বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষে রেখে পালানোর সময় এক সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আটক সেনাসদস্য আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনাসদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী আশামনি (২১) বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে। তাঁদের সন্তান ১১ মাস বয়সী আব্দুল্লাহেল রাফী।
শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এ সময় হোটেলের ব্যবস্থাপক তাঁর স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকালে চলে গেছে। এ সময় ব্যবস্থাপক কক্ষ দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ সময় ব্যবস্থাপক তাঁকে আটক করে থানায় খবর দেন।
এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, ‘তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আমার বাড়ি আসে। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়।’
আসাদুল আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে জামাই আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছে। আজ সকালে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করি। সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা এবং সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পাই।’
এদিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছে সেনাসদস্য আজিজুল হককে হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোনো সময় আজিজুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের টয়লেটে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষে রেখে পালানোর সময় এক সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আটক সেনাসদস্য আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনাসদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী আশামনি (২১) বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে। তাঁদের সন্তান ১১ মাস বয়সী আব্দুল্লাহেল রাফী।
শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এ সময় হোটেলের ব্যবস্থাপক তাঁর স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকালে চলে গেছে। এ সময় ব্যবস্থাপক কক্ষ দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ সময় ব্যবস্থাপক তাঁকে আটক করে থানায় খবর দেন।
এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, ‘তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আমার বাড়ি আসে। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়।’
আসাদুল আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে জামাই আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছে। আজ সকালে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করি। সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা এবং সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পাই।’
এদিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছে সেনাসদস্য আজিজুল হককে হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোনো সময় আজিজুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের টয়লেটে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫