চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসন্ন তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলীর সমর্থকদের মধ্যে এই হামলায় ৯ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে তিতুদহ সেন্টারপাড়া ও গিরিশনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পৃথক দুই হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রেশ ধরে নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস। পৃথক দুটি ঘটনায় নৌকা প্রতীকের পাঁচজন ও আনারস প্রতীকের চারজন আহত হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের পাঁচ আহত কর্মী হলেন—তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাসান আলী (১৮), দক্ষিণপাড়ার মৃত রহিম বিশ্বাসের ছেলে মানিক (৩৫), বড়শলুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩২) এবং তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার বজলুর রহমানের দুই ছেলে শাহিন (২৬) ও রাইহান (৩০)। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর আহত চার কর্মী হলেন—তিতুদহ ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বিদ্যুৎ মিস্ত্রী তসলিম উদ্দিন (২২), একই গ্রামের আজিজুলের ছেলে মিঠু (২২), ফকির মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে মাহবুব রহমান রিপন (৫০)।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রায় দিনই নৌকার পক্ষ নিয়ে তিতুদহ ইউপির নির্বাচনী এলাকায় এসে আমার কর্মীদের হুমকি-ধামকি দেয়। রাতেও ওই বহিরাগত লোকজন উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে আমার গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমার কর্মী তছলিম উদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মাহবুব রিপনের মোটরসাইকেল। জখম করা হয় রিপনকেও। এ ছাড়া ওই হামলায় আহত হয় মিঠু ও আব্দুল লতিফ।’
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী বলছেন, ‘আমরা নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাইছিলাম। আমাদের বহরের পেছনে এসে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এ সময় তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের তিনটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেয় এবং কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় তসলিম উদ্দীন নামের এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তার কোমরের ডান পাশে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। রাতে ১১টার দিকে আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরা প্রত্যেকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে বলে জানতে পারি। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষে নৌকা ও আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মোট ৯ জন আহত হয়েছেন। ঘটনা জানার পরেই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইউনিয়নজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা তবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসন্ন তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলীর সমর্থকদের মধ্যে এই হামলায় ৯ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে তিতুদহ সেন্টারপাড়া ও গিরিশনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পৃথক দুই হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রেশ ধরে নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস। পৃথক দুটি ঘটনায় নৌকা প্রতীকের পাঁচজন ও আনারস প্রতীকের চারজন আহত হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের পাঁচ আহত কর্মী হলেন—তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাসান আলী (১৮), দক্ষিণপাড়ার মৃত রহিম বিশ্বাসের ছেলে মানিক (৩৫), বড়শলুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩২) এবং তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার বজলুর রহমানের দুই ছেলে শাহিন (২৬) ও রাইহান (৩০)। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর আহত চার কর্মী হলেন—তিতুদহ ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বিদ্যুৎ মিস্ত্রী তসলিম উদ্দিন (২২), একই গ্রামের আজিজুলের ছেলে মিঠু (২২), ফকির মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে মাহবুব রহমান রিপন (৫০)।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রায় দিনই নৌকার পক্ষ নিয়ে তিতুদহ ইউপির নির্বাচনী এলাকায় এসে আমার কর্মীদের হুমকি-ধামকি দেয়। রাতেও ওই বহিরাগত লোকজন উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে আমার গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমার কর্মী তছলিম উদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মাহবুব রিপনের মোটরসাইকেল। জখম করা হয় রিপনকেও। এ ছাড়া ওই হামলায় আহত হয় মিঠু ও আব্দুল লতিফ।’
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী বলছেন, ‘আমরা নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাইছিলাম। আমাদের বহরের পেছনে এসে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এ সময় তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের তিনটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেয় এবং কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় তসলিম উদ্দীন নামের এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তার কোমরের ডান পাশে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। রাতে ১১টার দিকে আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরা প্রত্যেকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে বলে জানতে পারি। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষে নৌকা ও আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মোট ৯ জন আহত হয়েছেন। ঘটনা জানার পরেই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইউনিয়নজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা তবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪