Ajker Patrika

কিশোরীকে ৮ জনে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ ঝুলিয়ে রাখে গাছে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৪৭
কিশোরীকে ৮ জনে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ ঝুলিয়ে রাখে গাছে

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৪) আটজন মিলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ির কাছেই রাতভর দল বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করে আট দুর্বৃত্ত। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান (২৬), হামেদ আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৩৮), আবু হনিফার ছেলে মাসুম বিল্লাহ ওরফে ফজর আলী (২২), আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪) এবং আ. হাইয়ের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯)। তাঁরা সবাই জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা বলেন, ‘কিশোরী ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। 

মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন সিরিয়াল র‍্যাপিস্ট শাহজাহান বাড়ির পাশে ওত পেতে বসেছিলেন। কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে মুখ চেপে আখখেতে নিয়ে আটজন মিলে ধর্ষণ করেন। প্রমাণ লোপাট করতে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন। শাহজাহান মিয়ার কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁরা দিনে ইটভাটায় কাজ করেন, আর রাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেন।’ 

গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে রাসেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অপর তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

মামলার বাদী কিশোরীর মা বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা ছিল না। মেয়ে মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে কথা বলত না। কিন্তু কেন আমার মেয়ের সঙ্গে এমন হলো! আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

পরপর সংঘর্ষে উড়ে গেল বাসের ছাদ, যাত্রীসহ ৫ কিমি নিয়ে গেলেন চালক

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত