগবে, সেগুলো জোগাড় করতাম। এভাবে আমি আমার কাজটা চালিয়ে গিয়েছি।’
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ছিলেন ড. তাহেরের বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক। কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ড. তাহেরের আপত্তিতে তাঁর পদোন্নতি আটকে যায়। এ কারণে ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ড. মহিউদ্দিন। জাহাঙ্গীর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন।
সেগুফতা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের জবানবন্দীতেই উঠে এসেছে কেন এবং কীভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। আমার মাও তাঁর সাক্ষ্যতে বলেছেন যে পদোন্নতিতে বিরোধীতা করার কারণে মহিউদ্দিন গণ্ডগোল করতে পারে বলে হত্যাকাণ্ডের আগে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বাবা।’
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরও আসামিদের দণ্ড কার্যকর ঠেকাতে নানা আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হয়। সে বিষয়ে সেগুফতা আহমেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের পর আইনগত কোনো প্রক্রিয়া আর থাকে না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের নাকচ হওয়ার পরও যেভাবে দণ্ড ঠেকাতে তৎপরতা চালানো হয়েছে তা উচ্চ আদালতকে অবমাননার শামিল। তারা যত চেষ্টাই করুক, আদালত সব সময় ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ওইদিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা করেন। ওই সময় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। এখন তিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবী।

১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
তাবাসসুম বলেন, আমার বাবা ড. এস তাহেরকে ২০০৬ সালে যে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তার বিচার হলো। ন্যায় বিচার পেলাম আমরা। প্রথমেই আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকল আইনজীবী যারা মামলাটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে, এটর্নি জেনারেল অফিস এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে। মিডিয়াকে, যারা নি: স্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। আমরা পরিবার অত্যন্ত একটা সাধারণ পরিবার। বাবাকে তো আর ফেরত পাবো না। সবার কাছে দোয়া চাই।
সেগুফতা আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবরটা যখন পেলাম, ঠিক ওই মুহূর্তেই মাথায় এলো যে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার বাবা হত্যার বিচার পাওয়া লাগবে। আমি সেটা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই সময় আমার মা যিনি একেবারেই গৃহিণী, কোনোদিন আদালতে যাননি তখন তাঁর অবদান ছিল অনেক বড়। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমার ভাই সানজিদ আলভি আহমেদ। যে এ মামলার বাদী তাঁরও বড় অবদান আছে। আমি তখনও আইনের ছাত্রী। আমি আমার শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম কীভাবে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়। সে অবস্থায় আমার শিক্ষকেরা খুব সহযোগিতা করেছেন।’
সেগুফতা বলতে থাকেন, ‘আমার পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই চেম্বারে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু আমার মনে হলো, বাবা হত্যার বিচার পেতে যদি পিয়ন হওয়া লাগে, আমি হবো।
চেম্বারে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করলাম। ২০১১ সালে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স চলে এলো। পরের বছর আমি ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করি। আর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হই। সবকিছুই তখন খেয়াল রাখা সহজ হয়।’
সেগুফতা আহমেদ আরও বলেন, ‘এই মামলা তো পরিচালনা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আমি সারাক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়ে বসে থাকতাম। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। বাবা হত্যার বিচার পেতে হলে আমাদের স্বপক্ষে কী কী প্রমাণ-নথিপত্র লাগবে, সেগুলো জোগাড় করতাম। এভাবে আমি আমার কাজটা চালিয়ে গিয়েছি।’
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ছিলেন ড. তাহেরের বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক। কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ড. তাহেরের আপত্তিতে তাঁর পদোন্নতি আটকে যায়। এ কারণে ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ড. মহিউদ্দিন। জাহাঙ্গীর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন।
সেগুফতা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের জবানবন্দীতেই উঠে এসেছে কেন এবং কীভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। আমার মাও তাঁর সাক্ষ্যতে বলেছেন যে পদোন্নতিতে বিরোধীতা করার কারণে মহিউদ্দিন গণ্ডগোল করতে পারে বলে হত্যাকাণ্ডের আগে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বাবা।’
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরও আসামিদের দণ্ড কার্যকর ঠেকাতে নানা আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হয়। সে বিষয়ে সেগুফতা আহমেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের পর আইনগত কোনো প্রক্রিয়া আর থাকে না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের নাকচ হওয়ার পরও যেভাবে দণ্ড ঠেকাতে তৎপরতা চালানো হয়েছে তা উচ্চ আদালতকে অবমাননার শামিল। তারা যত চেষ্টাই করুক, আদালত সব সময় ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ওইদিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা করেন। ওই সময় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। এখন তিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
তাবাসসুম বলেন, আমার বাবা ড. এস তাহেরকে ২০০৬ সালে যে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তার বিচার হলো। ন্যায় বিচার পেলাম আমরা। প্রথমেই আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকল আইনজীবী যারা মামলাটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে, এটর্নি জেনারেল অফিস এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে। মিডিয়াকে, যারা নি: স্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। আমরা পরিবার অত্যন্ত একটা সাধারণ পরিবার। বাবাকে তো আর ফেরত পাবো না। সবার কাছে দোয়া চাই।
সেগুফতা আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবরটা যখন পেলাম, ঠিক ওই মুহূর্তেই মাথায় এলো যে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার বাবা হত্যার বিচার পাওয়া লাগবে। আমি সেটা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই সময় আমার মা যিনি একেবারেই গৃহিণী, কোনোদিন আদালতে যাননি তখন তাঁর অবদান ছিল অনেক বড়। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমার ভাই সানজিদ আলভি আহমেদ। যে এ মামলার বাদী তাঁরও বড় অবদান আছে। আমি তখনও আইনের ছাত্রী। আমি আমার শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম কীভাবে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়। সে অবস্থায় আমার শিক্ষকেরা খুব সহযোগিতা করেছেন।’
সেগুফতা বলতে থাকেন, ‘আমার পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই চেম্বারে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু আমার মনে হলো, বাবা হত্যার বিচার পেতে যদি পিয়ন হওয়া লাগে, আমি হবো।
চেম্বারে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করলাম। ২০১১ সালে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স চলে এলো। পরের বছর আমি ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করি। আর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হই। সবকিছুই তখন খেয়াল রাখা সহজ হয়।’
সেগুফতা আহমেদ আরও বলেন, ‘এই মামলা তো পরিচালনা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আমি সারাক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়ে বসে থাকতাম। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। বাবা হত্যার বিচার পেতে হলে আমাদের স্বপক্ষে কী কী প্রমাণ-নথিপত্র লাগবে, সেগুলো জোগাড় করতাম। এভাবে আমি আমার কাজটা চালিয়ে গিয়েছি।’
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ছিলেন ড. তাহেরের বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক। কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ড. তাহেরের আপত্তিতে তাঁর পদোন্নতি আটকে যায়। এ কারণে ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ড. মহিউদ্দিন। জাহাঙ্গীর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন।
সেগুফতা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের জবানবন্দীতেই উঠে এসেছে কেন এবং কীভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। আমার মাও তাঁর সাক্ষ্যতে বলেছেন যে পদোন্নতিতে বিরোধীতা করার কারণে মহিউদ্দিন গণ্ডগোল করতে পারে বলে হত্যাকাণ্ডের আগে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বাবা।’
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরও আসামিদের দণ্ড কার্যকর ঠেকাতে নানা আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হয়। সে বিষয়ে সেগুফতা আহমেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের পর আইনগত কোনো প্রক্রিয়া আর থাকে না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের নাকচ হওয়ার পরও যেভাবে দণ্ড ঠেকাতে তৎপরতা চালানো হয়েছে তা উচ্চ আদালতকে অবমাননার শামিল। তারা যত চেষ্টাই করুক, আদালত সব সময় ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ওইদিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা করেন। ওই সময় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। এখন তিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবী।

১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
তাবাসসুম বলেন, আমার বাবা ড. এস তাহেরকে ২০০৬ সালে যে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তার বিচার হলো। ন্যায় বিচার পেলাম আমরা। প্রথমেই আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকল আইনজীবী যারা মামলাটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে, এটর্নি জেনারেল অফিস এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে। মিডিয়াকে, যারা নি: স্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। আমরা পরিবার অত্যন্ত একটা সাধারণ পরিবার। বাবাকে তো আর ফেরত পাবো না। সবার কাছে দোয়া চাই।
সেগুফতা আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবরটা যখন পেলাম, ঠিক ওই মুহূর্তেই মাথায় এলো যে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার বাবা হত্যার বিচার পাওয়া লাগবে। আমি সেটা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই সময় আমার মা যিনি একেবারেই গৃহিণী, কোনোদিন আদালতে যাননি তখন তাঁর অবদান ছিল অনেক বড়। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমার ভাই সানজিদ আলভি আহমেদ। যে এ মামলার বাদী তাঁরও বড় অবদান আছে। আমি তখনও আইনের ছাত্রী। আমি আমার শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম কীভাবে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়। সে অবস্থায় আমার শিক্ষকেরা খুব সহযোগিতা করেছেন।’
সেগুফতা বলতে থাকেন, ‘আমার পড়াশোনা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই চেম্বারে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু আমার মনে হলো, বাবা হত্যার বিচার পেতে যদি পিয়ন হওয়া লাগে, আমি হবো।
চেম্বারে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করলাম। ২০১১ সালে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স চলে এলো। পরের বছর আমি ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করি। আর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হই। সবকিছুই তখন খেয়াল রাখা সহজ হয়।’
সেগুফতা আহমেদ আরও বলেন, ‘এই মামলা তো পরিচালনা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আমি সারাক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়ে বসে থাকতাম। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। বাবা হত্যার বিচার পেতে হলে আমাদের স্বপক্ষে কী কী প্রমাণ-নথিপত্র লাগবে, সেগুলো জোগাড় করতাম। এভাবে আমি আমার কাজটা চালিয়ে গিয়েছি।’
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ছিলেন ড. তাহেরের বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক। কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ড. তাহেরের আপত্তিতে তাঁর পদোন্নতি আটকে যায়। এ কারণে ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ড. মহিউদ্দিন। জাহাঙ্গীর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন।
সেগুফতা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের জবানবন্দীতেই উঠে এসেছে কেন এবং কীভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। আমার মাও তাঁর সাক্ষ্যতে বলেছেন যে পদোন্নতিতে বিরোধীতা করার কারণে মহিউদ্দিন গণ্ডগোল করতে পারে বলে হত্যাকাণ্ডের আগে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বাবা।’
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরও আসামিদের দণ্ড কার্যকর ঠেকাতে নানা আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হয়। সে বিষয়ে সেগুফতা আহমেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের পর আইনগত কোনো প্রক্রিয়া আর থাকে না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের নাকচ হওয়ার পরও যেভাবে দণ্ড ঠেকাতে তৎপরতা চালানো হয়েছে তা উচ্চ আদালতকে অবমাননার শামিল। তারা যত চেষ্টাই করুক, আদালত সব সময় ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ওইদিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা করেন। ওই সময় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। এখন তিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবী।


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১০ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।


১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায় বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
২৮ জুলাই ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১০ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায় বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
২৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১০ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।


১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায় বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
২৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১০ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


১৭ বছর ৬ মাস, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কি কষ্টের বলে বুঝাতে পারবো না। অবশেষে আমরা ন্যায় বিচার পেলাম। রায় কার্যকরের পর ড. তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
২৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১০ দিন আগে