চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এক সদস্যের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী বর্তমানে প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত ২৫ দিন আগে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজে কোনো কাজ করতে পারেন না। হঠাৎ তাঁর পরিবারের সন্দেহ হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তরুণীর মা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শিবতলা চাইপাড়া নিচপাড়ার আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. হাসানকে (২৮)।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘গত মাসের ১২ তারিখে হঠাৎ মেয়ের শারীরিক গঠন দেখে সন্দেহ হয়। পরদিন ১৩ অক্টোবর মেয়েকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুরুন্নাহার নাসু জানান, সে সময় আমার মেয়ে ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এত দিন কেন পরিবারকে জানায়নি জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায়, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে হাসান। তাই ভয়ে বলেনি।’
ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে নিজে কোনো কাজকাম করতে পারে না। তাঁকে সবকিছুই করে দিতে হয়। আমি সংসার চালানোর দায়ে একটি মুদিখানার দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সুযোগে এ বছরের ২৫ এপ্রিল বাসা ফাঁকা পেয়ে হাসান ধর্ষণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ অক্টোবর থানায় মামলা দায়েরের দিন থেকে টানা ৩ দিন আমাদেরকে থানার মধ্যে রাখে পুলিশ। ৩ দিন ধরে থানার বাইরে যেতে দেয়নি বা আসামিও আটক করেনি পুলিশ। এমনকি ১৫ অক্টোবর আদালত আমাদের কথা শোনেন ও হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল কাগজপত্র দেখেন। এরপর এত দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামি আটক করছে না। জিজ্ঞেস করলে হবে, হচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিশ।’
গত প্রায় ৫ বছর থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগ করছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ‘হাসান আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এমনকি মারধরও করেছে। কাউকে ঘটনাটি জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাই কাউকে জানাইনি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নুরুন্নাহার নাসু বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমি নিজেই তাঁর চিকিৎসা করি। এ সময় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল দেখে তাঁর পরিবারকে বিষয়টি নিশ্চিত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আসামি মো. হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বের পারিবারিক কলহের জের ছিল। এর প্রেক্ষিতেই আমার নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এসবের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি গত ৩ দিন আগে শুনেছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান বলেন, ‘থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এক সদস্যের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী বর্তমানে প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত ২৫ দিন আগে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজে কোনো কাজ করতে পারেন না। হঠাৎ তাঁর পরিবারের সন্দেহ হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তরুণীর মা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শিবতলা চাইপাড়া নিচপাড়ার আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. হাসানকে (২৮)।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘গত মাসের ১২ তারিখে হঠাৎ মেয়ের শারীরিক গঠন দেখে সন্দেহ হয়। পরদিন ১৩ অক্টোবর মেয়েকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুরুন্নাহার নাসু জানান, সে সময় আমার মেয়ে ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এত দিন কেন পরিবারকে জানায়নি জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায়, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে হাসান। তাই ভয়ে বলেনি।’
ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে নিজে কোনো কাজকাম করতে পারে না। তাঁকে সবকিছুই করে দিতে হয়। আমি সংসার চালানোর দায়ে একটি মুদিখানার দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সুযোগে এ বছরের ২৫ এপ্রিল বাসা ফাঁকা পেয়ে হাসান ধর্ষণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ অক্টোবর থানায় মামলা দায়েরের দিন থেকে টানা ৩ দিন আমাদেরকে থানার মধ্যে রাখে পুলিশ। ৩ দিন ধরে থানার বাইরে যেতে দেয়নি বা আসামিও আটক করেনি পুলিশ। এমনকি ১৫ অক্টোবর আদালত আমাদের কথা শোনেন ও হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল কাগজপত্র দেখেন। এরপর এত দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামি আটক করছে না। জিজ্ঞেস করলে হবে, হচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিশ।’
গত প্রায় ৫ বছর থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগ করছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ‘হাসান আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এমনকি মারধরও করেছে। কাউকে ঘটনাটি জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাই কাউকে জানাইনি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নুরুন্নাহার নাসু বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমি নিজেই তাঁর চিকিৎসা করি। এ সময় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল দেখে তাঁর পরিবারকে বিষয়টি নিশ্চিত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আসামি মো. হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বের পারিবারিক কলহের জের ছিল। এর প্রেক্ষিতেই আমার নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এসবের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি গত ৩ দিন আগে শুনেছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান বলেন, ‘থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।’
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১০ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
২৩ দিন আগেগণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫