জামালপুর প্রতিনিধি
বকশীগঞ্জে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়নকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ২টায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তী গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নয়ন। তিনি প্রধান আসামি বাবুর সহযোগী বলেও জানিয়েছেন। তবে নয়ন সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নন।
নয়ন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা গ্রামের সানোয়ারের ছেলে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি এবং বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর ছেলেসহ ১৭ আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ২ নম্বর আসামি বাবুর ছেলে রিফাতসহ শামীম খন্দকার, স্বপন, আমীর আলী ও রাকীবিল্লাহ্ এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় রব্বানির পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গোলাম রব্বানি নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত এবং শামীম খন্দকার বকশীগঞ্জের ত্রাস। তাঁদের হাতে কেউ নিরাপদ নন। আমার বাবার ওপর এর আগেরবার হামলায় শামীম খন্দকার ছিলেন। আর বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। সারা রাত জেগে থাকি, মা ঘুমালে আমি জেগে থাকি, আর আমি ঘুমিয়ে পড়লে মা জেগে থাকেন। মনে হয় কখন জানি রিফাত এসে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাতে কেউ এলে দরজা খুলছি না। আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, কেন আসামিদের ধরছে না। তারা বলে, চেষ্টা করছে। এই সান্ত্বনা নিয়ে আছি।’
এর আগে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে ১৩ জনকে আটক করে। পরে তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রিমান্ড শেষে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমসহ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনজন আসামি। ১৭ জুন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এজাহারে আসামি হিসেবে মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলে ফাহিম ফয়সাল ওরফে রিফাতসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে।
১৯ জুন মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনা ও গতিশীলভাবে তদন্তকাজ চালিয়ে নিতে জামালপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জামালপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী বলেন, ‘আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি আসামিদের ধরতে। কিন্তু আসামিরা ছড়িয়ে পড়েছেন। যে কারণে তাঁদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও বেদম মারধর করা হয়। হামলার সময় মাহমুদুলের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রব্বানির মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যান। পরের দিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রব্বানির মৃত্যু হয়।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানি অনলাইন পোর্টাল বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ৭১ টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে নয়নকে আটক করা হয়েছে। ভোররাত থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ নয়নকে আদালতে তোলা হবে।
বকশীগঞ্জে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়নকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ২টায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তী গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নয়ন। তিনি প্রধান আসামি বাবুর সহযোগী বলেও জানিয়েছেন। তবে নয়ন সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নন।
নয়ন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা গ্রামের সানোয়ারের ছেলে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি এবং বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর ছেলেসহ ১৭ আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ২ নম্বর আসামি বাবুর ছেলে রিফাতসহ শামীম খন্দকার, স্বপন, আমীর আলী ও রাকীবিল্লাহ্ এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় রব্বানির পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গোলাম রব্বানি নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত এবং শামীম খন্দকার বকশীগঞ্জের ত্রাস। তাঁদের হাতে কেউ নিরাপদ নন। আমার বাবার ওপর এর আগেরবার হামলায় শামীম খন্দকার ছিলেন। আর বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। সারা রাত জেগে থাকি, মা ঘুমালে আমি জেগে থাকি, আর আমি ঘুমিয়ে পড়লে মা জেগে থাকেন। মনে হয় কখন জানি রিফাত এসে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাতে কেউ এলে দরজা খুলছি না। আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, কেন আসামিদের ধরছে না। তারা বলে, চেষ্টা করছে। এই সান্ত্বনা নিয়ে আছি।’
এর আগে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে ১৩ জনকে আটক করে। পরে তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রিমান্ড শেষে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমসহ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনজন আসামি। ১৭ জুন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এজাহারে আসামি হিসেবে মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলে ফাহিম ফয়সাল ওরফে রিফাতসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে।
১৯ জুন মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনা ও গতিশীলভাবে তদন্তকাজ চালিয়ে নিতে জামালপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জামালপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী বলেন, ‘আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি আসামিদের ধরতে। কিন্তু আসামিরা ছড়িয়ে পড়েছেন। যে কারণে তাঁদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও বেদম মারধর করা হয়। হামলার সময় মাহমুদুলের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রব্বানির মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যান। পরের দিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রব্বানির মৃত্যু হয়।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানি অনলাইন পোর্টাল বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ৭১ টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে নয়নকে আটক করা হয়েছে। ভোররাত থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ নয়নকে আদালতে তোলা হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৫ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৬ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৭ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২৪ দিন আগে