মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সন্তান প্রসব করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাইভেট টিউটরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ছাত্রী। এ নিয়ে মাগুরা আদালতে করা মামলা মহম্মদপুর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটরের নাম মো. হুমায়ন কবির (২৪)। তিনি মহম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের বাবর আলীর (মৃত) ছেলে এবং মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় ৬ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে টিউটর হুমায়ন কবির, তাঁর মা রূপবান বেগম ও সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মাগুরার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী হুমায়ন কবিরের কাছে অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রাইভেট পড়ে। প্রাইভেট পড়া শুরুর কিছুদিন পর থেকে হুমায়ন কবির প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকের। প্রায় দুই বছর পরে ওই ছাত্রী রাজি হয়। পরে তারা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেন ওই টিউটর।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন হুমায়ন কবির। গর্ভকালীন পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে স্বজনেরা হুমায়নের বাড়িতে জানান। পরে মীমাংসা করার জন্য এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিস করার কথা বলেও আর করেননি। গত ১৭ মে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে একটি ভুয়া কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের নাটক সাজান হুমায়ন। এর দুদিন পরে মাগুরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করাতে চাপ দেন। মেয়েটি তাতে রাজি না হলে বাড়িতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। এর দুই দিন পর গত ১৯ মে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন হুমায়ন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলে, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার অনিচ্ছায় ওই প্রাইভেট শিক্ষক জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। এখন একটা বেবি হয়েছে। তার খরচ জোগাড় করতে পারি না। আমার বাবাও একজন শ্রমিক। এই বাচ্চা নিয়ে এখন আমি কী করব? কোথায় যাব?। কেউ কোনো খোঁজ নেয় না!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। যেহেতু মামলা চলমান, আশা করি মেয়েটি সঠিক বিচার পাবে।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় ৬ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মাগুরা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছে। পরে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত হুমায়ন কবির কারাগারে রয়েছে।’
মাগুরায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সন্তান প্রসব করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাইভেট টিউটরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ছাত্রী। এ নিয়ে মাগুরা আদালতে করা মামলা মহম্মদপুর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটরের নাম মো. হুমায়ন কবির (২৪)। তিনি মহম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের বাবর আলীর (মৃত) ছেলে এবং মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় ৬ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে টিউটর হুমায়ন কবির, তাঁর মা রূপবান বেগম ও সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মাগুরার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী হুমায়ন কবিরের কাছে অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রাইভেট পড়ে। প্রাইভেট পড়া শুরুর কিছুদিন পর থেকে হুমায়ন কবির প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকের। প্রায় দুই বছর পরে ওই ছাত্রী রাজি হয়। পরে তারা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেন ওই টিউটর।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন হুমায়ন কবির। গর্ভকালীন পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে স্বজনেরা হুমায়নের বাড়িতে জানান। পরে মীমাংসা করার জন্য এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিস করার কথা বলেও আর করেননি। গত ১৭ মে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে একটি ভুয়া কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের নাটক সাজান হুমায়ন। এর দুদিন পরে মাগুরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করাতে চাপ দেন। মেয়েটি তাতে রাজি না হলে বাড়িতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। এর দুই দিন পর গত ১৯ মে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন হুমায়ন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলে, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার অনিচ্ছায় ওই প্রাইভেট শিক্ষক জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। এখন একটা বেবি হয়েছে। তার খরচ জোগাড় করতে পারি না। আমার বাবাও একজন শ্রমিক। এই বাচ্চা নিয়ে এখন আমি কী করব? কোথায় যাব?। কেউ কোনো খোঁজ নেয় না!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। যেহেতু মামলা চলমান, আশা করি মেয়েটি সঠিক বিচার পাবে।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় ৬ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মাগুরা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছে। পরে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত হুমায়ন কবির কারাগারে রয়েছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২০ দিন আগে