Ajker Patrika

ইসলামপুরে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ৪৮
ইসলামপুরে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

চিকিৎসকের সরবরাহপত্র ছাড়া ওষুধ না পেয়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহীন মিয়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বিপুল মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিয়া। 

আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এই হামলার ঘটনায় হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট এনামুল হককে মারধর করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ফার্মেসি কক্ষে রাখা ওষুধ তছনছ করা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন হামলায় আহত এনামুল হক। 

ফার্মাসিস্ট এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসকের রসিদ ছাড়াই ওষুধ নিতে চান ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়া এবং বিপুল মিয়া। কিন্তু তিনি চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া তাঁদেরকে ওষুধ সরবরাহ করতে না চাইলে তাঁরা এনামুলের ওপর চড়াও হন। 

‘হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী ফার্মেসি বন্ধের পর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহীন এবং সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বিপুল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে আমার কাছে ওষুধ চান। আমি স্যারের (চিকিৎসকের) অনুমতি রসিদ আনতে বললে তাঁরা সন্ত্রাসী কায়দায় ফার্মেসি কক্ষে ভাঙচুর চালান এবং আমাকে বেধড়ক মারধর করে দ্রুত সটকে পড়েন।’

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিয়েছি। আমার জানামতে ওই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।’

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এ এম আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সরবরাহ কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ফার্মাসিস্টকে মারধর করা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সরকারি সম্পদের। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। 

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘হাসপাতাল পরির্দশন করেছি। দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারী যে-ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।’

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়া এবং বিপুল মিয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত