Ajker Patrika

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, সেনাসদস্য আটক

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ১৭: ০১
বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, সেনাসদস্য আটক

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষে রেখে পালানোর সময় এক সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। 

আটক সেনাসদস্য আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনাসদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী আশামনি (২১) বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে। তাঁদের সন্তান ১১ মাস বয়সী আব্দুল্লাহেল রাফী। 

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এ সময় হোটেলের ব্যবস্থাপক তাঁর স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকালে চলে গেছে। এ সময় ব্যবস্থাপক কক্ষ দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ সময় ব্যবস্থাপক তাঁকে আটক করে থানায় খবর দেন। 

এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, ‘তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আমার বাড়ি আসে। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়।’ 

আটক সেনাসদস্য আজিজুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আসাদুল আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে জামাই আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছে। আজ সকালে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করি। সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা এবং সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পাই।’ 

এদিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছে সেনাসদস্য আজিজুল হককে হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। 

বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের সামনে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকাবগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোনো সময় আজিজুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের টয়লেটে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত