চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় আনোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির রডের আঘাতে স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা নয়ন তারার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে রডের আঘাতে আহত হয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি (১৬)। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া ডাঙ্গাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় নয়ন তারাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নয়নতারার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আনিসুজ্জামান লালন আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ জন্য নয়নতারা রাগ করে বাবার বাড়ি মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। আজ (সোমবার) রাতে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। রাতে আনোয়ার ও নয়নতারার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে আনোয়ার একটি রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে নয়নতারার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন আনোয়ার। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
রডের আঘাতে আহত জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি জানায়, গত ২১-২২ দিন মায়ের সঙ্গে তারা নানির বাড়িতে ছিল। বাবা তাদের ঠিকমতো খরচ দিত না। মা সাদিয়া সুলতানা অনেক কষ্ট করে দুই ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ চালাত। তাদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে ভেবে সোমবার নয়নতারা তাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফেরেন।
টুনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলে, ‘নানিবাড়ি থেকে সোমবার মাগরিবের সময় বাসায় এসেছিলাম। রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ১০টার দিকে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় বাবা বাড়িতে মাকে দেখে বলে “তুই আমার বাড়ি এসেছিস কেন?” মা জবাবে বলে, “আমার ছেলে-মেয়ের অধিকারে আমি এসেছি।” এ সময় মাকে গালি দিতে শুরু করে। আমাকেও বাজে কথা বলে। এ সময় বাবা ঘরে থাকা একটি রড দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। মা খাটের ওপর পড়ে যায়। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। উঠে আবার বাধা দিলে রড দিয়ে আমার মাথায় মারে। আমি মেঝের ওপর পড়ে গেলে বাবা ঘর থেকে চলে যায়। তখন আমার মাথা দিয়েও রক্ত বের হচ্ছিল। উঠে মায়ের কাছে গেলে মা তিনবার নিশ্বাস নিয়ে আমার চোখের সামনেই মারা যায়।’
প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই আনোয়ার ও নয়নতারার মধ্যে কলহ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে চেঁচামেচি শোনা যেত। সোমবার রাতে চিৎকার -চেঁচামেচি শুনে তাঁদের বাড়িতে আসেন প্রতিবেশীরা। এ সময় রড ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আনোয়ার। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। টুনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় আনোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির রডের আঘাতে স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা নয়ন তারার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে রডের আঘাতে আহত হয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি (১৬)। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া ডাঙ্গাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় নয়ন তারাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নয়নতারার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আনিসুজ্জামান লালন আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ জন্য নয়নতারা রাগ করে বাবার বাড়ি মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। আজ (সোমবার) রাতে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। রাতে আনোয়ার ও নয়নতারার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে আনোয়ার একটি রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে নয়নতারার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন আনোয়ার। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
রডের আঘাতে আহত জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি জানায়, গত ২১-২২ দিন মায়ের সঙ্গে তারা নানির বাড়িতে ছিল। বাবা তাদের ঠিকমতো খরচ দিত না। মা সাদিয়া সুলতানা অনেক কষ্ট করে দুই ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ চালাত। তাদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে ভেবে সোমবার নয়নতারা তাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফেরেন।
টুনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলে, ‘নানিবাড়ি থেকে সোমবার মাগরিবের সময় বাসায় এসেছিলাম। রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ১০টার দিকে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় বাবা বাড়িতে মাকে দেখে বলে “তুই আমার বাড়ি এসেছিস কেন?” মা জবাবে বলে, “আমার ছেলে-মেয়ের অধিকারে আমি এসেছি।” এ সময় মাকে গালি দিতে শুরু করে। আমাকেও বাজে কথা বলে। এ সময় বাবা ঘরে থাকা একটি রড দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। মা খাটের ওপর পড়ে যায়। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। উঠে আবার বাধা দিলে রড দিয়ে আমার মাথায় মারে। আমি মেঝের ওপর পড়ে গেলে বাবা ঘর থেকে চলে যায়। তখন আমার মাথা দিয়েও রক্ত বের হচ্ছিল। উঠে মায়ের কাছে গেলে মা তিনবার নিশ্বাস নিয়ে আমার চোখের সামনেই মারা যায়।’
প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই আনোয়ার ও নয়নতারার মধ্যে কলহ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে চেঁচামেচি শোনা যেত। সোমবার রাতে চিৎকার -চেঁচামেচি শুনে তাঁদের বাড়িতে আসেন প্রতিবেশীরা। এ সময় রড ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আনোয়ার। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। টুনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪