পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক রুস্তম আলীর নামে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ড. আওয়াল কবির জয়।
আজ বৃহস্পতিবার পাবনার আমলী আদালত-১-এ সশরীরে উপস্থিত হয়ে দণ্ডবিধির ধারা ৫০০ অনুযায়ী মামলাটি করেন ওই শিক্ষক। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে উপাচার্যের নামে সমন জারি করেছেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল আজিজ ও চৌধুরী সুলতানা রাজিয়া টুলটুলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আরজি সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ড. আওয়াল কবির জয়কে রেজিস্ট্রার কর্তৃক চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর পরও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় প্রবেশ করতে বাধা দেন। কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত কমিটির নামে নানাভাবে হয়রানি করেন এবং দীর্ঘ সময় তাঁর রিপোর্ট প্রদান না করে উপাচার্যের মেয়াদ শেষের আগে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান।
এতে ড. আওয়াল কবির জয়ের সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক সম্মানহানী হয়েছে এবং সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এতে মানহানী ঘটায় সাবেক উপাচার্য রুস্তম আলী সাবেক প্রক্টর ড. আওয়াল কবির জয়ের ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি করে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় গুরুতর অপরাধ করেছেন বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়।
দেরিতে মামলা কারণ হিসেবে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রোস্তম আলী এতদিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন থাকায় বাদীর গুরুতর ক্ষতি করতে পারেন, এ আশঙ্কায় মামলা করতে বিলম্ব হলো।
শুনানি শেষে আদালত মামলা আমলে নিয়ে হাজিরার নির্দেশ (সমন) জারি করেন।
মামলার বাদী শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আওয়াল কবির জয় বলেন, ‘উপাচার্য রোস্তম আলী ক্ষমতার অবব্যহার করে ভুয়া সব অভিযোগ তুলে আমাকে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ঢুকতে দেননি এবং কোনো কারণ দর্শানো ব্যতীত প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত রেখে আমার ব্যক্তিগত, চাকরি, এবং সামাজিক ক্ষতি করেছেন। আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।’
তাঁর আইনজীবী আবদুল আজিজ ও চৌধুরী সুলতানা রাজিয়া টুলটুলি মামলা নথিভুক্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন। আমরা বিশ্বাস বাদী ন্যায়বিচার পাবেন।
এ বিষয়ে পাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য রোস্তম আলীর নম্বরে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আর কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, রোস্তম আলী উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে কমিশন গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার, একাডেমিক-প্রশাসনিক আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইউজিসির তদন্তে একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তিনি বেশ কিছু টাকা ফেরতও দেন।
গত ৭ মার্চ এই উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষের আগে গণনিয়োগের আয়োজন করেন এবং রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের তোপের মুখে সভা বাতিল করে পুলিশ পাহারায় রাতের অন্ধকারে চুপিসারে ক্যাম্পাস ছাড়েন। অনৈতিকভাবে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন নিজের ভাতিজি কানিছ ফাতিমা (সেকশন অফিসার), ভাগিনা হাসিবুর রহমানসহ (অফিস সহকারী) অনেককে।
রোস্তম আলীর অনিয়ম, ক্ষমতার অবব্যবহারের প্রতিবাদ এবং নানা দাবিতে গত প্রায় এক মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নানা সংকট তৈরি হয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক রুস্তম আলীর নামে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ড. আওয়াল কবির জয়।
আজ বৃহস্পতিবার পাবনার আমলী আদালত-১-এ সশরীরে উপস্থিত হয়ে দণ্ডবিধির ধারা ৫০০ অনুযায়ী মামলাটি করেন ওই শিক্ষক। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে উপাচার্যের নামে সমন জারি করেছেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল আজিজ ও চৌধুরী সুলতানা রাজিয়া টুলটুলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আরজি সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ড. আওয়াল কবির জয়কে রেজিস্ট্রার কর্তৃক চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর পরও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় প্রবেশ করতে বাধা দেন। কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত কমিটির নামে নানাভাবে হয়রানি করেন এবং দীর্ঘ সময় তাঁর রিপোর্ট প্রদান না করে উপাচার্যের মেয়াদ শেষের আগে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান।
এতে ড. আওয়াল কবির জয়ের সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক সম্মানহানী হয়েছে এবং সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এতে মানহানী ঘটায় সাবেক উপাচার্য রুস্তম আলী সাবেক প্রক্টর ড. আওয়াল কবির জয়ের ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি করে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় গুরুতর অপরাধ করেছেন বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়।
দেরিতে মামলা কারণ হিসেবে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রোস্তম আলী এতদিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন থাকায় বাদীর গুরুতর ক্ষতি করতে পারেন, এ আশঙ্কায় মামলা করতে বিলম্ব হলো।
শুনানি শেষে আদালত মামলা আমলে নিয়ে হাজিরার নির্দেশ (সমন) জারি করেন।
মামলার বাদী শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আওয়াল কবির জয় বলেন, ‘উপাচার্য রোস্তম আলী ক্ষমতার অবব্যহার করে ভুয়া সব অভিযোগ তুলে আমাকে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ঢুকতে দেননি এবং কোনো কারণ দর্শানো ব্যতীত প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত রেখে আমার ব্যক্তিগত, চাকরি, এবং সামাজিক ক্ষতি করেছেন। আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।’
তাঁর আইনজীবী আবদুল আজিজ ও চৌধুরী সুলতানা রাজিয়া টুলটুলি মামলা নথিভুক্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন। আমরা বিশ্বাস বাদী ন্যায়বিচার পাবেন।
এ বিষয়ে পাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য রোস্তম আলীর নম্বরে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আর কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, রোস্তম আলী উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে কমিশন গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার, একাডেমিক-প্রশাসনিক আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইউজিসির তদন্তে একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তিনি বেশ কিছু টাকা ফেরতও দেন।
গত ৭ মার্চ এই উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষের আগে গণনিয়োগের আয়োজন করেন এবং রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের তোপের মুখে সভা বাতিল করে পুলিশ পাহারায় রাতের অন্ধকারে চুপিসারে ক্যাম্পাস ছাড়েন। অনৈতিকভাবে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন নিজের ভাতিজি কানিছ ফাতিমা (সেকশন অফিসার), ভাগিনা হাসিবুর রহমানসহ (অফিস সহকারী) অনেককে।
রোস্তম আলীর অনিয়ম, ক্ষমতার অবব্যবহারের প্রতিবাদ এবং নানা দাবিতে গত প্রায় এক মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নানা সংকট তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে