রুবায়েত হোসেন, খুবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক স্থাপনের মাধ্যমে এই নির্মাণকাজের সূচনা করেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভবনটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা। তবে চুক্তির মেয়াদ পেরোলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাততলাবিশিষ্ট আইইআর ভবনটির মোট আয়তন হবে ২ হাজার ৯২১ বর্গমিটার। ২০২০ সালে ভবনটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএএল অ্যান্ড টিবিইএএলকে (জেভি) দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ এখনো বাকি। ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও বাকি রয়েছে বেশির ভাগ কাজ। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে দেয়াল নির্মাণ, রং,পলেস্তারা ও ভেতরের নানান কাজ। কবে নাগাদ পুরো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে রড-সিমেন্টের লাগামহীন দামের কারণও কাজের গতিকে ব্যাহত করেছে। মাঝপথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে অপারগতা জানানোয় তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া নতুন করে পাইলিং, নকশা পরিবর্তন ও ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের কারণেও সেখানে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। নতুন একটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ হস্তান্তর করা হবে। তবে সেটা কবে নাগাদ হবে, তা বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে ততটা সক্ষম নয়, যার ফলে মাঝপথে কাজ বন্ধ করেছে তারা। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, সাততলা ভবন কমিয়ে চারতলা করা হতে পারে।’
এদিকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের ডিসিপ্লিনে এখন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই। এ ছাড়া ল্যাব ও ক্লাসরুমের জন্য একই কক্ষ ব্যবহার করা হয়। ফলে একটা ক্লাস করে তাঁদের পরবর্তী ক্লাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাসরুমের অপ্রতুলতার কারণে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাজিদ আবীর বলেন, ‘আমাদের আগে তিনটা ক্লাসরুম থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুইটা ক্লাসরুম রয়েছে। মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের রুমটিতে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। ফলে আমরা এখন সেই ক্লাসরুম ব্যবহার করতে পারি না। যখন আমাদের মাস্টার্স শুরু হবে, তখন তো এভাবে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে যাবে। নতুন ভবন চালু না হলে রেগুলার ক্লাসই ইভিনিংয়ে করা লাগবে।’
আবীর বলেন, ‘আমরা প্রতিটা শিক্ষার্থীই চাই যেন দ্রুত নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়। একই সঙ্গে সেখানে যেন আমরা শিক্ষাগ্রহণের একটা উপযুক্ত পরিবেশ পাই।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারদরের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রতিটা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা লাগবে। প্রকল্প শেষ করতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছে। ফলে ভবনের কাজও থমকে গেছে। তবে এ বিষয় সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টার সুরাহা হলে দ্রুত আবার কাজ শুরু হবে বলে আশা করি। তবে এতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। সরকার সিদ্ধান্ত দেবে তারপর কী হবে, প্রক্রিয়াটা কী তারা বলবে। এ ছাড়া পাইলিংয়ের কাজ, নকশা পরিবর্তন ও নতুন উপাচার্য আসার পর ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তনের কারণে সেখানে বেশ সময় চলে যায়। এতে কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কাজে অনেক নিয়মকানুন ও নির্দেশনা থাকে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে হয়। এসব ভবনে পাইলিংয়ের কাজে অনেক সময় চলে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয় না।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘করোনার কারণে কাজ অনেকটা থমকে গিয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস উপাচার্য না থাকায় প্রায় এক বছর ঠিকভাবে তদারক হয়নি। এতে কাজের অগ্রগতি কমে যায়। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কাজে গড়িমসি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্বে আসার পর তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আবার কাজ শুরু করেন। বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হবে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক স্থাপনের মাধ্যমে এই নির্মাণকাজের সূচনা করেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভবনটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা। তবে চুক্তির মেয়াদ পেরোলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাততলাবিশিষ্ট আইইআর ভবনটির মোট আয়তন হবে ২ হাজার ৯২১ বর্গমিটার। ২০২০ সালে ভবনটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএএল অ্যান্ড টিবিইএএলকে (জেভি) দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ এখনো বাকি। ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও বাকি রয়েছে বেশির ভাগ কাজ। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে দেয়াল নির্মাণ, রং,পলেস্তারা ও ভেতরের নানান কাজ। কবে নাগাদ পুরো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে রড-সিমেন্টের লাগামহীন দামের কারণও কাজের গতিকে ব্যাহত করেছে। মাঝপথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে অপারগতা জানানোয় তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া নতুন করে পাইলিং, নকশা পরিবর্তন ও ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের কারণেও সেখানে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। নতুন একটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ হস্তান্তর করা হবে। তবে সেটা কবে নাগাদ হবে, তা বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে ততটা সক্ষম নয়, যার ফলে মাঝপথে কাজ বন্ধ করেছে তারা। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, সাততলা ভবন কমিয়ে চারতলা করা হতে পারে।’
এদিকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের ডিসিপ্লিনে এখন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই। এ ছাড়া ল্যাব ও ক্লাসরুমের জন্য একই কক্ষ ব্যবহার করা হয়। ফলে একটা ক্লাস করে তাঁদের পরবর্তী ক্লাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাসরুমের অপ্রতুলতার কারণে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাজিদ আবীর বলেন, ‘আমাদের আগে তিনটা ক্লাসরুম থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুইটা ক্লাসরুম রয়েছে। মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের রুমটিতে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। ফলে আমরা এখন সেই ক্লাসরুম ব্যবহার করতে পারি না। যখন আমাদের মাস্টার্স শুরু হবে, তখন তো এভাবে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে যাবে। নতুন ভবন চালু না হলে রেগুলার ক্লাসই ইভিনিংয়ে করা লাগবে।’
আবীর বলেন, ‘আমরা প্রতিটা শিক্ষার্থীই চাই যেন দ্রুত নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়। একই সঙ্গে সেখানে যেন আমরা শিক্ষাগ্রহণের একটা উপযুক্ত পরিবেশ পাই।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারদরের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রতিটা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা লাগবে। প্রকল্প শেষ করতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছে। ফলে ভবনের কাজও থমকে গেছে। তবে এ বিষয় সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টার সুরাহা হলে দ্রুত আবার কাজ শুরু হবে বলে আশা করি। তবে এতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। সরকার সিদ্ধান্ত দেবে তারপর কী হবে, প্রক্রিয়াটা কী তারা বলবে। এ ছাড়া পাইলিংয়ের কাজ, নকশা পরিবর্তন ও নতুন উপাচার্য আসার পর ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তনের কারণে সেখানে বেশ সময় চলে যায়। এতে কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কাজে অনেক নিয়মকানুন ও নির্দেশনা থাকে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে হয়। এসব ভবনে পাইলিংয়ের কাজে অনেক সময় চলে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয় না।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘করোনার কারণে কাজ অনেকটা থমকে গিয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস উপাচার্য না থাকায় প্রায় এক বছর ঠিকভাবে তদারক হয়নি। এতে কাজের অগ্রগতি কমে যায়। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কাজে গড়িমসি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্বে আসার পর তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আবার কাজ শুরু করেন। বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হবে।’
রুবায়েত হোসেন, খুবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক স্থাপনের মাধ্যমে এই নির্মাণকাজের সূচনা করেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভবনটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা। তবে চুক্তির মেয়াদ পেরোলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাততলাবিশিষ্ট আইইআর ভবনটির মোট আয়তন হবে ২ হাজার ৯২১ বর্গমিটার। ২০২০ সালে ভবনটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএএল অ্যান্ড টিবিইএএলকে (জেভি) দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ এখনো বাকি। ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও বাকি রয়েছে বেশির ভাগ কাজ। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে দেয়াল নির্মাণ, রং,পলেস্তারা ও ভেতরের নানান কাজ। কবে নাগাদ পুরো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে রড-সিমেন্টের লাগামহীন দামের কারণও কাজের গতিকে ব্যাহত করেছে। মাঝপথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে অপারগতা জানানোয় তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া নতুন করে পাইলিং, নকশা পরিবর্তন ও ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের কারণেও সেখানে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। নতুন একটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ হস্তান্তর করা হবে। তবে সেটা কবে নাগাদ হবে, তা বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে ততটা সক্ষম নয়, যার ফলে মাঝপথে কাজ বন্ধ করেছে তারা। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, সাততলা ভবন কমিয়ে চারতলা করা হতে পারে।’
এদিকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের ডিসিপ্লিনে এখন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই। এ ছাড়া ল্যাব ও ক্লাসরুমের জন্য একই কক্ষ ব্যবহার করা হয়। ফলে একটা ক্লাস করে তাঁদের পরবর্তী ক্লাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাসরুমের অপ্রতুলতার কারণে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাজিদ আবীর বলেন, ‘আমাদের আগে তিনটা ক্লাসরুম থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুইটা ক্লাসরুম রয়েছে। মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের রুমটিতে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। ফলে আমরা এখন সেই ক্লাসরুম ব্যবহার করতে পারি না। যখন আমাদের মাস্টার্স শুরু হবে, তখন তো এভাবে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে যাবে। নতুন ভবন চালু না হলে রেগুলার ক্লাসই ইভিনিংয়ে করা লাগবে।’
আবীর বলেন, ‘আমরা প্রতিটা শিক্ষার্থীই চাই যেন দ্রুত নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়। একই সঙ্গে সেখানে যেন আমরা শিক্ষাগ্রহণের একটা উপযুক্ত পরিবেশ পাই।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারদরের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রতিটা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা লাগবে। প্রকল্প শেষ করতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছে। ফলে ভবনের কাজও থমকে গেছে। তবে এ বিষয় সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টার সুরাহা হলে দ্রুত আবার কাজ শুরু হবে বলে আশা করি। তবে এতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। সরকার সিদ্ধান্ত দেবে তারপর কী হবে, প্রক্রিয়াটা কী তারা বলবে। এ ছাড়া পাইলিংয়ের কাজ, নকশা পরিবর্তন ও নতুন উপাচার্য আসার পর ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তনের কারণে সেখানে বেশ সময় চলে যায়। এতে কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কাজে অনেক নিয়মকানুন ও নির্দেশনা থাকে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে হয়। এসব ভবনে পাইলিংয়ের কাজে অনেক সময় চলে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয় না।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘করোনার কারণে কাজ অনেকটা থমকে গিয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস উপাচার্য না থাকায় প্রায় এক বছর ঠিকভাবে তদারক হয়নি। এতে কাজের অগ্রগতি কমে যায়। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কাজে গড়িমসি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্বে আসার পর তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আবার কাজ শুরু করেন। বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হবে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক স্থাপনের মাধ্যমে এই নির্মাণকাজের সূচনা করেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভবনটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা। তবে চুক্তির মেয়াদ পেরোলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাততলাবিশিষ্ট আইইআর ভবনটির মোট আয়তন হবে ২ হাজার ৯২১ বর্গমিটার। ২০২০ সালে ভবনটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএএল অ্যান্ড টিবিইএএলকে (জেভি) দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ এখনো বাকি। ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও বাকি রয়েছে বেশির ভাগ কাজ। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে দেয়াল নির্মাণ, রং,পলেস্তারা ও ভেতরের নানান কাজ। কবে নাগাদ পুরো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে রড-সিমেন্টের লাগামহীন দামের কারণও কাজের গতিকে ব্যাহত করেছে। মাঝপথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে অপারগতা জানানোয় তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া নতুন করে পাইলিং, নকশা পরিবর্তন ও ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের কারণেও সেখানে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। নতুন একটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ হস্তান্তর করা হবে। তবে সেটা কবে নাগাদ হবে, তা বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চলমান রাখতে ততটা সক্ষম নয়, যার ফলে মাঝপথে কাজ বন্ধ করেছে তারা। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, সাততলা ভবন কমিয়ে চারতলা করা হতে পারে।’
এদিকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের ডিসিপ্লিনে এখন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই। এ ছাড়া ল্যাব ও ক্লাসরুমের জন্য একই কক্ষ ব্যবহার করা হয়। ফলে একটা ক্লাস করে তাঁদের পরবর্তী ক্লাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাসরুমের অপ্রতুলতার কারণে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাজিদ আবীর বলেন, ‘আমাদের আগে তিনটা ক্লাসরুম থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুইটা ক্লাসরুম রয়েছে। মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের রুমটিতে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। ফলে আমরা এখন সেই ক্লাসরুম ব্যবহার করতে পারি না। যখন আমাদের মাস্টার্স শুরু হবে, তখন তো এভাবে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে যাবে। নতুন ভবন চালু না হলে রেগুলার ক্লাসই ইভিনিংয়ে করা লাগবে।’
আবীর বলেন, ‘আমরা প্রতিটা শিক্ষার্থীই চাই যেন দ্রুত নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়। একই সঙ্গে সেখানে যেন আমরা শিক্ষাগ্রহণের একটা উপযুক্ত পরিবেশ পাই।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারদরের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রতিটা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা লাগবে। প্রকল্প শেষ করতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছে। ফলে ভবনের কাজও থমকে গেছে। তবে এ বিষয় সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টার সুরাহা হলে দ্রুত আবার কাজ শুরু হবে বলে আশা করি। তবে এতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। সরকার সিদ্ধান্ত দেবে তারপর কী হবে, প্রক্রিয়াটা কী তারা বলবে। এ ছাড়া পাইলিংয়ের কাজ, নকশা পরিবর্তন ও নতুন উপাচার্য আসার পর ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তনের কারণে সেখানে বেশ সময় চলে যায়। এতে কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কাজে অনেক নিয়মকানুন ও নির্দেশনা থাকে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে হয়। এসব ভবনে পাইলিংয়ের কাজে অনেক সময় চলে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয় না।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘করোনার কারণে কাজ অনেকটা থমকে গিয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস উপাচার্য না থাকায় প্রায় এক বছর ঠিকভাবে তদারক হয়নি। এতে কাজের অগ্রগতি কমে যায়। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কাজে গড়িমসি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্বে আসার পর তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আবার কাজ শুরু করেন। বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর)’ ভবনটির নির্মাণকাজ অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে